দাড়ি টুপি অসুর
সাউথ এশিয়ান মনিটর রিপোর্ট করেছে, বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপিত হলো মাত্র কয়েকদিন আগে। কিন্তু এবারের পূজা গৌহাটিকে করেছে খবরের শিরোনাম। দেবী দুর্গার ১০০ ফুট উঁচু প্রতিমা তৈরি করা হয় ভারতের আসামের এ শহরে। তাও আবার বাঁশ দিয়ে। আর এর নকশাকার ছিলেন এক মুসলিম শিল্পী নুরুদ্দিন আহমদ। বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠামো হিসেবে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ তার এ কর্ম স্থান পাবে বলে নুরুদ্দিনের আশা। দুর্গাপ্রতিমার সঙ্গে অনিবার্যভাবে আরও যেসব মূর্তি থাকে সেগুলোর একটি অসুর বা মহিষাসুর। এ সেই দুষ্ট দৈত্য দুর্গা যাকে যুদ্ধে শেষপর্যন্ত বিনাশ করেন। গৌহাটির কাঠামোতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না। কিন্তু এতে অসুরকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা খুবই ষড়যন্ত্রমূলক এবং অনেকের জন্য নিতান্ত বেদনাদায়ক।
সাধারণভাবে অসুরকে উপস্থাপন করা হয় গোঁফধারী, কৃষ্ণ-চর্ম, রাগত ও ক্ষুব্ধ লোচন বিশিষ্ট একজন যোদ্ধা হিসেবে। যার এক হাতে খোলা তরবারি, আরেক হাতে স্বর্পভঙ্গিতে দুর্গার সঙ্গে যুদ্ধপ্রস্তুতি। অসুরের এই ভাবমূর্তির অন্যথা চোখে পড়ে না বললেই চলে। কিন্তু বিষ্ণুপুর সর্বজনীন পূজা কমিটির ওই সুদীর্ঘ দুর্গাপ্রতিমার সঙ্গে এক ভিন্ন চেহারার অসুরকে দেখা যায়। দুর্গার পায়ের তলায় আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে পড়ে থাকা বাঁশের তৈরি এ দুষ্ট দৈত্যকে দেখে স্পষ্টভাবে মনে হবে এ যেন এক মুসলিম এবং ‘মাওলানা’। মুখভর্তি দাড়ি। মাথায় টুপি! পরাজয়ের ভঙ্গিতে যেভাবে পড়ে আছে, তাতে একজন পরাজিত ‘মাওলানা’র অপমানজনক অনুভূতি টের পাওয়া যায়। তাই হতভম্ব দর্শকদের প্রশ্ন, মহিষাসুর টুপি পরতে শিখলো কবে, দাড়িইবা তার ছিল কখন?
গরুর গোশত ভক্ষণের জন্য মুসলনমাদের ওপর হামলাই হোক অথবা মিয়ানমারের সেবাবাহিনী ও বৌদ্ধদের নির্মমতা থেকে বাঁচতে আশ্রয়ার্থী অসহায় রোহিঙ্গাদের শাস্তি প্রদানই হোক এ সন্ধিক্ষণে ভারতে নিয়মিত বিরতিতে মুসলিমবিরোধী চেতনার বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ ঘটে, তখন এ দৈত্যকে মুসলিমরূপ প্রদানের সুস্পষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে হয়। আর সেই কাজটিও করানো হয়েছে একজন মুসলিমশিল্পীকে দিয়ে। তাই মুসলমানদের খোঁচাতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন পর্যবেক্ষক মহলের। তাদের জিজ্ঞাসা, হিন্দত্ববাদে প্রভাবিত বিজেপি সরকারের আমলে এটা কি কোনও ‘পরীক্ষামূলক’ ঘটনা? মুসলমানদের আর কতভাবে অপদস্থ করা যায় তারা কি তার সীমা দেখতে চান?
