মে মাসের সরকারী সন্ত্রাস
মাদক কারবার দমনের নামে ক্রসফায়ার ছিল অন্যতম আলোচিত ইস্যু। মে মাসে ১০৪টি রাজনৈতিক ঘটনার তথ্যে নিহতের সংখ্যা ১৫। এই ১৫ জনের ৪ জনই খুন হয় আওয়ামী লীগের হাতে, ছাত্রলীগের হাতে ২ ও ইউপিডিএফ-এর হাতে ৯ জন। এ মাসে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় প্রাপ্ত তথ্যে আহত হয় ১৫২ জন এবং গ্রেফতার অনেক বেশী হলেও ১৯৫ জনের খবর পাওয়া গেছে বাকীদের তথ্য প্রকাশিত হয়নি, গ্রেফতারকৃতরা অধিকাংশই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং দন্ডপ্রাপ্ত ৪ জন, এই ৪ জনের আওয়ামী লীগের ১, যুব লীগের ২ ও জেএমবির ১ জন। মে মাসে প্রাপ্ত তথ্যে নিহত যারা- (১) নরসিংদীর রায়পুরার দলীয় কোন্দলে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক খুন হয়, (২) যশোর সদরে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে তরুণ লীগ নেতা শেখ মনিরুল ইসলাম নিহত হয়, (৩) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের হাতে পুলিশ কনষ্টেবল রাসেল মাহমুদ সুমন নিহত ও (৪) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কলেজ ছাত্র হোসেন আহমেদ রুবেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা এবং মুড়াপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদসহ ১৪ জনকে আসামী করা হয়, (৫) ফরিদপুর সদরে বাবলু হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আটক ও (৬) শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্মাণ শ্রমিক মোস্তফা গান্ধাকে হত্যার অভিযোগ এবং (৭) রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ(প্রসিত)-এর হাতে জেএসএস-এমএন কেন্দরীয় সহ-সভাপতি ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শক্তিমান চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়, (৮) রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ (প্রসিত) গ্রুপের হাতে ইউপিডিএফ (বার্মা) গ্রুপের প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বার্মা, (৯) সুজন চাকমা, (১০) টনক চাকমা, (১১) সেতু লাল চাকমা ও (১২) সজিব খুন হয়, (১৩) রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ-এর (গণতান্ত্রিক ও প্রসিত) গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে অটল চাকমা, (১৪) স্মৃতি চাকমা ও (১৫) সঞ্জীব চাকমা নিহত হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০১/০৭/২০১৮বড়ই নির্মম
-
Shafi md Omar Faruq ২৯/০৬/২০১৮এমন মোটেও কাম্য নয়
-
রবিউল হাসান ২৮/০৬/২০১৮সময়ের সাহসী লেখা।সত্যকে তুলে ধরাই কলম যুদ্ধার কাজ।