মাছেও বিষ
খাদ্য প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির পরামর্শেই বিভিন্ন রাসায়নিক এমনকি এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও মাত্রা নির্ধারণ করেন তারা।
এছাড়া অনেক খামারেই এখনো মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় মুরগির বিষ্ঠা ও আবর্জনা।
কিন্তু এ ধরণের প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত মাছ মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করছেন গবেষকরা।
কিন্তু চাষের মাছ নিয়ে উদ্বেগ কতটা ব্যাপক? আর এক্ষেত্রে সরকারি নজরদারিই বা কতটা?
ঢাকার মিরপুরে একটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় রুই, কাতল, মৃগেল, কৈ, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন ধরণের, নানান সাইজের মাছ নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতাদের ভাষায় যার কোনটি নদীর মাছ আবার কোনটি চাষের।
এই বাজারে নিয়মিতই মাছ কেনেন রুনা বেগম।
তিনি জানালেন, নদীর মাছ ছাড়া অন্য কোন মাছ তিনি কেনেন না। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,
''নদীর মাছে যে স্বাদ, চাষের মাছে সেটা পাই না। চাষের মাছে সবসময়ই কেমন যেন একটা গন্ধ থাকে। অনেকটা ঘাসের মতো।''
তবে চাষের মাছ কেনেন এরকম ক্রেতারও অভাব নেই। এর বড় একটা কারণ চাষের মাছের দাম কম।
একজন নারী ক্রেতা বলছিলেন, ''অনেক সময় নদীর রুই বা কাতল মাছের যে দাম চায়, তার অর্ধেক দামে চাষের রুই বা কাতল মাছ কিনতে পারি। কিন্তু চাষের মাছ কিনলেও মনে সবসময়ই একটা সন্দেহ থাকে যে এই মাছ কিভাবে, কোথায় চাষ হচ্ছে, মাছকে কি খাওয়াচ্ছে, এসব মাছ খেলে আমাদের কোন ক্ষতি হবে কি-না তা নিয়ে একটা ভয় থাকে।''
এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশে মাছ চাষ নিয়ে একটা সন্দেহ-সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
এর যৌক্তিকতা বুঝতে মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত শহর ময়মনসিংহের ত্রিশালে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই এই এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে যান বিক্রির জন্য।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি মুরগির খামার। এই খামারের বর্জ্য ব্যবহার করা হয় পাশেই মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে।
ত্রিশালের পোড়াবাড়ি এলাকায় দেখা যায় মাছের খামারের সঙ্গে সঙ্গে মুরগির খামারও গড়ে তোলা হয়েছে।
সেখানে দেখা যায় মুরগির খামারের বিষ্ঠা ও অন্যান্য আবর্জনা ধুয়ে নালায় ফেলছেন কয়েকজন কর্মচারী।
সেসব আবর্জনা পরে নালা হয়ে চলে যায় মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে।
খামারের একজন কর্মচারীর জানালেন, গত সাত বছর ধরেই এই মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করেন তারা।
এতে মাছের খাবারের পেছনে ব্যয় অনেকটাই কমে যায় তাদের।
তবে এভাবে বিষ্ঠা ব্যবহার করে যে মাছ চাষ নিষিদ্ধ সেটা জানেন না এই খামারের কেউই।
ত্রিশালেই আরো অন্তত: তিনটি মাছের খামারচোখে পড়ে যেখানে খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার হয়।
এ বিষয়ে কথা হয় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেনের সঙ্গে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন।
তিনি জানালেন, ''মুরগি পালনে নানা রকম এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়। যেগুলো মুরগির বিষ্ঠার মাধ্যমে মাছের শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো ধ্বংস হয় না । তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কয়েকবছর আগেই মাছের খাবার হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।''
কিন্তু এরপরও কেন এই পদ্ধতির ব্যবহার হচ্ছে জানতে চাইলে মি. গোলজার বলেন, ''অনেকে এখনো গোপনে এটা করছে। আমরা জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।''
এরপরে আরো কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা যায় মাছের খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা ''ফিশ ফিড'' ব্যবহার হচ্ছে।
যেগুলো মূলত: ভুট্টা, খৈল, হাড়ের গুড়া, ধানের কুড়া, শুটকিসহ বিভিন্ন উপাদানের মিশেলে তৈরি করা হয়।
তবে এসব খামারে আরো দেখা যায়, মাছের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কিংবা রোগ-বালাই সারাতে খামারিরা বিভিন্ন ওষুধও ব্যবহার করেন।
যেগুলোর মধ্যে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো এন্টিবায়োটিকও আছে।
খামারিরা যে সবসময় এসব ওষুধ ব্যবহার করেন এমন নয়।
তবে যখন ব্যবহার করেন, তখন অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছেমতো কিংবা ফিশ ফিড কোম্পানির প্রতিনিধিদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন তারা।
