ফ্যাসিবাদী শাসন
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। গণমাধ্যমের মত প্রকাশ ও মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। কারও সাথে কারও মতের মিল না থাকতে পারে। রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে- এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়। এভাবে একজন সিনিয়র সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে তারা তাদেও প্যাসিবাদেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটালো। পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বাড্ডার সুবাস্তু নজর ভ্যালি টাওয়ারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলটি ফুজি টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পুলিশ মিছিলে ধাওয়া দিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ বিএনপির।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’ গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির শীর্ষ নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৭০ সালে মেজর পদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান কে এম সফিউল্লাহকে ডেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে বলেন। তখন দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন এম এ জি ওসমানী। সফিউল্লাহর পদবী তখন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিল (যুদ্ধের সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত), তিনি সেনাপ্রধান হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে হয় এবং তাকে পূর্ণ কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। অথচ জিয়াউর রহমান ছিলেন সেসময়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর তিনি মেজর জেনারেল পদবী লাভ করেন, তার সঙ্গে জিয়াউর রহমানও পদোন্নতি পেয়ে উপ-সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা তো পদোন্নতি পাবেন, এটা স্বাভাবিক। সেটা যখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সুতরাং শহীদ জিয়া কারও বদান্যতায় সেনাবাহিনীর প্রধান হননি। তিনি নিজের যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। আজ তার সমালোচনা করে যারা কথা বলেন তারা গণতন্ত্রের শত্রু এবং ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ। তারা তো বিনা ভোটে সরকার! মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির সরকার।
রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সেসময়ই তো শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। অথচ ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর কে এম সফিউল্লাহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন আর ইংল্যান্ড। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। সুতরাং তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু এ দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সেসময় শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই বহু নেতা তাদের আত্মতৃপ্তির কথা বলেছিলেন। তাদেরই একজন আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে থাকাবস্থায় বলেছিলেন যে, ফেরাউনের পতন হোক। এমনকি খন্দকার মোশতাকের শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। আজ যিনি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সিনিয়র উপদেষ্টা। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। অথচ পরবর্তীতে মালেক উকিলসহ হত্যাকা-ের সমর্থনকারী বহু নেতাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। আজ নিজের ঘরের দিকে তাকান না প্রধানমন্ত্রী। আমি বলব, আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন আর ভাবুন যে, কারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন?’
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। গণমাধ্যমের মত প্রকাশ ও মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। কারও সাথে কারও মতের মিল না থাকতে পারে। রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে- এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’ গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির শীর্ষ নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৭০ সালে মেজর পদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন কে এম সফিউল্লাহ। ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান কে এম সফিউল্লাহকে ডেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে বলেন। তখন দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন এম এ জি ওসমানী। সফিউল্লাহর পদবী তখন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ছিল (যুদ্ধের সময় পদোন্নতিপ্রাপ্ত), তিনি সেনাপ্রধান হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিতে হয় এবং তাকে পূর্ণ কর্নেল পদে উন্নীত করা হয়। অথচ জিয়াউর রহমান ছিলেন সেসময়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি ব্রিগেডিয়ার এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর তিনি মেজর জেনারেল পদবী লাভ করেন, তার সঙ্গে জিয়াউর রহমানও পদোন্নতি পেয়ে উপ-সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। যারা সরকারি চাকরি করেন তারা তো পদোন্নতি পাবেন, এটা স্বাভাবিক। সেটা যখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সুতরাং শহীদ জিয়া কারও বদান্যতায় সেনাবাহিনীর প্রধান হননি। তিনি নিজের যোগ্যতা বলেই সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিলেন। আজ তার সমালোচনা করে যারা কথা বলেন তারা গণতন্ত্রের শত্রু এবং ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ। তারা তো বিনা ভোটে সরকার! মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির সরকার।
রিজভী বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সফিউল্লাহ সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। সেসময়ই তো শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। অথচ ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর কে এম সফিউল্লাহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন আর ইংল্যান্ড। ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। সুতরাং তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু এ দেশের মানুষের কাছে শহীদ জিয়া একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সেসময় শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই বহু নেতা তাদের আত্মতৃপ্তির কথা বলেছিলেন। তাদেরই একজন আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে থাকাবস্থায় বলেছিলেন যে, ফেরাউনের পতন হোক। এমনকি খন্দকার মোশতাকের শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম। আজ যিনি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সিনিয়র উপদেষ্টা। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। অথচ পরবর্তীতে মালেক উকিলসহ হত্যাকা-ের সমর্থনকারী বহু নেতাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। আজ নিজের ঘরের দিকে তাকান না প্রধানমন্ত্রী। আমি বলব, আগে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখুন আর ভাবুন যে, কারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন?’
দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা ও সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। গণমাধ্যমের মত প্রকাশ ও মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। কারও সাথে কারও মতের মিল না থাকতে পারে। রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে- এটা স্বাভাবিক। তাই বলে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ফ্যাসিবাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জসিম বিন ইদ্রিস ২৫/১২/২০১৯আসলে কাউকে ছোট করে কেউ কোনদিন খ্যাতির চূড়ায় আহরণ করতে পারে না। তাই সকলকে সংযত হতে হবে আর উপলব্ধি করতে হবে ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী নয়। সেটা যেমন বিরোধী দলে থাকলে তেমনি সরকারী দলে গেলেও...
-
জসিম বিন ইদ্রিস ২২/১২/২০১৯আসলে আমরা সবাই সুযোগ সন্ধানী...
-
ফয়জুল মহী ১৯/১২/২০১৯Right
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৭/১২/২০১৯অসাধারণ লিখেছেন | বাস্তবতার নিদারুণ ছোঁয়া |