www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ভোলা কে ভোলা যাবেনা

এসময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মুসুল্লিরাও অংশ নেন। স্লোগানে মুখ হয়ে উঠে পল্টন এলাকা। সমাবেশে উপস্থিত আছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীসহ শীর্ষ নেতারা।

যোহরের নামাজ আদায়ের পর পরই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের ভেতর তারা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশের সময় দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ থাকে।

সমাবেশে তারা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে কটূক্তিকারী ও ভোলার সংঘর্ষের বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হচ্ছে- আল্লাহ তা’আলা ও মহানবী (সা.)-এর কটূক্তিকারীকে গ্রেফতার, ভোলার ঘটনায় নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার ও সুচিকিৎসা গ্রহণ করা, গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ, গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করা।

ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে তৌহিদি জনতার ব্যানারে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হয়। পরে মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর হামলা হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসী। এ সময় পুলিশ গুলিতে চারজন নিহত হন।

ওই ঘটনায় ভোলার অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম।

সোমবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাটহাজারীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রতিটি জেলা শহর থেকে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৫৫০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২২/১০/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast