বুদ্ধিজীবি হত্যা বাংলাদেশে তফাৎ কোথায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে, পাকিস্তানী সৈন্য ও তাদের সহযোগী রাজাকাররা পলায়নরত ঠিক সে সময়ে দেশের বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যাতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। আজও দেশের ভিন্নমতের বুদ্ধিজীবীদের গুম-হত্যা করা হচ্ছে। যাতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে কেউ জোরালোভাবে কথা বলতে না পারে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি শামছুদ্দিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে’র সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি নূরুল আমীন রোকন, মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ডিইউজে’র সহ-সভাপতি খুরশিদ আলম, কলামিস্ট আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা শেখ রকিব উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, জসিম মেহেদী, ডি.এম. আমিরুল ইসলাম অমর, খন্দকার আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, এইচ এম আল-আমিন, মতিউর রহমান, আবু হানিফ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ’৭১ এর ১ ডিসেম্বর থেকে দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত হয়ে পড়ে। তাহলে ১৪ ডিসেম্বর কারা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো ? তিনি আরো বলেন, বর্তমানেও দেশে বুদ্ধিজীবীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই মামলা করা হচ্ছে। মিছিল-সমাবেশও করতে দেয়া হচ্ছে না। অনেককে ধরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আহত না হলেও রক্ষী বাহিনীর হাতে আত্যাচারিত হয়েছি। এ ইতিহাস এখনও ভুলিনি। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে দেশে এখনও বুদ্ধিজীবী মহলকে গুম-খুন করা হচ্ছে। দেশের মানুষ আজ এ গুম-খুন নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা বড় বড় বক্তব্য দিয়ে থাকেন। যারা আজকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে দাবি করেন। তারা কেন জহির রায়হানের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন না। তারা আজকের বুদ্ধিজীবীদের গুমের ঘটনাকে ঘৃণা করেন না। আজ কেন বিনা কারণে মাহমুদুর রহমানকে মামলা দেয়া হচ্ছে। সত্য কথা বলার কারণেই তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পেলেই এসবের অবসান হবে।
এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশে আজ প্রকৃত বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। যারা আছেন তারাও সত্য কথা বলতে পারছেন না। আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সরকারের সমালোচনা করে একটি বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে দেশের ৩২ জেলায় মামলা করা হয়েছে। কবি ও গবেষক ফরহাদ মজহারকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু দেশী-বিদেশী চাপের কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম আজ সত্য কথা তুলে ধরতে পারছে না। এজন্য মুক্ত গণমাধ্যম ফিরে পেতে আমাদের আবার লড়াই করতে হবে।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, দেশের যেসব বুদ্ধিজীবী পাকিস্তানের পক্ষে থেকে চাকরি-বাকরি করেছেন তারাই পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতিকালে কিভাবে হত্যার শিকার হলেন, কারা তাদের হত্যা করলো তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। একইভাবে মেজর জলিল সেক্টর কমান্ডার হবার পরও মুক্তিযুদ্ধের সময়ই কেন তাকে কারাবন্দী করা হয় এবং তাকে কোন পদক-পদবী দেয়া হয়নি তা আজো প্রশ্ন হয়ে রয়েছে।
এম এ আজিজ বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতেই পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকাররা পালাতে শুরু করে, তাহলে তারা কিভাবে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো? পরে জহির রায়হানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে সেই জহির রায়হানও গুম হয়ে গেলেন কেন?
