একজন নাদিয়া আলী ও আমাদের মেয়েদের কান্না
২০১৫ সালের গ্রেট ব্রিটিশ বেইক অফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন নাদিয়া হোসাইন। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নাদিয়া ওই পুরস্কার জয়ের পর রাতারাতি সেলিব্রেটি বনে যান। একের পর একে একে ডাক আসতে থাকে টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনায়। টিভি ব্যক্তিত্ব নাদিয়া এর আগে তিনটি বই লিখলেও সম্প্রতি তিনি লিখেছেন তার শৈশবের যৌন নিগৃহের কাহিনী নিয়ে। এর নাম ‘ফাইন্ডিং মাই ভয়েস’।
২০১৬ সালে নাদিয়ার কাছে প্রস্তাব আসে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিনের কেক বানানোর। আর রানীর জন্মদিনের কেক বানানোর মাধ্যমে তিনি আরো সেলিব্রেটি হয়ে উঠেন ব্রিটেনের মানুষের কাছে। ২০১৭ সালে তিনি প্রথম বই লিখেন ‘টাইম টু ইট’ (Time to Eat)। বইয়ের শিরোনাম দেখেই বোঝা যায় বইটি খাবার সংক্রান্ত। পরবর্তীতে তিনি আরো দু’টি বই লিখেন। এদের একটি ‘দ্যা সিক্রেট লাইভস অব দ্যা আমিরস সিস্টার্স’। এতে গল্পে গল্পে উঠে এসেছে ব্রিটেনে ও বাংলাদেশে বাংলাদেশী কিশোর মেয়েদের বেড়ে উঠার কাহিনী।
তার তৃতীয় বইটিও খাবার নিয়ে। ‘নাদিয়াস ফেমিলি ফেভোরাইটস’ এর মধ্যে নাদিয়া হোসাইন তার পরিবারের সদস্যদের জন্য যেসব মজাদার ও স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরী করেন তা প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি তিনি লিখেছেন ‘ফাইন্ডিং মাই ভয়েস’ বইটি। যা খুব শিগগিরই বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে বইটি অনলাইন এসেছে। বইটিতে নাদিয়া হোসাইন ৫ বছর বয়সে তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দেন। ওই নিপীড়নের ফলে তিনি মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়েছিলেন। আর ওই ঘটনার প্রভাবে তিনি ১০ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও উল্লেখ করেন নাদিয়া।
বইটি প্রকাশ উপলক্ষে রোববার ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা মেইল অনলাইনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি কিশোর জীবনের কাহিনী বর্ণনা করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সে সময়ে যৌন নিপীড়নের ফলে আমি আত্মহত্যা করতে গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। কিন্তু এর ফলে আমার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রচন্ড প্রভাব ফেলে। আর তার প্রভাব আমার জীবনে এখনো রয়ে গেছে।
নাদিয়া তার কৈশোরের যৌন নিগ্রহের কথা প্রথমে তার বোনদের কাছে প্রকাশ করেন। পরে স্কুলের এক বান্ধবীকে বলেন। দ্যা মেইল অনলাইনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, যৌন হয়রানীর ঘটনা আমার জীবনে ৫ বছর বয়সের পর আরো ঘটেছে। আমার মনে হয়, কারো জীবনে এসব বিষয় ঘটলে নিজেদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ জনদের জানানো দরকার। এতে যৌন হয়রানীর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে জন্ম হলেও ব্রিটেনের লুটন শহরে বেড়ে উঠেন নাদিয়া হোসাইন। যৌন হয়রানী নিয়ে সর্বশেষ বইটি লেখার আগেও তিনি এ বছরের শুরুর দিকে বিবিসি ওয়ান চ্যানেলে তার জীবনের বিভিন্ন সময়ে হয়রানীর শিকার হওয়া নিয়ে কথা বলেন। বিবিসি ওয়ানের ডকুমেন্টারী ‘অ্যাংজাইটি এন্ড মি’ (নিজেকে নিয়ে ভাবনা) অনুষ্ঠানে নাদিয়া হোসাইন বাংলাদেশের কিশোর বয়স এবং ব্রিটেনের জীবনে নানা হয়রানীর কথা উল্লেখ করেন।