মোস্তাফিজ রাজু নামে এই খামারের মালিক বলছেন, তার এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা পরামর্শ দিতে আসেন না।
মোস্তাফিজ রাজু নামে একজন খামার মালিক বলেন, ''আমরা তো পটাশ, কিংবা চুন ব্যবহার করি পানি ঠিক রাখার জন্য। আর ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক দরকার হলে ব্যবহার করি। কোম্পানির লোকেরা আসে, তারা বলে কিভাবে কতটুকু ব্যবহার করতে হবে। অনেকসময় অন্য অভিজ্ঞ খামারিদের পরামর্শ নেই।''
মুস্তাফিজ জানান, তার এলাকায় খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা আসেন না তিনিও অধিদপ্তরে কোন পরামর্শের জন্য যান না।
তবে এভাবে ওষুধ ব্যবহারে ঝুঁকি আছে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলছিলেন,
''বাংলাদেশে মাছের যেসব ওষুধ আসে সেগুলো মূলত: বিদেশ থেকে আসে। এগুলো কোন মাত্রায় ব্যবহার হবে তার নির্ধারিত কোন স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু সেভাবে ঠিক করা নেই। চাষিরা অনেকসময় মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কিংবা চিকিৎসার জন্য হরমোন ব্যবহার করেন, এন্টিবায়োটিকও দেন।''
''উদ্দেশ্য যেটাই হোক ওষুধের মাত্রাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হেরফের হলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি চিকিৎসা কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নজরদারি থাকা উচিত।''
তবে মৎস্যবিজ্ঞান অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, তারা সব এলাকাতেই নিয়মিত মনিটরিং করে থাকেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন জানান, ''মাছের খাবার যারা বানায় আমরা সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করি। ক্ষতিকর কিছু কিংবা প্রয়োজনীয় উপাদান না পেলে ব্যবস্থা নেই। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মাছের খামারিদের নিয়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হয়। খাবার এবং ওষুধ কিভাবে, কোন পরিমাণে দিতে হবে তা বলে দেয়া হয়।''
তবে সব এলাকাতেই যে সবসময় নজরদারি সম্ভব হয় না সেটাও স্বীকার করেন তিনি।
এজন্য অবশ্য জনবলের অভাবকেই দায়ী করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
সূত্র: বিবিসি
এছাড়া অনেক খামারেই এখনো মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় মুরগির বিষ্ঠা ও আবর্জনা।
কিন্তু এ ধরণের প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত মাছ মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করছেন গবেষকরা।
কিন্তু চাষের মাছ নিয়ে উদ্বেগ কতটা ব্যাপক? আর এক্ষেত্রে সরকারি নজরদারিই বা কতটা?
ঢাকার মিরপুরে একটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় রুই, কাতল, মৃগেল, কৈ, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন ধরণের, নানান সাইজের মাছ নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা।
বিক্রেতাদের ভাষায় যার কোনটি নদীর মাছ আবার কোনটি চাষের।
এই বাজারে নিয়মিতই মাছ কেনেন রুনা বেগম।
তিনি জানালেন, নদীর মাছ ছাড়া অন্য কোন মাছ তিনি কেনেন না। কিন্তু কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,
''নদীর মাছে যে স্বাদ, চাষের মাছে সেটা পাই না। চাষের মাছে সবসময়ই কেমন যেন একটা গন্ধ থাকে। অনেকটা ঘাসের মতো।''
তবে চাষের মাছ কেনেন এরকম ক্রেতারও অভাব নেই। এর বড় একটা কারণ চাষের মাছের দাম কম।
একজন নারী ক্রেতা বলছিলেন, ''অনেক সময় নদীর রুই বা কাতল মাছের যে দাম চায়, তার অর্ধেক দামে চাষের রুই বা কাতল মাছ কিনতে পারি। কিন্তু চাষের মাছ কিনলেও মনে সবসময়ই একটা সন্দেহ থাকে যে এই মাছ কিভাবে, কোথায় চাষ হচ্ছে, মাছকে কি খাওয়াচ্ছে, এসব মাছ খেলে আমাদের কোন ক্ষতি হবে কি-না তা নিয়ে একটা ভয় থাকে।''
এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশে মাছ চাষ নিয়ে একটা সন্দেহ-সংশয় রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
এর যৌক্তিকতা বুঝতে মাছ চাষের জন্য বিখ্যাত শহর ময়মনসিংহের ত্রিশালে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই এই এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকার মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে যান বিক্রির জন্য।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি মুরগির খামার। এই খামারের বর্জ্য ব্যবহার করা হয় পাশেই মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে।
ত্রিশালের পোড়াবাড়ি এলাকায় দেখা যায় মাছের খামারের সঙ্গে সঙ্গে মুরগির খামারও গড়ে তোলা হয়েছে।
সেখানে দেখা যায় মুরগির খামারের বিষ্ঠা ও অন্যান্য আবর্জনা ধুয়ে নালায় ফেলছেন কয়েকজন কর্মচারী।
