রড আর লাঠির আঘাত
‘শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করল ছাত্রলীগ’ শিরোনামে একটি খবর মুদ্রিত হয়েছে পত্রিকান্তরে। ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে মুদ্রিত খবরটিতে বলা হয়, বাঁ চোখে তাকাতেই পারছিলেন না। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ঘুষিতে ফুলে গেছে সেটা। কপালে, ঠোঁটে লেগে আছে রক্তের দাগ। কালচে হয়ে গেছে প্রতিটি আঘাতের স্থান। কপাল ফুলে উঁচু হয়ে আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের এই ছাত্রের নাম এহসান রফিক। থাকেন সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের বারান্দায়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল শাখার ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন চালায় তার ওপর। থেমে থেমে কিল-ঘুষিতো পড়েছেই, রড আর লাঠির আঘাতও ছিল সমানে।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে তিন দফা পেটানো হয়। শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দিতে চাপ দেওয়া হয়। মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে চেক করা হয়। তার বাবা রফিকুল ইসলাম একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি। তারও ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। কিছু না পেয়ে শেষমেশ হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তাহসান আহমেদের কক্ষে আটকে রাখা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় এহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আজ বেলা আড়াইটার দিকে তাহসান ভাইয়ের রুম থেকে পালিয়ে আসি। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া। কিন্তু কোনভাবে শিবির প্রমাণ করতে না পেরে আমাকে আটকে রাখে। ছোট একটা ঘটনাকে ওরা রাজনৈতিকভাবে নিয়েছে।’
আহত এহসানের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন তার ছেলের চোখের কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলোচ্য ঘটনায় শুধু নির্যাতিত একজন ছাত্রের কর্নিয়াই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-প্রশাসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ এবং ছাত্র রাজনীতিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা আরো বহু ঘটেছে। কিন্তু তার তেমন কোন প্রতিকার হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের প্রশ্রয়ে ওদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ এহসান রফিক। এ ধরনের ঘটনা আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও রাজনীতির অধঃপতনের স্বাক্ষর বহন করে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন কী?
উল্লেখ্য যে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে তিন দফা পেটানো হয়। শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দিতে চাপ দেওয়া হয়। মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে চেক করা হয়। তার বাবা রফিকুল ইসলাম একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি। তারও ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। কিছু না পেয়ে শেষমেশ হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তাহসান আহমেদের কক্ষে আটকে রাখা হয়। গত বুধবার সন্ধ্যায় এহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আজ বেলা আড়াইটার দিকে তাহসান ভাইয়ের রুম থেকে পালিয়ে আসি। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে হল থেকে বের করে দেওয়া। কিন্তু কোনভাবে শিবির প্রমাণ করতে না পেরে আমাকে আটকে রাখে। ছোট একটা ঘটনাকে ওরা রাজনৈতিকভাবে নিয়েছে।’
আহত এহসানের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন তার ছেলের চোখের কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলোচ্য ঘটনায় শুধু নির্যাতিত একজন ছাত্রের কর্নিয়াই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-প্রশাসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ এবং ছাত্র রাজনীতিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা আরো বহু ঘটেছে। কিন্তু তার তেমন কোন প্রতিকার হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের প্রশ্রয়ে ওদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত রয়েছে। যার অন্যতম উদাহরণ এহসান রফিক। এ ধরনের ঘটনা আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও রাজনীতির অধঃপতনের স্বাক্ষর বহন করে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন কী?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৩/০২/২০১৮মর্মান্তিক,ধন্যবাদ আপনাকে।
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৩/০২/২০১৮মর্মান্তিক
-
ইবনে মিজান ১২/০২/২০১৮সব সম্ববের দেশে!