সম্প্রীতি
বাংলাদেশ বহু ধর্মের মানুষের দেশ। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক মুসলিম হলেও এখানে সনাতন (হিন্দু), বৌদ্ধ, খৃস্টানসহ নানা ধর্ম ও নানা মতের মানুষের বসবাস। ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রত্যেকটি ধর্মের মধ্যে কিছু অমিল থাকলেও প্রত্যেক ধর্মের মূলনীতি ¯্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন ও দুনিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং মানুষে মানুষে ভেদাভেদ না করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
প্রত্যেক ধর্মের বিধিবিধান মতে, সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করলেও মূলত ধর্মের অনুসারীদের বাড়াবাড়ি তথা অজ্ঞতা, ধর্মান্ধতা, ধর্মপ্রচারের বিষয়টি নিয়ে অপছন্দ হওয়া ও অন্যধর্ম নিয়ে কটূক্তি থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট হয়, যার ফলে ধর্মীয় স্থাপনাতে আক্রমণসহ নানা প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী হয় দেশে।
দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও দেশের প্রতি একই দায়িত্ব থাকলেও দেশের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম হওয়ায় মুসলমানদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের উপর যেকোন প্রকার আঘাত কিংবা কটূক্তি হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা সামান্য প্রতিবাদ করলেও তা দেশব্যাপি ছড়িয়ে যাবে তা সহজেই অনুমেয়। দেশে খৃস্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী উল্লেখযোগ্য হলেও মূলত হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিরোধ দেখা যায় বেশি, এর মূলে যতটা না ধর্ম বিদ্বেষীতা, তার চেয়েও বেশি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা, যার ফলে সামান্য প্রতিবাদও বৃহৎ আকারে রূপ নেয়।
যেহেতু দেশে প্রধান ধর্ম ইসলাম, সেহেতু ইসলামের অনুসারী, সেহেতু সংখ্যায় কম তথা হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বটা সরকারের পাশাপাশি মুসলিমদেরও। অবশ্য হিন্দু-মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ খেলাধুলায়, চাকরি, ব্যবসা, সামাজিকতায় একত্রে চলাফেরা করলেও ধর্মীয় বিষয় নিযে সমস্যা হয় মূলত ধর্মীয় গুরুদের নিয়ে কটূক্তির বিষয়ে, এর মাধ্যমে বিশেষ কোন দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যটাই বিশাল, যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সুবিধা ভোগ করতে চায়।
পবিত্র ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে যেকোন প্রকার কটূক্তি, মহান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে কটূক্তি ও যেকোন প্রকার বাজে মন্তব্য কোথাও প্রকাশ হলে মুসলিমদের আবেগ অনুভূতিতে আঘাত আসবে তা স্বাভাবিক। তেমনি অন্য ধর্মীয় গুরুদের বিষয়ে কিংবা ধর্মীয় যেকোন বিষয়ে কটূক্তি করা হলে তাদেরও আবেগ অনুভূতিতে আঘাত আসবে তা স্বাভাবিক। যারা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করে তাদের সংখ্যাটা খুব কম, এ ধরনের কটূক্তি অনেক সময় ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় হয় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইনবক্সে হয় কিংবা যেকোন নিজ আইডির টাইমলাইনে পোস্ট দিলেও সেধরনের বিকৃত মনমানসিকতার মানুষ সংখ্যায় খুবই কম। যেহেতু ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ অনুভূতিতে আঘাত আসে, সেহেতু প্রতিবাদ করা স্বাভাবিক হলেও কটূক্তি বিষয়ে যথাযথ প্রমাণসহ আইনের আশ্রয় নেওয়া এবং সকল প্রকার আইনগত উপায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোন বিকল্প নেই। উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হওয়াটাও কাম্য নয়, মনে রাখতে হবে প্রতিবাদ করতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেলে খুন হওয়া মানেই সমাধান নয়, বরং যারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায় তারা সফল হয়ে যায়।
ধর্মপ্রাণ মানুষদের বড় শক্তি ধৈর্য্য, ধৈর্য্যশীলদের সাথে সৃষ্টিকর্তা থাকেন, তিনিই সকল অপরাধের শাস্তি মৃত্যুর পর দেবেন এবং দুনিয়াতেও অপরাধের শাস্তি দেন। প্রতিবাদ করা স্বাভাবিক হলেও যেহেতু প্রতিবাদে নিরীহ প্রাণ ঝড়ে এবং প্রাণহানী হোক, সেটা কেউ না কেউ চায়, সেহেতু তাদের সুযোগ না দিয়ে দেশের আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত কিংবা শতভাগ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যেভাবে করা যায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে ধর্ম এতো ঠুনকো নয় যে, অল্পতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে সবকিছু। কাজেই ধর্মপ্রাণ মানুষদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রতি, সদভাব বজায় রাখতে ধৈর্য্যশীল হয়ে সুযোগ সন্ধানীদের পরিকল্পনা বানচাল করে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই এবং ধর্মবিরোধী কার্যকলাপের বিষয়ে উত্তেজিত না হয়ে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনগত প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল ধর্মের মানুষদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে হবে, তার জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষদের একত্রিত হওয়ার মাধ্যমেই রুখতে হবে ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তি, সকল ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ।
