অপকৌশল
নতুন বছরকে ‘নির্বাচনী’ বছর বিবেচনা করে রাজনীতির মাঠে নানা প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে সরকারি মহল তাদের বিরোধীজোটকে আদালতের বারান্দায় আটকে রেখেই নির্বাচন পার করার কৌশল নিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। এই কৌশলেরই অংশ হিসেবে অসংখ্য মামলায় জড়িয়ে রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের মূল নেতাদের।
নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকলেও প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনের আগাম প্রচার-প্রচারণা মাঠে গড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন সাংগঠনিক ও নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার করছে তখন বিএনপিজোটের নেতাদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে আদালতে। বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুধু রাজধানীর বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতেই বিচারাধীন রয়েছে ১৬টি মামলা। এরমধ্যে একটি মামলা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসেই এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের ৩-৪ দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরা দিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। তার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও হাজির থাকছেন আদালতে। সামনের দিনগুলোতে এ হাজিরার সংখ্যা আরো বাড়তে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি না বদলালে কোর্ট-কাছারিতেই চলতি বছর কাটাতে হবে বিএনপি নেত্রীকে। দলটির প্রায় সব নেতারই একই অবস্থা। সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতিকে ‘আইনের নিজস্ব গতি’ বলে প্রচার চালানো হলেও এটা যে সরকারি কৌশলেরই একটা অংশ এব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।
বিরোধীজোটের আইনজীবীদের অভিযোগ, মামলা-কৌশলেরই অংশ হয়ে ইতোমধ্যে বিএনপির দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমানের একটি মামলায় হাইকোর্টে সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার কার্যক্রমও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করা তারেক রহমান এসব মামলায় পূর্ণাঙ্গ আইনি লড়াইয়েরও সুযোগ পাচ্ছেন না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে প্রায় একশ’ মামলা। তাকেও ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে আদালত পাড়ায়। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মামলা। এসব মামলায় তাদেরকেও প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সর্বত্রই একই চিত্র। সাবেক এমপিদের কেউ কেউ এরইমধ্যে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ‘সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। এ কারণে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চায়। এ জন্যই এসব করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।’ নেতাদের মতে, ‘বর্তমান পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা দূরের কথা, তাদেরকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কার্যক্রমই পরিচালনা করতে দেয়া হচ্ছে না।’
নির্বাচনের এক বছর বাকি থাকলেও প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনের আগাম প্রচার-প্রচারণা মাঠে গড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন সাংগঠনিক ও নির্বাচনী তৎপরতা জোরদার করছে তখন বিএনপিজোটের নেতাদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে আদালতে। বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুধু রাজধানীর বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতেই বিচারাধীন রয়েছে ১৬টি মামলা। এরমধ্যে একটি মামলা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসেই এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তাহের ৩-৪ দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরা দিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। তার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও হাজির থাকছেন আদালতে। সামনের দিনগুলোতে এ হাজিরার সংখ্যা আরো বাড়তে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি না বদলালে কোর্ট-কাছারিতেই চলতি বছর কাটাতে হবে বিএনপি নেত্রীকে। দলটির প্রায় সব নেতারই একই অবস্থা। সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিস্থিতিকে ‘আইনের নিজস্ব গতি’ বলে প্রচার চালানো হলেও এটা যে সরকারি কৌশলেরই একটা অংশ এব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।
বিরোধীজোটের আইনজীবীদের অভিযোগ, মামলা-কৌশলেরই অংশ হয়ে ইতোমধ্যে বিএনপির দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমানের একটি মামলায় হাইকোর্টে সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার কার্যক্রমও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করা তারেক রহমান এসব মামলায় পূর্ণাঙ্গ আইনি লড়াইয়েরও সুযোগ পাচ্ছেন না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে প্রায় একশ’ মামলা। তাকেও ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে আদালত পাড়ায়। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে একাধিক মামলা। এসব মামলায় তাদেরকেও প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সর্বত্রই একই চিত্র। সাবেক এমপিদের কেউ কেউ এরইমধ্যে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ‘সরকার চায় না বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। এ কারণে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকার বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে চায়। এ জন্যই এসব করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে।’ নেতাদের মতে, ‘বর্তমান পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা দূরের কথা, তাদেরকে স্বাভাবিক রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কার্যক্রমই পরিচালনা করতে দেয়া হচ্ছে না।’
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২২/০১/২০১৮অনেক সুন্দর।