একটি হত্যা শুধু একটি জীবন নয়
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি জানায়, মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে তাতে নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগসহ আইন লঙ্ঘনের সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের’ ভিত্তিতে তৈরি করা তালিকা ধরে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তা আইনগতভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ‘তালিকাভুক্তরা’ প্রচলিত বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই যেভাবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হচ্ছেন তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
চুনোপুটিরা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যদাতা হতে পারতেন। এখন একদিকে যেমন প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা নস্যাৎ হচ্ছে, অন্যদিকে মাদক ব্যবসার মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।’
অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ও বিচার ব্যবস্থা অনুসরণ এবং মাদক সরবরাহ ব্যবস্থার রুই-কাতলাদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মত দেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি আরো জানান, সারা বিশ্বের কোথাও ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদক নিয়ন্ত্রণ বা অন্যকোনো অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর পদ্ধতি বলে প্রমাণিত হয়নি।-ইউএনবি
সংস্থাটি ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি জানায়, মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ যেভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে তাতে নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগসহ আইন লঙ্ঘনের সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের’ ভিত্তিতে তৈরি করা তালিকা ধরে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তা আইনগতভাবে কতটা গ্রহণযোগ্য সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি, ‘তালিকাভুক্তরা’ প্রচলিত বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই যেভাবে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হচ্ছেন তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক।
চুনোপুটিরা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যদাতা হতে পারতেন। এখন একদিকে যেমন প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা নস্যাৎ হচ্ছে, অন্যদিকে মাদক ব্যবসার মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।’
অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন ও বিচার ব্যবস্থা অনুসরণ এবং মাদক সরবরাহ ব্যবস্থার রুই-কাতলাদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মত দেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি আরো জানান, সারা বিশ্বের কোথাও ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদক নিয়ন্ত্রণ বা অন্যকোনো অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর পদ্ধতি বলে প্রমাণিত হয়নি।-ইউএনবি
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রবিউল হাসান ০২/০৬/২০১৮মাদকবিরোধী এ অভিযান একটা ক্ষমতার অপব্যবহার।
-
পবিত্র চক্রবর্তী ০২/০৬/২০১৮অনেক কিছু জানলাম বাংলাদেশ সম্পর্কে