প্রত্যেক ধর্মের বিধিবিধান মতে, সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করলেও মূলত ধর্মের অনুসারীদের বাড়াবাড়ি তথা অজ্ঞতা, ধর্মান্ধতা, ধর্মপ্রচারের বিষয়টি নিয়ে অপছন্দ হওয়া ও অন্যধর্ম নিয়ে কটূক্তি থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট হয়, যার ফলে ধর্মীয় স্থাপনাতে আক্রমণসহ নানা প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী হয় দেশে।
দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার ও দেশের প্রতি একই দায়িত্ব থাকলেও দেশের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম হওয়ায় মুসলমানদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের উপর যেকোন প্রকার আঘাত কিংবা কটূক্তি হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা সামান্য প্রতিবাদ করলেও তা দেশব্যাপি ছড়িয়ে যাবে তা সহজেই অনুমেয়। দেশে খৃস্টান ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী উল্লেখযোগ্য হলেও মূলত হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিরোধ দেখা যায় বেশি, এর মূলে যতটা না ধর্ম বিদ্বেষীতা, তার চেয়েও বেশি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা, যার ফলে সামান্য প্রতিবাদও বৃহৎ আকারে রূপ নেয়।
যেহেতু দেশে প্রধান ধর্ম ইসলাম, সেহেতু ইসলামের অনুসারী, সেহেতু সংখ্যায় কম তথা হিন্দু, খৃস্টান, বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বটা সরকারের পাশাপাশি মুসলিমদেরও। অবশ্য হিন্দু-মুসলিমসহ সকল ধর্মের মানুষ খেলাধুলায়, চাকরি, ব্যবসা, সামাজিকতায় একত্রে চলাফেরা করলেও ধর্মীয় বিষয় নিযে সমস্যা হয় মূলত ধর্মীয় গুরুদের নিয়ে কটূক্তির বিষয়ে, এর মাধ্যমে বিশেষ কোন দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যটাই বিশাল, যারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সুবিধা ভোগ করতে চায়।
পবিত্র ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে যেকোন প্রকার কটূক্তি, মহান আল্লাহ তায়ালাকে নিয়ে কটূক্তি ও যেকোন প্রকার বাজে মন্তব্য কোথাও প্রকাশ হলে মুসলিমদের আবেগ অনুভূতিতে আঘাত আসবে তা স্বাভাবিক। তেমনি অন্য ধর্মীয় গুরুদের বিষয়ে কিংবা ধর্মীয় যেকোন বিষয়ে কটূক্তি করা হলে তাদেরও আবেগ অনুভূতিতে আঘাত আসবে তা স্বাভাবিক। যারা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করে তাদের সংখ্যাটা খুব কম, এ ধরনের কটূক্তি অনেক সময় ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় হয় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইনবক্সে হয় কিংবা যেকোন নিজ আইডির টাইমলাইনে পোস্ট দিলেও সেধরনের বিকৃত মনমানসিকতার মানুষ সংখ্যায় খুবই কম। যেহেতু ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ অনুভূতিতে আঘাত আসে, সেহেতু প্রতিবাদ করা স্বাভাবিক হলেও কটূক্তি বিষয়ে যথাযথ প্রমাণসহ আইনের আশ্রয় নেওয়া এবং সকল প্রকার আইনগত উপায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোন বিকল্প নেই। উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হওয়াটাও কাম্য নয়, মনে রাখতে হবে প্রতিবাদ করতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে গেলে খুন হওয়া মানেই সমাধান নয়, বরং যারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চায় তারা সফল হয়ে যায়।
ধর্মপ্রাণ মানুষদের বড় শক্তি ধৈর্য্য, ধৈর্য্যশীলদের সাথে সৃষ্টিকর্তা থাকেন, তিনিই সকল অপরাধের শাস্তি মৃত্যুর পর দেবেন এবং দুনিয়াতেও অপরাধের শাস্তি দেন। প্রতিবাদ করা স্বাভাবিক হলেও যেহেতু প্রতিবাদে নিরীহ প্রাণ ঝড়ে এবং প্রাণহানী হোক, সেটা কেউ না কেউ চায়, সেহেতু তাদের সুযোগ না দিয়ে দেশের আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত কিংবা শতভাগ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ যেভাবে করা যায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে ধর্ম এতো ঠুনকো নয় যে, অল্পতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে সবকিছু। কাজেই ধর্মপ্রাণ মানুষদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রতি, সদভাব বজায় রাখতে ধৈর্য্যশীল হয়ে সুযোগ সন্ধানীদের পরিকল্পনা বানচাল করে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই এবং ধর্মবিরোধী কার্যকলাপের বিষয়ে উত্তেজিত না হয়ে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনগত প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল ধর্মের মানুষদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে হবে, তার জন্য ধর্মপ্রাণ মানুষদের একত্রিত হওয়ার মাধ্যমেই রুখতে হবে ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তি, সকল ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম আলমগীর হোসেন ১৫/১১/২০১৯খুব ভাল লাগলো
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৩/১১/২০১৯ধর্ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ভাল লাগল।
-
হাসান ইবনে নজরুল ১০/১১/২০১৯বাহ্ চমৎকার পোস্ট। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তখনই সম্ভব যখন প্রতিটি মানুষ "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই" এটি অনুসরন করবে। নাহলে কোন ভাবেই সম্ভব না।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩১/১০/২০১৯সম্প্রীতি চাইলে মন উদার করতে হবে।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ৩১/১০/২০১৯ভালো লাগলো