কিশোরী জায়রা
মানুষ মানুষের পরিচয় মুছে দিতে চাইছে! এ কেমন সমাজ ও সভ্যতা? মানুষ তো পশু নয় যে, শুধু চারটা খেতে পারলেই সর্বসুখ। মানুষের আপন পরিচয় আছে, স্বকীয়তা আছে। এমন স্বাজাত্যের কারণেই মানব সমাজে বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। এই বৈচিত্র্য শুধু সৌন্দর্যের প্রতীকই নয়, মানবিক বিকাশের উপাদানও বটে। ভাবতে অবাক লাগে, কিছু দাম্ভিক মানুষও অপরিনামদর্শী উগ্রসমাজ কোনো কোনো জাতি-গোষ্ঠীর অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে, চাইছে তাদের মুখে ভিন্ন ধর্ম-সংস্কৃতির স্লোগান তুলে দিতে। দমন-অবদমন এবং জোর-জবরদস্তির চিত্রটা এখানে খুবই উৎকট। তাই প্রশ্ন জাগে, মানব সভ্যতা এগুচ্ছে না পিছিয়ে যাচ্ছে? চীনে উইঘুর মুসলিম শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করাতে কোনো ধর্ম, সংস্কৃতি কিংবা মতবাদের বিজয় হতে পারে না। স্বাধীন মানবসত্ত্বার এমন অবদমন ও অবমাননাকে কোনো ধার্মিক কিংবা মুক্তবুদ্ধির মানুষ মেনে নিতে পারে না। কিন্তু আমরা মেনে নিচ্ছি কেমন করে? আসলেই আমরা মেনে নিচ্ছি কী?
অবদমনের মাধ্যমে আসলে মানুষকে জয় করা যায় না। মানুষকে জয় করতে প্রয়োজন মুক্ত পরিবেশ, উন্নত জীবন দর্শন ও আচরণ। মানব সমাজে প্রলোভন এবং বিভ্রান্তির পরিবেশও আছে। তবে যে মানুষ আপন বিবেককে, বিশ্বাসকে সম্মান করে; সে আখেরে মানুষই থেকে যায়। কোনো কিছুই তাকে জয় করতে পারে না। ঝলমলে এই জাহেলী সভ্যতায়ও তেমন উদাহরণ লক্ষ্য করা যায়। এ প্রসঙ্গে কিশোরী বলিউড অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের কথা উল্লেখ করা যায়। ঈমান অটুট রাখতে ৩০ জুন হঠাৎ করেই বলিউডের সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করলেন জায়রা। বিবিসি পরিবেশিত প্রতিবেদনটি ০১ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন দৈনিকে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে।
আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ ও ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হয়ে ওঠেন কাশ্মীরে জন্ম নেয়া ভারতীয় অভিনেত্রী জায়রা। খুব অল্প সময়েই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তবে ঘোষণায় তিনি বলেন, নিজস্ব এই পেশার ফলে ধর্ম ও বিশ্বাসের সাথে তার যে সম্পর্ক সেটা নষ্ট হচ্ছিল এবং এ কারণে তিনি মোটেও পরিতৃপ্ত ছিলেন না। জায়রা ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে অভিনয় ছেড়ে দেয়ার কথা জানালে সেটি সাথে সাথেই সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রী তাতে লিখেছেন, ‘আমি হয়তো এখানে (বলিউড) পুরোপুরি ঠিক আছি। কিন্তু আমি এখানকার মানুষ নই।’ জায়রা ওয়াসিম আরো লিখেছেন, বলিউড আমাকে দুই হাত ভরে দিয়েছে। ভালোবাসা, সমর্থন, জীবন-যাপনের পদ্ধতি-সবকিছু। কিন্তু আমি যেভাবে কাজ করেছি, তাতে আমার ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ইসলামের সাথে আমার সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়েছে। আল্লাহর সাথে আমার দূরত্ব বেড়েছে। আমার মানসিক শান্তি নষ্ট হয়েছে। আমি আমার জীবন থেকে বরকত হারিয়েছি।
জায়রা শেষে যে কথাগুলো লিখেছেন, তাতে উপলব্ধি করা যায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এবং সামাজিক চাপের মুখেও মানুষের ঈমান নিজেকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। তিনি লিখেছেন, আমি ভুলতে বসেছিলাম, পৃথিবীতে আমাদের পাঠানোর উদ্দেশ্য। আর শেষ বাক্যে জায়রা জানিয়েছেন, মনের শান্তি ও ঈমানের বিনিময়ে এসব সফলতা, তারকাখ্যাতি, কর্তৃত্ব, সম্পদ কিছুই চান না তিনি। ১৮ বছর বয়সে জায়রা যে উপলব্ধির কথা প্রকাশ করলেন, বর্তমান সময়ে পরিণত বয়সের জ্ঞানী ও ক্ষমতাবান মুসলমানদের মধ্যে তেমন উপলব্ধি কতটা আছে? এমন প্রশ্নে আত্মসমালোচনা করলে মন্দ হয় না।
