www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এ দিন দিন নয় আরো দিন আছে

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য মানবাধিকারের সাথে ঠাট্টা বলে অভিযোগ করেছে সোসাল এক্টিভেস্টরা।

এছাড়া তিনি (কাদের) এমন বক্তব্যের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছেন বলে মন্তব্য করেছে দলটি।
‘এমন মহৎ অভিযানে (মাদকবিরোধী অভিযান) দু-একটি ভুল হতেই পারে। এটা কতটা নিষ্ঠুর ঠাট্টা! মানুষের জীবন নিয়ে এমন ভুল আমরা কীভাবে মেনে নিতে পারি?’

বেশীরভাগ আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে কেবল মানবাধিকার উপেক্ষা করেননি বরং খুনি ও সন্ত্রাসীদের মতো অবৈধ হত্যাকাণ্ডেরও সমর্থন করেছেন।

তারা দাবি করেন, ড্রাগ চেইনের লিংক হিসেবে চুরি চোট্টামি করা ছিঁচকে কিছু মানুষসহ প্রমাণহীন আরো অজ্ঞাত অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা অভিযান চালানো হলেও চেইনের শীর্ষে বসে থাকা অমিত ক্ষমতাধর গডফাদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

বল্গাররা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘মাদক সরবরাহের উৎস পথ আঁটকে যাচ্ছে না কেন ? তাহলে কারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাদক ঢুকতে সহায়তা করছে ? রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কী উৎসমুখ খোলা থাকে ? কারণ এই উৎসমুখগুলো প্রশাসনের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ করেন বদির মতো এমপিরা। বদিসহ ক্ষমতাসীনদের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কীভাবে এতগুলো গোয়েন্দা সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে গেল জাতি তা জানতে চায়। সরকারই গডফাদারদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করছে।’
কাউন্সিলর একরাম হত্যার অডিওতে তার স্ত্রী ও মেয়েদের কান্না শুধু বাংলাদেশের মানুষের বিবেকই নয়, বিশ্ববিবেককেও নাড়িয়ে দিয়েছে।
গত ৪ মাসে ২৫০ জন মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যাদের বেশীরভাগই আবার তরুণ যুবক। তারা কে কতটুকু অপরাধের সাথে জড়িত সে সম্পর্কে জনগণকে অন্ধকারে রেখে বিনা বিচারে হত্যার পেছনে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। ‘বেআইনী হত্যার জন্য তো গোটা সরকারই দায়ী, সরকারের আশকারাতেই কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে চলছে দেশব্যাপী মানুষ হত্যার বিভিষীকা।’

-ইউএনবি
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৬৭৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৬/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast