গুম খুনের আরো একটি বছর
বিদায়ী বছরে দেশে ৯১ জন নিখোঁজ হয়েছিলেন,তার মধ্যে ৬৫ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান দিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলেছে, সার্বিক পরিস্থিতি ‘চরম উদ্বেগজনক’।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে আসকের সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, “২০১৭ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার ঘটনার পাশাপাশি এ বছর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নিখোঁজ হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা।” সম্মেলনে আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক রওশন জাহান পারভীন ও নীনা গোস্বামী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে আসক গুম, খুন, নিখোঁজের এই পরিসংখ্যান দিয়েছে।
তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার শিকার হন ৬০ জন। এর মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, পরিবারের কাছে ফেরত আসে সাত জন। বাকি ৪৩ জনের খোঁজ মেলেনি এখনও। এছাড়া ‘রহস্যজনক’ নিখোঁজের সংখ্যা আরও ৩১ বলে জানিয়েছে আসক। তাদের মধ্যে ৯ জন ফেরত এলেও তাদের ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; পরিবারের কাছে ফেরত গেছেন তিনজন।
বছরটিতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড নির্যাতন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও বরাবরের মতো উদ্বেজ জানিয়েছে আসক। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলীবিনিময়’ এবং হেফাজতে মোট ১৬২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ‘ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও গুলীবিনিময়ে’ নিহত হন ১২৬ জন।
মোবাশ্বার হাসান সিজারের সন্ধান দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশ পরে এই প্রতিবাদ হয়েছিল, সিজারসহ কয়েকজনকে ফেরত পাওয়া গেলেও ফেরেননি বেশিরভাগই মোবাশ্বার হাসান সিজারের সন্ধান দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশ পরে এই প্রতিবাদ হয়েছিল, সিজারসহ কয়েকজনকে ফেরত পাওয়া গেলেও ফেরেননি বেশিরভাগই । বাকিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে ১২ জন, গ্রেপ্তারের আগে ও পরে ১৮ জন, গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যায় একজন, অসুস্থ হয়ে চারজন এবং একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এছাড়া কারাগারে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ৩৩ জন হাজতি ও ২০ জন কয়েদি ছিলেন।
বছরটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যও ‘উদ্বেগজনক’ ছিল বলে মন্তব্য করেন ফয়জুল কবির। তিনি বলেন, এ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের ২১২টি প্রতিমা, ৪৫টি বাড়ি-ঘর ও ২১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় একজন নিহত ও ৬৭ জন আহত হন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার অপব্যবহার এবং মতপ্রকাশের বাধা দেওয়ার ঘটনার কথাও আসে আসকের প্রতিবেদনে।
ফয়জুল কবির বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিক, লেখকসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময়ে টিভি টকশোসহ সংবাদমাধ্যমে লেখা ও স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য লেখক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মীদের হুমকি ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।”
সম্মেলনে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধি, সন্ত্রাসী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা ১২২ জন সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতন, হামলা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান দিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলেছে, সার্বিক পরিস্থিতি ‘চরম উদ্বেগজনক’।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করে আসকের সমন্বয়ক আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, “২০১৭ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল চরম উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার ঘটনার পাশাপাশি এ বছর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের নিখোঁজ হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা।” সম্মেলনে আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক রওশন জাহান পারভীন ও নীনা গোস্বামী।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে আসক গুম, খুন, নিখোঁজের এই পরিসংখ্যান দিয়েছে।
তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যার শিকার হন ৬০ জন। এর মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, পরিবারের কাছে ফেরত আসে সাত জন। বাকি ৪৩ জনের খোঁজ মেলেনি এখনও। এছাড়া ‘রহস্যজনক’ নিখোঁজের সংখ্যা আরও ৩১ বলে জানিয়েছে আসক। তাদের মধ্যে ৯ জন ফেরত এলেও তাদের ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; পরিবারের কাছে ফেরত গেছেন তিনজন।
বছরটিতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড নির্যাতন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও বরাবরের মতো উদ্বেজ জানিয়েছে আসক। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলীবিনিময়’ এবং হেফাজতে মোট ১৬২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ‘ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও গুলীবিনিময়ে’ নিহত হন ১২৬ জন।
মোবাশ্বার হাসান সিজারের সন্ধান দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশ পরে এই প্রতিবাদ হয়েছিল, সিজারসহ কয়েকজনকে ফেরত পাওয়া গেলেও ফেরেননি বেশিরভাগই মোবাশ্বার হাসান সিজারের সন্ধান দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশ পরে এই প্রতিবাদ হয়েছিল, সিজারসহ কয়েকজনকে ফেরত পাওয়া গেলেও ফেরেননি বেশিরভাগই । বাকিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনে ১২ জন, গ্রেপ্তারের আগে ও পরে ১৮ জন, গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যায় একজন, অসুস্থ হয়ে চারজন এবং একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এছাড়া কারাগারে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ৩৩ জন হাজতি ও ২০ জন কয়েদি ছিলেন।
বছরটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যও ‘উদ্বেগজনক’ ছিল বলে মন্তব্য করেন ফয়জুল কবির। তিনি বলেন, এ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের ২১২টি প্রতিমা, ৪৫টি বাড়ি-ঘর ও ২১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় একজন নিহত ও ৬৭ জন আহত হন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার অপব্যবহার এবং মতপ্রকাশের বাধা দেওয়ার ঘটনার কথাও আসে আসকের প্রতিবেদনে।
ফয়জুল কবির বলেন, আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সাংবাদিক, লেখকসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময়ে টিভি টকশোসহ সংবাদমাধ্যমে লেখা ও স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য লেখক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মীদের হুমকি ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।”
সম্মেলনে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধি, সন্ত্রাসী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা ১২২ জন সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতন, হামলা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাহিদ সিদ্দিকী আলিফ ০১/০১/২০১৮! ..!
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০১/০১/২০১৮অজানা তথ্য।
-
কামরুজ্জামান সাদ ০১/০১/২০১৮তথ্যবহুল