অবদমনের মাধ্যমে আসলে মানুষকে জয় করা যায় না। মানুষকে জয় করতে প্রয়োজন মুক্ত পরিবেশ, উন্নত জীবন দর্শন ও আচরণ। মানব সমাজে প্রলোভন এবং বিভ্রান্তির পরিবেশও আছে। তবে যে মানুষ আপন বিবেককে, বিশ্বাসকে সম্মান করে; সে আখেরে মানুষই থেকে যায়। কোনো কিছুই তাকে জয় করতে পারে না। ঝলমলে এই জাহেলী সভ্যতায়ও তেমন উদাহরণ লক্ষ্য করা যায়। এ প্রসঙ্গে কিশোরী বলিউড অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের কথা উল্লেখ করা যায়। ঈমান অটুট রাখতে ৩০ জুন হঠাৎ করেই বলিউডের সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেয়ার কথা ঘোষণা করলেন জায়রা। বিবিসি পরিবেশিত প্রতিবেদনটি ০১ জুলাই ঢাকার বিভিন্ন দৈনিকে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে।
আমির খান অভিনীত ‘দঙ্গল’ ও ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ছবিতে অভিনয় করে আলোচিত হয়ে ওঠেন কাশ্মীরে জন্ম নেয়া ভারতীয় অভিনেত্রী জায়রা। খুব অল্প সময়েই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তবে ঘোষণায় তিনি বলেন, নিজস্ব এই পেশার ফলে ধর্ম ও বিশ্বাসের সাথে তার যে সম্পর্ক সেটা নষ্ট হচ্ছিল এবং এ কারণে তিনি মোটেও পরিতৃপ্ত ছিলেন না। জায়রা ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে অভিনয় ছেড়ে দেয়ার কথা জানালে সেটি সাথে সাথেই সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেত্রী তাতে লিখেছেন, ‘আমি হয়তো এখানে (বলিউড) পুরোপুরি ঠিক আছি। কিন্তু আমি এখানকার মানুষ নই।’ জায়রা ওয়াসিম আরো লিখেছেন, বলিউড আমাকে দুই হাত ভরে দিয়েছে। ভালোবাসা, সমর্থন, জীবন-যাপনের পদ্ধতি-সবকিছু। কিন্তু আমি যেভাবে কাজ করেছি, তাতে আমার ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ইসলামের সাথে আমার সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়েছে। আল্লাহর সাথে আমার দূরত্ব বেড়েছে। আমার মানসিক শান্তি নষ্ট হয়েছে। আমি আমার জীবন থেকে বরকত হারিয়েছি।
জায়রা শেষে যে কথাগুলো লিখেছেন, তাতে উপলব্ধি করা যায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এবং সামাজিক চাপের মুখেও মানুষের ঈমান নিজেকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। তিনি লিখেছেন, আমি ভুলতে বসেছিলাম, পৃথিবীতে আমাদের পাঠানোর উদ্দেশ্য। আর শেষ বাক্যে জায়রা জানিয়েছেন, মনের শান্তি ও ঈমানের বিনিময়ে এসব সফলতা, তারকাখ্যাতি, কর্তৃত্ব, সম্পদ কিছুই চান না তিনি। ১৮ বছর বয়সে জায়রা যে উপলব্ধির কথা প্রকাশ করলেন, বর্তমান সময়ে পরিণত বয়সের জ্ঞানী ও ক্ষমতাবান মুসলমানদের মধ্যে তেমন উপলব্ধি কতটা আছে? এমন প্রশ্নে আত্মসমালোচনা করলে মন্দ হয় না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ৩০/১০/২০২০অনবদ্য
-
মোহাম্মদ মাইনুল ২৩/১০/২০১৯ধন্যবাদ।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৫/১০/২০১৯চলবে বন্ধু.............
অনেক ধন্যবাদ -
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৫/১০/২০১৯সুন্দর সুমধুর সুপাঠ্য।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৪/১০/২০১৯চমৎকার
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ০৪/১০/২০১৯পড়লাম ।