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। জাতি যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা করা হয়। আজও একইভাবে দেশের বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকদের হত্যা-গুম করা হচ্ছে।
মুহাম্মদ বাকের হোসাইন বলেন, ’৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর শুধু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরই হত্যা করা হয়নি, এ ঘটনার মাধ্যমে জাতিকেও বিভক্ত করা হয়েছে। এখন সর্বত্রই বিভক্তি আর বিভক্তি। এখন যারা বুদ্ধিজীবী আছেন তাদের কণ্ঠও স্তব্ধ হয়ে গেছে। জাতির প্রয়োজনে তারা এখন আর এগিয়ে আসছেন না। মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। বিএফইউজের সিনিয়র সহসভাপতি শামছুদ্দিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে’র সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি নূরুল আমীন রোকন, মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ডিইউজে’র সহ-সভাপতি খুরশিদ আলম, কলামিস্ট আব্দুল আউয়াল ঠাকুর, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা শেখ রকিব উদ্দিন, বেলায়েত হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, জসিম মেহেদী, ডি.এম. আমিরুল ইসলাম অমর, খন্দকার আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম, এইচ এম আল-আমিন, মতিউর রহমান, আবু হানিফ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ’৭১ এর ১ ডিসেম্বর থেকে দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ৫ ডিসেম্বরের পর থেকেই পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত হয়ে পড়ে। তাহলে ১৪ ডিসেম্বর কারা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো ? তিনি আরো বলেন, বর্তমানেও দেশে বুদ্ধিজীবীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই মামলা করা হচ্ছে। মিছিল-সমাবেশও করতে দেয়া হচ্ছে না। অনেককে ধরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে আহত না হলেও রক্ষী বাহিনীর হাতে আত্যাচারিত হয়েছি। এ ইতিহাস এখনও ভুলিনি। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে দেশে এখনও বুদ্ধিজীবী মহলকে গুম-খুন করা হচ্ছে। দেশের মানুষ আজ এ গুম-খুন নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা বড় বড় বক্তব্য দিয়ে থাকেন। যারা আজকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে দাবি করেন। তারা কেন জহির রায়হানের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন না। তারা আজকের বুদ্ধিজীবীদের গুমের ঘটনাকে ঘৃণা করেন না। আজ কেন বিনা কারণে মাহমুদুর রহমানকে মামলা দেয়া হচ্ছে। সত্য কথা বলার কারণেই তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পেলেই এসবের অবসান হবে।
এম আবদুল্লাহ বলেন, দেশে আজ প্রকৃত বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। যারা আছেন তারাও সত্য কথা বলতে পারছেন না। আমার দেশ এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সরকারের সমালোচনা করে একটি বক্তব্য দেয়ায় তার বিরুদ্ধে দেশের ৩২ জেলায় মামলা করা হয়েছে। কবি ও গবেষক ফরহাদ মজহারকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু দেশী-বিদেশী চাপের কারণে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম আজ সত্য কথা তুলে ধরতে পারছে না। এজন্য মুক্ত গণমাধ্যম ফিরে পেতে আমাদের আবার লড়াই করতে হবে।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, দেশের যেসব বুদ্ধিজীবী পাকিস্তানের পক্ষে থেকে চাকরি-বাকরি করেছেন তারাই পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতিকালে কিভাবে হত্যার শিকার হলেন, কারা তাদের হত্যা করলো তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। একইভাবে মেজর জলিল সেক্টর কমান্ডার হবার পরও মুক্তিযুদ্ধের সময়ই কেন তাকে কারাবন্দী করা হয় এবং তাকে কোন পদক-পদবী দেয়া হয়নি তা আজো প্রশ্ন হয়ে রয়েছে।
এম এ আজিজ বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতেই পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকাররা পালাতে শুরু করে, তাহলে তারা কিভাবে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলো? পরে জহির রায়হানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে সেই জহির রায়হানও গুম হয়ে গেলেন কেন?
জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। জাতি যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য পরিকল্পিতভাবে এ হত্যা করা হয়। আজও একইভাবে দেশের বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকদের হত্যা-গুম করা হচ্ছে।
মুহাম্মদ বাকের হোসাইন বলেন, ’৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর শুধু জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরই হত্যা করা হয়নি, এ ঘটনার মাধ্যমে জাতিকেও বিভক্ত করা হয়েছে। এখন সর্বত্রই বিভক্তি আর বিভক্তি। এখন যারা বুদ্ধিজীবী আছেন তাদের কণ্ঠও স্তব্ধ হয়ে গেছে। জাতির প্রয়োজনে তারা এখন আর এগিয়ে আসছেন না। মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রিয় ১৮/০১/২০১৮অসাধারণ
-
শেখ ফাহিম ২১/১২/২০১৭নিতান্তই সত্য
-
দীপঙ্কর বেরা ১৭/১২/২০১৭গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৬/১২/২০১৭কথা সত্য
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৫/১২/২০১৭সঠিক বলেছেন।