২০১৬ সালে নাদিয়ার কাছে প্রস্তাব আসে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মদিনের কেক বানানোর। আর রানীর জন্মদিনের কেক বানানোর মাধ্যমে তিনি আরো সেলিব্রেটি হয়ে উঠেন ব্রিটেনের মানুষের কাছে। ২০১৭ সালে তিনি প্রথম বই লিখেন ‘টাইম টু ইট’ (Time to Eat)। বইয়ের শিরোনাম দেখেই বোঝা যায় বইটি খাবার সংক্রান্ত। পরবর্তীতে তিনি আরো দু’টি বই লিখেন। এদের একটি ‘দ্যা সিক্রেট লাইভস অব দ্যা আমিরস সিস্টার্স’। এতে গল্পে গল্পে উঠে এসেছে ব্রিটেনে ও বাংলাদেশে বাংলাদেশী কিশোর মেয়েদের বেড়ে উঠার কাহিনী।
তার তৃতীয় বইটিও খাবার নিয়ে। ‘নাদিয়াস ফেমিলি ফেভোরাইটস’ এর মধ্যে নাদিয়া হোসাইন তার পরিবারের সদস্যদের জন্য যেসব মজাদার ও স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরী করেন তা প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি তিনি লিখেছেন ‘ফাইন্ডিং মাই ভয়েস’ বইটি। যা খুব শিগগিরই বাজারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে বইটি অনলাইন এসেছে। বইটিতে নাদিয়া হোসাইন ৫ বছর বয়সে তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে যৌন নিপীড়নের বর্ণনা দেন। ওই নিপীড়নের ফলে তিনি মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়েছিলেন। আর ওই ঘটনার প্রভাবে তিনি ১০ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও উল্লেখ করেন নাদিয়া।
বইটি প্রকাশ উপলক্ষে রোববার ব্রিটিশ দৈনিক দ্যা মেইল অনলাইনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি কিশোর জীবনের কাহিনী বর্ণনা করেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সে সময়ে যৌন নিপীড়নের ফলে আমি আত্মহত্যা করতে গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই। কিন্তু এর ফলে আমার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রচন্ড প্রভাব ফেলে। আর তার প্রভাব আমার জীবনে এখনো রয়ে গেছে।
নাদিয়া তার কৈশোরের যৌন নিগ্রহের কথা প্রথমে তার বোনদের কাছে প্রকাশ করেন। পরে স্কুলের এক বান্ধবীকে বলেন। দ্যা মেইল অনলাইনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, যৌন হয়রানীর ঘটনা আমার জীবনে ৫ বছর বয়সের পর আরো ঘটেছে। আমার মনে হয়, কারো জীবনে এসব বিষয় ঘটলে নিজেদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ জনদের জানানো দরকার। এতে যৌন হয়রানীর ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে জন্ম হলেও ব্রিটেনের লুটন শহরে বেড়ে উঠেন নাদিয়া হোসাইন। যৌন হয়রানী নিয়ে সর্বশেষ বইটি লেখার আগেও তিনি এ বছরের শুরুর দিকে বিবিসি ওয়ান চ্যানেলে তার জীবনের বিভিন্ন সময়ে হয়রানীর শিকার হওয়া নিয়ে কথা বলেন। বিবিসি ওয়ানের ডকুমেন্টারী ‘অ্যাংজাইটি এন্ড মি’ (নিজেকে নিয়ে ভাবনা) অনুষ্ঠানে নাদিয়া হোসাইন বাংলাদেশের কিশোর বয়স এবং ব্রিটেনের জীবনে নানা হয়রানীর কথা উল্লেখ করেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পি পি আলী আকবর ১৯/১০/২০১৯ভালো হয়েছে
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৪/১০/২০১৯ভালো লাগলো