অদ্ভুত এক বিশ্বব্যবস্থা
অদ্ভুত এক বিশ্বব্যবস্থায় এখন আমাদের বসবাস। মতপার্থক্য, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সংঘাত কিংবা যুদ্ধের কারণে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে অদ্ভুত বলছি না; কারণ অনাকাক্সিক্ষত ওই বিষয়গুলো মানুষের পৃথিবীতে আগেও ছিল। অদ্ভুত বলার কারণ, বর্তমান সময়ে কোনো কোনো দেশের বিশেষ এলাকার নাগরিকদের অবদমনের জন্য নারী-ধর্ষণকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে শাসকদের। আবার কোথাও দেখা যায়, শিক্ষা ও নিরাপত্তার নামে লাখ লাখ নাগরিককে বন্দীশিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন করতে। কোনো এলাকায় দেখা যায়, ভূমিপুত্রদের উৎখাত করে বহিরাগতদের বসতি সম্প্রসারণ করতে। এমন নিষ্ঠুর আগ্রাসনে সহযোগিতা করতে দেখা যায় সভ্যতাগর্বী কতিপয় দেশকে। তাই বলতে হয়, অদ্ভুত এক সভ্যতায় এখন আমাদের বসবাস।
মানবসভ্যতা যে এখন পতনমুখী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নইলে নিজ দেশের নাগরিকদের অবদমনের জন্য নারী-ধর্ষণের মতো কলঙ্কজনক কৌশলকে কোনো সরকার প্রশ্রয় দেয় কেমন করে? নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কাশ্মীরের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণকে নিয়ম হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতীয় সেনারা। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার ভূস্বর্গখ্যাত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমান সময়ে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে গোটা বিশ্ব যখন টানা ১৬ দিনের একটি কর্মসূচি পালন করছে, ঠিক তখনই প্রকাশ পেল কাশ্মীরে নারী-ধর্ষণের বর্বর চিত্র। উল্লেখ্য যে, গত ২৫ নবেম্বর নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ওই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবছর দিনটিকে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এবার ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রত্যাশা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
সম্প্রতি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে আভাস পাওয়া গেছে, কাশ্মীরী জনগণের মনোবল ভেঙে দিতে এবার নারীদের নিশানা বানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের নিপীড়নমূলক শাসনের বিরুদ্ধে গত কয়েক দশক যাবৎ লড়াই করে আসছে কাশ্মীরী জনগণ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে কাশ্মীরী নারীদের ব্যাপক ধর্ষণের অপরাধ নিয়মিতভাবে দায়মুক্তি পেয়ে আসছে। জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা মারিয়া লুইজা রিবেইরো ভিয়োট্টি ভারত সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, উপত্যকাটির প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন যৌন সহিংসতার শিকার।’ জাতিসংঘ কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের পরও কাশ্মীর উপত্যকায় নারী ধর্ষণের বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। সভ্যতার শাসকদের যেন কিছুই করণীয় নেই। এমন এক কুৎসিত সভ্যতায় এখন আমাদের বসবাস।
মানবসভ্যতা যে এখন পতনমুখী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নইলে নিজ দেশের নাগরিকদের অবদমনের জন্য নারী-ধর্ষণের মতো কলঙ্কজনক কৌশলকে কোনো সরকার প্রশ্রয় দেয় কেমন করে? নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কাশ্মীরের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণকে নিয়ম হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারতীয় সেনারা। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার ভূস্বর্গখ্যাত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বর্তমান সময়ে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে গোটা বিশ্ব যখন টানা ১৬ দিনের একটি কর্মসূচি পালন করছে, ঠিক তখনই প্রকাশ পেল কাশ্মীরে নারী-ধর্ষণের বর্বর চিত্র। উল্লেখ্য যে, গত ২৫ নবেম্বর নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ওই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবছর দিনটিকে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এবার ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রত্যাশা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
সম্প্রতি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে আভাস পাওয়া গেছে, কাশ্মীরী জনগণের মনোবল ভেঙে দিতে এবার নারীদের নিশানা বানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের নিপীড়নমূলক শাসনের বিরুদ্ধে গত কয়েক দশক যাবৎ লড়াই করে আসছে কাশ্মীরী জনগণ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হাতে কাশ্মীরী নারীদের ব্যাপক ধর্ষণের অপরাধ নিয়মিতভাবে দায়মুক্তি পেয়ে আসছে। জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা মারিয়া লুইজা রিবেইরো ভিয়োট্টি ভারত সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, উপত্যকাটির প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন যৌন সহিংসতার শিকার।’ জাতিসংঘ কর্মকর্তার এমন বক্তব্যের পরও কাশ্মীর উপত্যকায় নারী ধর্ষণের বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। সভ্যতার শাসকদের যেন কিছুই করণীয় নেই। এমন এক কুৎসিত সভ্যতায় এখন আমাদের বসবাস।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নুর হোসেন ১০/১২/২০১৯বাস্তববাদী লেখা
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০৯/১২/২০১৯চমৎকার লেখা
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৯/১২/২০১৯নাইস পোস্ট