মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই জানা গেল, খোদ রাজধানীর মুগদা থানার সাত পুলিশ কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছেন। টাকা নিয়ে মাদক বেচাকেনার সুযোগ করে দিতেন তারা। মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করা সাত পুলিশ কর্মকর্তার নাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। ওই সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে মুগদা থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানার ওসি মো. এনামুল হক।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের বিপরীত চিত্র শুধু মুগদা থানার কিছু কর্মকর্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গত ২০ মে রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নরসিংদীর বেলাব থেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বেলাব থানার এসআই খোরশেদ হোসেন। এর আগে গত সপ্তাহে রাজবাড়ী থেকে হাইওয়ে রেঞ্জের এসআই বেলাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই সোহরাওয়ার্দী হোসেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কনস্টেবল আসাদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গত ২৬ এপ্রিল ইয়াবাসহ খিলগাঁও থানার এএসআই মজনু হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া এই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী ও মজনু ছাড়া বাকি ৩ জন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
একেই বোধ হয় বলা হয়, শর্ষের ভেতর ভূত! এ জন্যই তো আমাদের সমাজে ভূত তাড়ানোর কাজটা এত কঠিন হয়ে উঠেছে। খোদ পুলিশ কর্মকর্তাই যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী হয়ে যায় কিংবা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে, তাহলে মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে কেমন করে? তবে আশার কথা, এই সব অপরাধীরা চিহ্নিত হচ্ছে, গ্রেফতারও হচ্ছে। এখানে বলার মতো বিষয় হলো, পুলিশের মধ্যে বিরাজমান অপরাধীদের চিহ্নিত করার কাজটি যেন শুধু কোনো বিশেষ অভিযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। সারা বছরই যেন এই কার্যক্রম চালু থাকে। এ ছাড়া পুলিশে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন এখন সমাজে বড় হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে সরকার এবং পুলিশের করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি।
দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের বিপরীত চিত্র শুধু মুগদা থানার কিছু কর্মকর্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গত ২০ মে রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নরসিংদীর বেলাব থেকে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বেলাব থানার এসআই খোরশেদ হোসেন। এর আগে গত সপ্তাহে রাজবাড়ী থেকে হাইওয়ে রেঞ্জের এসআই বেলাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই সোহরাওয়ার্দী হোসেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কনস্টেবল আসাদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গত ২৬ এপ্রিল ইয়াবাসহ খিলগাঁও থানার এএসআই মজনু হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া এই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী ও মজনু ছাড়া বাকি ৩ জন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
একেই বোধ হয় বলা হয়, শর্ষের ভেতর ভূত! এ জন্যই তো আমাদের সমাজে ভূত তাড়ানোর কাজটা এত কঠিন হয়ে উঠেছে। খোদ পুলিশ কর্মকর্তাই যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী হয়ে যায় কিংবা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে, তাহলে মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে কেমন করে? তবে আশার কথা, এই সব অপরাধীরা চিহ্নিত হচ্ছে, গ্রেফতারও হচ্ছে। এখানে বলার মতো বিষয় হলো, পুলিশের মধ্যে বিরাজমান অপরাধীদের চিহ্নিত করার কাজটি যেন শুধু কোনো বিশেষ অভিযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। সারা বছরই যেন এই কার্যক্রম চালু থাকে। এ ছাড়া পুলিশে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন এখন সমাজে বড় হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে সরকার এবং পুলিশের করণীয় আছে বলে আমরা মনে করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম আলমগীর হোসেন ২৯/০৫/২০১৮রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে কিভাবে দেশ থেকে দুর্নীতি কমবে।
-
সায়েম মুর্শেদ ২৭/০৫/২০১৮এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে এবং ব্যক্তিস্বার্থে যেন তা ব্যবহৃত না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে
-
সেলিম রেজা সাগর ২৫/০৫/২০১৮অসাধারণ