আসল নকল
‘নকলবাজিতেই সব বন্দী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন মুদ্রিত হয়েছে পত্রিকান্তরে। ২৭ নভেম্বর তারিখে মুদ্রিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে নাগরিক জীবনযাত্রার সবকিছুই নকলবাজিতে বন্দী হয়ে পড়েছে। নকলবাজির এ সা¤্রাজ্যে সবই আছে, শুধু আসলটাই উধাও। বাজারে এমন কিছু নেই যা নকল হয় না। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সার, কসমেটিকস, পানীয়, ইলেক্ট্রনিক, অটো মোবাইল পার্টস, পাইপ, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট সবকিছুরই নকল আছে। আছে ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া পুলিশও। নকল ভেজাল মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যসামগ্রীতে ছেয়ে গেছে দেশ। অবলীলায় এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে চোখের সামনেই।
নকলবাজির এমন দৌরাত্ম্যে প্রশ্ন জাগে, এ থেকে কি মানুষের রক্ষা নেই? আমরা জানি, পণ্য ভেরিফিকেশনের জন্য হলোগ্রাম, স্টিকার, স্ক্যানার, আরএফআইডি ট্যাগ, বারকোড ইত্যাদি সিস্টেম চালু আছে। কিন্তু এসব হলোগ্রাম বা স্টিকারগুলো যদি নকল হয়ে যায় তখন গ্রাহক আসল-নকল আলাদা করবেন কীভাবে? তাই চকচকে মোড়কের পণ্য আসল পণ্য কিনা তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। বরং নকল পণ্যের মোড়ক বা প্যাকেটই নাকি এখন অধিক উন্নত। কারণ নকলবাজদের লক্ষ্য তো এখন পণ্য নয় বরং মোড়ক। এমন পরিস্থিতি সবার জন্য বিব্রতকর। আমরা জানি, মানসম্পন্ন পণ্য পাওয়া নাগরিকদের অধিকার। কিন্তু এই অধিকার নিশ্চিত করবে কে? সরকার ও প্রশাসনের ওপরই তো এই দায় বর্তায়। এ নিয়ে রাজনীতি হতে পারে, ব্লেমগেমও হতে পারে কিন্তু এতে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না।
পরিস্থিতির উন্নয়নে বিধিসম্মত পদক্ষেপ তো নিতেই হবে। আইনের শাসন থাকলে তো আইনকে গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে আর একটি মুখ্য বিষয় বোধ হয় এখন গৌণ হতে চলেছে। আর তা হলো নৈতিক মূল্যবোধ, যার উৎস ধর্ম। এ ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতার কারণে নকলের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। নিত্যনতুন কৌশলে ও চাতুর্যে বিধি ও ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। মানুষের মেধা এখন ভুল পথে ব্যবহার হচ্ছে বেশি। এখানেই আমাদের সংকট, সভ্যতারও সংকট।
নকলবাজির এমন দৌরাত্ম্যে প্রশ্ন জাগে, এ থেকে কি মানুষের রক্ষা নেই? আমরা জানি, পণ্য ভেরিফিকেশনের জন্য হলোগ্রাম, স্টিকার, স্ক্যানার, আরএফআইডি ট্যাগ, বারকোড ইত্যাদি সিস্টেম চালু আছে। কিন্তু এসব হলোগ্রাম বা স্টিকারগুলো যদি নকল হয়ে যায় তখন গ্রাহক আসল-নকল আলাদা করবেন কীভাবে? তাই চকচকে মোড়কের পণ্য আসল পণ্য কিনা তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। বরং নকল পণ্যের মোড়ক বা প্যাকেটই নাকি এখন অধিক উন্নত। কারণ নকলবাজদের লক্ষ্য তো এখন পণ্য নয় বরং মোড়ক। এমন পরিস্থিতি সবার জন্য বিব্রতকর। আমরা জানি, মানসম্পন্ন পণ্য পাওয়া নাগরিকদের অধিকার। কিন্তু এই অধিকার নিশ্চিত করবে কে? সরকার ও প্রশাসনের ওপরই তো এই দায় বর্তায়। এ নিয়ে রাজনীতি হতে পারে, ব্লেমগেমও হতে পারে কিন্তু এতে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না।
পরিস্থিতির উন্নয়নে বিধিসম্মত পদক্ষেপ তো নিতেই হবে। আইনের শাসন থাকলে তো আইনকে গুরুত্ব দিতেই হবে। তবে আর একটি মুখ্য বিষয় বোধ হয় এখন গৌণ হতে চলেছে। আর তা হলো নৈতিক মূল্যবোধ, যার উৎস ধর্ম। এ ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতার কারণে নকলের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। নিত্যনতুন কৌশলে ও চাতুর্যে বিধি ও ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। মানুষের মেধা এখন ভুল পথে ব্যবহার হচ্ছে বেশি। এখানেই আমাদের সংকট, সভ্যতারও সংকট।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৭/১২/২০১৭আমাদের নৈতিক অবক্ষয় হতে আর দেরি নেই।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৬/১২/২০১৭সবাইকে ভাবতে হবে
-
দীপঙ্কর বেরা ০৬/১২/২০১৭ভাবা দরকার