এ কাঠামোটি গিনেস বুক অব রেকর্ডস-এ অন্তর্ভুক্ত হলে তা দুর্গা ও অসুরের একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিমূর্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এ নতুন ‘মুসলিম’ ধাঁচের অসুরই কি হবে তাহলে যুৎসই আদর্শ? দৈত্যরূপে চিত্রায়িত করে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের চেহারায় কালিমা লেপনের এটা কি কোনও চতুর ষড়যন্ত্র? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এমন উসকানিমূলক কাজের দরুন যদি কোনওরকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা আসাম অথবা ভারতের কোথাও ঘটে যায় তাহলে তার দায়ভার নেবেন তো সংশ্লিষ্টরা?
সাধারণভাবে অসুরকে উপস্থাপন করা হয় গোঁফধারী, কৃষ্ণ-চর্ম, রাগত ও ক্ষুব্ধ লোচন বিশিষ্ট একজন যোদ্ধা হিসেবে। যার এক হাতে খোলা তরবারি, আরেক হাতে স্বর্পভঙ্গিতে দুর্গার সঙ্গে যুদ্ধপ্রস্তুতি। অসুরের এই ভাবমূর্তির অন্যথা চোখে পড়ে না বললেই চলে। কিন্তু বিষ্ণুপুর সর্বজনীন পূজা কমিটির ওই সুদীর্ঘ দুর্গাপ্রতিমার সঙ্গে এক ভিন্ন চেহারার অসুরকে দেখা যায়। দুর্গার পায়ের তলায় আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে পড়ে থাকা বাঁশের তৈরি এ দুষ্ট দৈত্যকে দেখে স্পষ্টভাবে মনে হবে এ যেন এক মুসলিম এবং ‘মাওলানা’। মুখভর্তি দাড়ি। মাথায় টুপি! পরাজয়ের ভঙ্গিতে যেভাবে পড়ে আছে, তাতে একজন পরাজিত ‘মাওলানা’র অপমানজনক অনুভূতি টের পাওয়া যায়। তাই হতভম্ব দর্শকদের প্রশ্ন, মহিষাসুর টুপি পরতে শিখলো কবে, দাড়িইবা তার ছিল কখন?
গরুর গোশত ভক্ষণের জন্য মুসলনমাদের ওপর হামলাই হোক অথবা মিয়ানমারের সেবাবাহিনী ও বৌদ্ধদের নির্মমতা থেকে বাঁচতে আশ্রয়ার্থী অসহায় রোহিঙ্গাদের শাস্তি প্রদানই হোক এ সন্ধিক্ষণে ভারতে নিয়মিত বিরতিতে মুসলিমবিরোধী চেতনার বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ ঘটে, তখন এ দৈত্যকে মুসলিমরূপ প্রদানের সুস্পষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে হয়। আর সেই কাজটিও করানো হয়েছে একজন মুসলিমশিল্পীকে দিয়ে। তাই মুসলমানদের খোঁচাতে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন পর্যবেক্ষক মহলের। তাদের জিজ্ঞাসা, হিন্দত্ববাদে প্রভাবিত বিজেপি সরকারের আমলে এটা কি কোনও ‘পরীক্ষামূলক’ ঘটনা? মুসলমানদের আর কতভাবে অপদস্থ করা যায় তারা কি তার সীমা দেখতে চান?
এ কাঠামোটি গিনেস বুক অব রেকর্ডস-এ অন্তর্ভুক্ত হলে তা দুর্গা ও অসুরের একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিমূর্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এ নতুন ‘মুসলিম’ ধাঁচের অসুরই কি হবে তাহলে যুৎসই আদর্শ? দৈত্যরূপে চিত্রায়িত করে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের চেহারায় কালিমা লেপনের এটা কি কোনও চতুর ষড়যন্ত্র? আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এমন উসকানিমূলক কাজের দরুন যদি কোনওরকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা আসাম অথবা ভারতের কোথাও ঘটে যায় তাহলে তার দায়ভার নেবেন তো সংশ্লিষ্টরা?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৭/১০/২০১৭অসাধারণ
-
শাহজাদা আল হাবীব ২৬/১০/২০১৭☺
-
আবু সাইদ লিপু ২১/১০/২০১৭ধর্মীয় সম্প্রতি প্রয়োজন
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২১/১০/২০১৭অসম্ভ সুন্দর।
-
নাজিবুল হাসান মোল্লা ২১/১০/২০১৭সুন্দর
-
আজাদ আলী ২১/১০/২০১৭Valo likhechen.