অপরাধ সরকারের
আন্দোলনকারীদের ওপর সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃত হুমকি-ধামকি ও পিটিয়ে লম্বা করার ঘোষণা এবং সেই ঘোষণার প্রেক্ষাপটেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক নেতাকে রীতিমত অর্ধচন্দ্র শুধু নয় বরং উত্তম-মধ্যম দেয়ার ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল হতে জটিলতর করে তুলেছে। আর সে ধারাবাহিকতায় সারাদেশেই এখন উত্তম-মধ্যম অভিযান চলছে। আর তা কাহাতক চলবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আর এখানেই সব শেষ হয়নি বরং আন্দোলকারীদের বিরুদ্ধে আইসিটি এক্টের ৫৭ ধারায় মামলা এবং আইনশৃক্সক্ষলা বাহিনী কর্তৃক আটক করার ঘটনা বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থান খুবই স্পষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, সরকার কোটা সংস্কার বা বাতিলে অতীতে মোটেই আন্তরিক ছিল না বা এখনও নয়। বরং দলীয় শক্তি ও রাষ্ট্রীয় শক্তির ব্যবহার করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঔপনিবেশিক শাসন আমলের সাঁওতাল বিদ্রোহ দমনের আদলে দমন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর সার্বিক পরিস্থিতি সেদিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে। কিন্তু এর পার্শপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হলেও কেউ আশ্চর্য হবে না।
গত ৩০ জুন আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন এখন রাজপথে বেশ তৎপর। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে বেশ মারমুখী অবস্থান গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোটা আন্দোলনের অকুস্থল শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের মারধর করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৩০ জুনের ভিকটিমদের নামে মামলা রুজু করে কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করাও হয়েছে। তাদের কেউ কেউ এখন রিমান্ডেও আছেন। একটি যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে সরকারের এমন নেতিবাচক অবস্থান কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বরং তা সাংবিধানিক বা আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। আর যে দেশে রাষ্ট্রই আইনলঙ্ঘনের মহড়া প্রদর্শন করে দেশে আইনের শাসন আশা করা অরণ্যে রোদন বৈ কিছু নয়।
গত ৩০ জুন আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন এখন রাজপথে বেশ তৎপর। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে বেশ মারমুখী অবস্থান গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোটা আন্দোলনের অকুস্থল শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের মারধর করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৩০ জুনের ভিকটিমদের নামে মামলা রুজু করে কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করাও হয়েছে। তাদের কেউ কেউ এখন রিমান্ডেও আছেন। একটি যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নিয়ে সরকারের এমন নেতিবাচক অবস্থান কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বরং তা সাংবিধানিক বা আইনের শাসনের মারাত্মক লঙ্ঘন। আর যে দেশে রাষ্ট্রই আইনলঙ্ঘনের মহড়া প্রদর্শন করে দেশে আইনের শাসন আশা করা অরণ্যে রোদন বৈ কিছু নয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১০/০৭/২০১৮ভাল।
-
কামরুজ্জামান সাদ ১০/০৭/২০১৮বাংলাদেশের ত্রাসের নাম এই ছাত্র সংগঠনটি।