সৈরাচারী আসলে কে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা মেরুকরণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে বিএনপিসহ ২০ দলের অংশগ্রহণ করা না-করার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার নানাভাবে বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি এতে বাধার সৃষ্টি করতে না পারায় তারা আত্মবিশ্বাসী হয়ে অনেক অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ড করছে। নির্বাচন হলে পরাজয় অবধারিত এটা নিশ্চিত হয়ে আবারো ৫ জানুয়ারির মতো একটি নির্বাচন করে ‘বোনাস হিসেবে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে’ আওয়ামী লীগ এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না; অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চরম। বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। বিদেশীরাও জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র না থাকায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। দলীয়করণের কারণে প্রশাসনে অস্থিরতা। বিদেশী বিনিয়োগ কমে গেছে। প্রায় ১৫ হাজার শিল্প-কারাখানা কয়েক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে অথবা কান পাতলেই তা স্পষ্ট হয়। প্রায় প্রতিদিনই দুর্নীতির কোনো না কোনো খবর প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। দুর্নীতির এসব খবরের কিছু আবার বড় আকারের অভিযোগ। ব্যাংক সেক্টরের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরও জেনেছে দেশবাসী। নিয়োগ-বাণিজ্যও এখন ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি বলা যায়। তবে সাম্প্রতিককালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির ব্যাপারে বেশ তৎপর হয়েছে বলা যায়। বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি। আমরা মনে করি, এককভাবে দুদকের পক্ষে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা যাবে না, কিছুটা প্রতিরোধ করা যাবে হয়তো। বস্তুত বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত সমাজে পরিণত করতে হলে সর্বদিক বিস্তৃত পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। রাজনীতিতে নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা সেসব পদক্ষেপের একটি। রাজনীতিই যেহেতু পরিচালনা করে দেশের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড, সেহেতু রাজনীতিতে ন্যায়নীতি, আদর্শ না থাকলে সাধারণ মানুষও আদর্শহীন হয়ে পড়তে পারে। একটা বিষয় লক্ষ করা যায়, ক্ষমতাসীন অথবা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই দুর্নীতিতে জড়ায় বেশি, কারণ দুর্নীতি করার সুযোগ বেশি থাকে তাদের। সুতরাং ক্ষমতাসীন দলকেই দুর্নীতি না করার পরাকাষ্ঠা দেখাতে হবে প্রথমত। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির ব্যাপারে থাকতে হবে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতি, তা ছোট অথবা বড়-অভিযোগ ওঠামাত্রই তার তদন্ত করে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলে অথবা কান পাতলেই তা স্পষ্ট হয়। প্রায় প্রতিদিনই দুর্নীতির কোনো না কোনো খবর প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। দুর্নীতির এসব খবরের কিছু আবার বড় আকারের অভিযোগ। ব্যাংক সেক্টরের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরও জেনেছে দেশবাসী। নিয়োগ-বাণিজ্যও এখন ওপেন সিক্রেট দুর্নীতি বলা যায়। তবে সাম্প্রতিককালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতির ব্যাপারে বেশ তৎপর হয়েছে বলা যায়। বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি। আমরা মনে করি, এককভাবে দুদকের পক্ষে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা যাবে না, কিছুটা প্রতিরোধ করা যাবে হয়তো। বস্তুত বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত সমাজে পরিণত করতে হলে সর্বদিক বিস্তৃত পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। রাজনীতিতে নৈতিকতা ফিরিয়ে আনা সেসব পদক্ষেপের একটি। রাজনীতিই যেহেতু পরিচালনা করে দেশের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড, সেহেতু রাজনীতিতে ন্যায়নীতি, আদর্শ না থাকলে সাধারণ মানুষও আদর্শহীন হয়ে পড়তে পারে। একটা বিষয় লক্ষ করা যায়, ক্ষমতাসীন অথবা তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই দুর্নীতিতে জড়ায় বেশি, কারণ দুর্নীতি করার সুযোগ বেশি থাকে তাদের। সুতরাং ক্ষমতাসীন দলকেই দুর্নীতি না করার পরাকাষ্ঠা দেখাতে হবে প্রথমত। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতির ব্যাপারে থাকতে হবে জিরো টলারেন্স। দুর্নীতি, তা ছোট অথবা বড়-অভিযোগ ওঠামাত্রই তার তদন্ত করে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
লিখন মাহমুদ ১৬/০৪/২০১৮চাই দূর্নীতিমুক্ত স্বাধীনতা!!
-
ইবনে মিজান ০৬/০৪/২০১৮মিথ্যেবাদিতা পরিহার করুক নেতারা!
সব ঠিক হয়ে যাবে। -
আবুল খায়ের ০৩/০৪/২০১৮গুড
-
কাজী জহির উদ্দিন তিতাস ৩০/০৩/২০১৮সুন্দর রচনা, ভাল লাগলো।
-
কামরুজ্জামান সাদ ৩০/০৩/২০১৮চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখা।
-
মীর মুহাম্মাদ আলী ২৯/০৩/২০১৮সুন্দর রচনা।
-
মোহাম্মদ রাসেল প্রধান ২৯/০৩/২০১৮both parties are shit