কাতালোনিয়া স্বায়ত্তশাসন
স্পেনের কাতালোনিয়া এতোদিন স্বায়ত্তশাসিতই ছিল। এর মধ্যে সেখানকার নেতা কার্লোস পুজদেমন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বেশ বিপাকেই পড়লেন বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য স্বাধীনতার পক্ষে যথেষ্ট জনসমর্থনও রয়েছে। কাতালানরা যেভাবে থাকতে চান সেভাবে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার হয়তো চায় না বলেই স্বাধীনতার দাবি উঠেছে। পুজদেমন নিজেও যথেষ্ট জনপ্রিয় বলেই মনে হয়। অন্যথায় তার পেছনে এতো মানুষ থাকবেন কেন? অবশ্য কাতালানরা সবাই পুজদেমনের পক্ষে তাও না। কারণ স্বাধীনতার বিপক্ষেও জনতার ঢল্ নেমেছে কাতালোনিয়ায়। এতে বোঝা যায় স্পেনের এ অংশটির মানুষ কার্যত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সমস্যা হয়েছে এখানেই। অর্থাৎ কার্লোস পুজদেমন সব কাতালানকে দলে ভেড়াতে ব্যর্থই হয়েছেন। আর এটা করতে না পারায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই দলের কয়েক জনকে নিয়ে তিনি বেলজিয়াম পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এদিকে স্পেনের সরকার স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে দেয় এবং আদালত পুজদেমনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ফলে সেখানে পুজদেমনের স্বাধীনতার ঘোষণা এখন কেবল বেআইনিই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহেরও শামিল। কাজেই পুজদেমন ও তার সহযোগীরা এখন বেশ বিপাকেই রয়েছেন বলা যায়।
অনেকে মনে করেন, স্পেনের দমন-পীড়ন নীতির দরুন কাতালানরা ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠছে। যেকোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কেন্দ্রীয় শাসন সহজে কাতালানরা মেনে নেবেন কি? মনে হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ এখন অনেকটাই মুখোমুখি। তবে পুজদেমন রণেভঙ্গ দিয়ে ভেগে যাওয়ায় স্বাধীনতাকামীরা কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অন্যদিকে স্পেনের কেন্দ্রীয় প্রশাসনও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। এমতাবস্থায় কাতালোনিয়ায় এখন অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কে কোন দিকে যাবে জনগণ অনেকটা বিভ্রান্তির মধ্যে দিনযাপন করছে। উভয় পক্ষই মাঠে আছে। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে জনগণকে ক’দ্দিন থাকতে হয় কেউ বলতে পারেন না। তবে সাধারণ জনগণ যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে স্পেনকে নজর দিতে হবে। এছাড়া ভালোবাসা দিয়ে জনগণকে পক্ষে রাখা যতো সহজ, দমন-পীড়নে তা সম্ভব নাও হতে পারে। একথা স্পেনীয় সরকারের মনে রাখা উচিত। একটা আশার কথা হচ্ছে কাতালোনিয়ার সাধারণ নির্বাচন সামনে। এ নির্বাচনে চলমান পরিস্থিতির প্রভাব নিশ্চয়ই পড়বে। এতেও একটা সুরাহা বেরিয়ে আসতে পারে কাতালানরা কোন পথে এগোবেন।
অনেকে মনে করেন, স্পেনের দমন-পীড়ন নীতির দরুন কাতালানরা ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠছে। যেকোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কেন্দ্রীয় শাসন সহজে কাতালানরা মেনে নেবেন কি? মনে হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ এখন অনেকটাই মুখোমুখি। তবে পুজদেমন রণেভঙ্গ দিয়ে ভেগে যাওয়ায় স্বাধীনতাকামীরা কিছুটা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অন্যদিকে স্পেনের কেন্দ্রীয় প্রশাসনও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। এমতাবস্থায় কাতালোনিয়ায় এখন অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কে কোন দিকে যাবে জনগণ অনেকটা বিভ্রান্তির মধ্যে দিনযাপন করছে। উভয় পক্ষই মাঠে আছে। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে জনগণকে ক’দ্দিন থাকতে হয় কেউ বলতে পারেন না। তবে সাধারণ জনগণ যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে স্পেনকে নজর দিতে হবে। এছাড়া ভালোবাসা দিয়ে জনগণকে পক্ষে রাখা যতো সহজ, দমন-পীড়নে তা সম্ভব নাও হতে পারে। একথা স্পেনীয় সরকারের মনে রাখা উচিত। একটা আশার কথা হচ্ছে কাতালোনিয়ার সাধারণ নির্বাচন সামনে। এ নির্বাচনে চলমান পরিস্থিতির প্রভাব নিশ্চয়ই পড়বে। এতেও একটা সুরাহা বেরিয়ে আসতে পারে কাতালানরা কোন পথে এগোবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবুল খায়ের ১৫/১১/২০১৭কাতালোনিয়া স্বায়ত্তশাসন স্থগিত
-
সোলাইমান ১৩/১১/২০১৭ভালো লাগলো।।আমন্তণ আমার পাতায়।
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৩/১১/২০১৭সুন্দর বিশ্লেষণ
-
Mahbubur Rahman ১২/১১/২০১৭ভালো লেগেছে ।