www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বর্ণবাদী সমাজ গঠন

এমনিতেই বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিভিন্ন দল মত রয়েছে। রয়েছে উচু নিচু বিস্তর ব্যবধান। ধর্মে ধর্মে হানাহানি আর জাত প্রথার মত সমাজ বিধ্বংশী সব কার্যক্রম। অন্যদিকে রয়েছে নারী পুরুষ বৌষম্য, বিভিন্ন সামাজিক গোষ্টির (হিজড়া, সমলিঙ্গকামী ইত্যাদি) প্রতি মানুষের ঘৃণা , অবহেলা। বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষায়, শিক্ষিত নয়। বিভিন্ন কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের কবলে সত্যবাদি ধর্মীয় নেতারা সংখালঘু, ঘৃণিত বর্জিত ও নির্যাতিত। প্রগতিশীলরা বিদেশের দাসত্বে আবদ্ধ। তাই এসব অসংখ্য সমস্যা- দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক শান্তি স্থাপনে অক্ষম। এসবকিছুর মধ্যে ও আশা থাকে, আমাদের আশা হল শিক্ষা দিক্ষায় অগ্রগতি, আমাদের এসব থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় দেশে এখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও যেভাবে বর্ণবাদি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরো মলিন আরো, আগ্রাসী, আরো স্বার্থপর করে গড়ে তোলবে সন্দেহ নাই। এদের মধ্যে একটি বর্ণবাদী জলন্ত উদাহরণ হলোঃ বিভিন্ন জেলার দর্নাম বর্ণনা দিতে বিতর্ক । এটি এখন বহুল আলোচিত ও সকলের বিনোদনের মাধ্যম। আগে শুনতাম পত্যেক ধর্মের মানুষ তার আপণ ধর্মকে বড় করে দেখে এজন্য আমাদের সমগ্র ভারতবর্ষে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। রোহিঙ্গা হলো একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু আমরা যেভাবে আমাদের কোমলমতি শিশুদের পরচর্চা শেখাচ্ছি, তাতে তাদের মনে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা কি ঐ শিক্ষা গরুদের মাথায় আসেনা। নাকি পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৯১৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/১১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা
  • সুজয় সরকার ১৬/১১/২০১৭
    আপনার বক্তব্য একেবারে ঠিক এবং সেই কারণেই যথেষ্ট উদ্বেগেরও বটে,তবে মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ তাই আশা রাখি একদিন সবাই বুঝতে পারবে যে মানুষের একমাত্র পরিচয় সে মানুষ।
  • সোলাইমান ১৬/১১/২০১৭
    এই কথা গুলি দারুন মুগ্ধ করে গেল।
    প্রীয় কবিকে একরাশ রজনী গন্ধার শুভেচ্ছা এবং
    অসংখ্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রেখেগেলাম।
    ভালো থাকুন শুভেচ্সছা রইল !
 
Quantcast