সেসব আবর্জনা পরে নালা হয়ে চলে যায় মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে।
খামারের একজন কর্মচারীর জানালেন, গত সাত বছর ধরেই এই মাছের খামারে মাছের খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার করেন তারা।
এতে মাছের খাবারের পেছনে ব্যয় অনেকটাই কমে যায় তাদের।
তবে এভাবে বিষ্ঠা ব্যবহার করে যে মাছ চাষ নিষিদ্ধ সেটা জানেন না এই খামারের কেউই।
ত্রিশালেই আরো অন্তত: তিনটি মাছের খামারচোখে পড়ে যেখানে খাদ্য হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার হয়।
এ বিষয়ে কথা হয় মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেনের সঙ্গে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন।
তিনি জানালেন, ''মুরগি পালনে নানা রকম এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়। যেগুলো মুরগির বিষ্ঠার মাধ্যমে মাছের শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো ধ্বংস হয় না । তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কয়েকবছর আগেই মাছের খাবার হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।''
কিন্তু এরপরও কেন এই পদ্ধতির ব্যবহার হচ্ছে জানতে চাইলে মি. গোলজার বলেন, ''অনেকে এখনো গোপনে এটা করছে। আমরা জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।''
এরপরে আরো কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা যায় মাছের খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করা ''ফিশ ফিড'' ব্যবহার হচ্ছে।
যেগুলো মূলত: ভুট্টা, খৈল, হাড়ের গুড়া, ধানের কুড়া, শুটকিসহ বিভিন্ন উপাদানের মিশেলে তৈরি করা হয়।
তবে এসব খামারে আরো দেখা যায়, মাছের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কিংবা রোগ-বালাই সারাতে খামারিরা বিভিন্ন ওষুধও ব্যবহার করেন।
যেগুলোর মধ্যে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো এন্টিবায়োটিকও আছে।
খামারিরা যে সবসময় এসব ওষুধ ব্যবহার করেন এমন নয়।
তবে যখন ব্যবহার করেন, তখন অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছেমতো কিংবা ফিশ ফিড কোম্পানির প্রতিনিধিদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন তারা।
মোস্তাফিজ রাজু নামে এই খামারের মালিক বলছেন, তার এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের কোন চিকিৎসা কর্মকর্তা পরামর্শ দিতে আসেন না।
মোস্তাফিজ রাজু নামে একজন খামার মালিক বলেন, ''আমরা তো পটাশ, কিংবা চুন ব্যবহার করি পানি ঠিক রাখার জন্য। আর ওষুধ বা এন্টিবায়োটিক দরকার হলে ব্যবহার করি। কোম্পানির লোকেরা আসে, তারা বলে কিভাবে কতটুকু ব্যবহার করতে হবে। অনেকসময় অন্য অভিজ্ঞ খামারিদের পরামর্শ নেই।''
মুস্তাফিজ জানান, তার এলাকায় খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসা কর্মকর্তা আসেন না তিনিও অধিদপ্তরে কোন পরামর্শের জন্য যান না।
তবে এভাবে ওষুধ ব্যবহারে ঝুঁকি আছে বলে জানাচ্ছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলছিলেন,
''বাংলাদেশে মাছের যেসব ওষুধ আসে সেগুলো মূলত: বিদেশ থেকে আসে। এগুলো কোন মাত্রায় ব্যবহার হবে তার নির্ধারিত কোন স্ট্যান্ডার্ড কিন্তু সেভাবে ঠিক করা নেই। চাষিরা অনেকসময় মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য কিংবা চিকিৎসার জন্য হরমোন ব্যবহার করেন, এন্টিবায়োটিকও দেন।''
''উদ্দেশ্য যেটাই হোক ওষুধের মাত্রাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হেরফের হলে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি চিকিৎসা কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও নজরদারি থাকা উচিত।''
তবে মৎস্যবিজ্ঞান অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, তারা সব এলাকাতেই নিয়মিত মনিটরিং করে থাকেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলজার হোসেন জানান, ''মাছের খাবার যারা বানায় আমরা সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করি। ক্ষতিকর কিছু কিংবা প্রয়োজনীয় উপাদান না পেলে ব্যবস্থা নেই। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় মাছের খামারিদের নিয়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হয়। খাবার এবং ওষুধ কিভাবে, কোন পরিমাণে দিতে হবে তা বলে দেয়া হয়।''
তবে সব এলাকাতেই যে সবসময় নজরদারি সম্ভব হয় না সেটাও স্বীকার করেন তিনি।
এজন্য অবশ্য জনবলের অভাবকেই দায়ী করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
সূত্র: বিবিসি
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৯/০৭/২০১৮দুঃখ জনক ঘটনা,অসাধারণ লাগল ।
-
তাওহীদুল ইসলাম ২৭/০৭/২০১৮আহ বিষের জালায় মানুষ বড় অস্থির
-
জহির রহমান ২৭/০৭/২০১৮পড়লাম