বিশ্ব সেরা কৌতুক
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা ইভিএমে ভোট হলে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার সুযোগ থাকবেনা-বলে যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে।রাজনৈতিক অঙ্গন সহ স্যোসাল মিডিয়া, চায়ের আড্ডা সর্বত্রই সিইসির বক্তব্য তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বলা যায় এটি ছিল টক অব দ্য টাউন। এই বিতর্কে ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে অবৈধভাবে নৌকা প্রতীকে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে নির্বাচনের নামে প্রহসনের বিষয়টি আবার সামনে চলে আসে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিইসি ওই মন্তব্য করেন। তার আগে গত বুধবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে সুনামগঞ্জে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথি নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরা কিংবা ভোটের দিন, ভোটের পর গণনার সময় কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’
অধিকাংশ জনগণের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ঐ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।যার কারণে অতি সম্প্রতি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়।বিরোধী দলগুলোর দাবী, জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির কারণে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
মূলত, গত ৩০শে ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই ওই নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ করছিলো বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো।সে সময় নির্বাচন কমিশন থেকে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো। তারপরেও নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এখনো বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। তবে সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা নির্বাচনের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
আজ (রোববার) থেকে সে নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা সিইসি র একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা বলেছেন, "অনিয়ম এগুলো একটা একটা অনুপ্রবেশ করে আর একে প্রতিহত করতে আরেকটা পদক্ষেপ নিতে হয়। আমরা চিন্তা করেছি যে ওগুলোর দরকার নেই আমরা ইভিএম শুরু করবো। তাহলে আর রাতে বাক্স ভর্তির সুযোগ থাকবেনা"।
যদিও দু'মাস আগে সংসদ নির্বাচনের পর ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে।
টিআইবি গত ১৫ জানুয়ারি ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৩০০ আসনের মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫০টি আসন বেছে নিয়ে এই গবেষণা করে সংস্থাটি। এর মধ্যে ৪৭ আসনে নির্বাচনের দিন কোনো না কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে। ৩৩টি আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার ঘটনা পেয়েছে বলে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান শনিবার একটি দৈনিকে বলেন, শুক্রবারের বক্তব্যের মাধ্যমে সিইসি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন যে আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ইফতেখারুজ্জামানের মতে, ইভিএমে ভোট হলে এটা যে হবে না, তাও নির্ভর করছে ইসি ও ক্ষমতাসীন দলের ওপর। ইসি যদি তার ওপর দেওয়া সাংবিধানিক দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন না করে, সরকারি দল যদি আন্তরিক না হয়, তাহলে ইভিএম কেন, যেকোনো পদ্ধতিতে ভোট হলে এর অপব্যবহারের সুযোগ থেকে যায়।
যদিও সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেই দাবি করেছিলো।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তা সিইসির বক্তব্যেই প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, তারা মনে করছেন এখন সিইসির কথাতেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেছে।
"আজকে তার বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সেটা রোধ করার জন্যই তিনি ইভিএমের কথা বলেছেন। তার বক্তব্য থেকে সব সত্য উদঘাটিত হয়েছে"।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিইসি ওই মন্তব্য করেন। তার আগে গত বুধবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে সুনামগঞ্জে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথি নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরা কিংবা ভোটের দিন, ভোটের পর গণনার সময় কোনো অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’
অধিকাংশ জনগণের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ঐ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।যার কারণে অতি সম্প্রতি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়।বিরোধী দলগুলোর দাবী, জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির কারণে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
মূলত, গত ৩০শে ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই ওই নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ করছিলো বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো।সে সময় নির্বাচন কমিশন থেকে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিলো। তারপরেও নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে এখনো বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। তবে সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা নির্বাচনের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
আজ (রোববার) থেকে সে নির্বাচন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা সিইসি র একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নূরুল হুদা বলেছেন, "অনিয়ম এগুলো একটা একটা অনুপ্রবেশ করে আর একে প্রতিহত করতে আরেকটা পদক্ষেপ নিতে হয়। আমরা চিন্তা করেছি যে ওগুলোর দরকার নেই আমরা ইভিএম শুরু করবো। তাহলে আর রাতে বাক্স ভর্তির সুযোগ থাকবেনা"।
যদিও দু'মাস আগে সংসদ নির্বাচনের পর ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে।
টিআইবি গত ১৫ জানুয়ারি ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণার প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৩০০ আসনের মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫০টি আসন বেছে নিয়ে এই গবেষণা করে সংস্থাটি। এর মধ্যে ৪৭ আসনে নির্বাচনের দিন কোনো না কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে। ৩৩টি আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার ঘটনা পেয়েছে বলে টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান শনিবার একটি দৈনিকে বলেন, শুক্রবারের বক্তব্যের মাধ্যমে সিইসি প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন যে আগের রাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ইফতেখারুজ্জামানের মতে, ইভিএমে ভোট হলে এটা যে হবে না, তাও নির্ভর করছে ইসি ও ক্ষমতাসীন দলের ওপর। ইসি যদি তার ওপর দেওয়া সাংবিধানিক দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে পালন না করে, সরকারি দল যদি আন্তরিক না হয়, তাহলে ইভিএম কেন, যেকোনো পদ্ধতিতে ভোট হলে এর অপব্যবহারের সুযোগ থেকে যায়।
যদিও সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলেই দাবি করেছিলো।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন শনিবার বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তা সিইসির বক্তব্যেই প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, তারা মনে করছেন এখন সিইসির কথাতেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রমাণ হয়ে গেছে।
"আজকে তার বক্তব্য প্রমাণ করেছে যে নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সেটা রোধ করার জন্যই তিনি ইভিএমের কথা বলেছেন। তার বক্তব্য থেকে সব সত্য উদঘাটিত হয়েছে"।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০২/০৬/২০১৯মন্তব্য নেই।
-
মোজাহিদুর ইসলাম ইমন ২৯/০৩/২০১৯ভালো ছিলো
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১১/০৩/২০১৯ভালো লিখেছেন
-
আশা মনি ১১/০৩/২০১৯এখ্ন আর সুষ্ঠ ভোট হয়না।