সরকারি দলের বাড়াবাড়ি
ভিন্নমত সব সময়ই মঙ্গলজনক কিন্তু বর্তমান সরকারের তা কেন বোধগম্য নয়, এটি ভাববার বিষয়। কোন বহিরাষ্ট্র যদি দেশ চালায় , তাহলে এরকম হয় কিন্তু সে দেশ চালানো স্থায়ী বা চিরস্থায়ী হয়না। তারা সাময়িক সুবিধা আদায়ের জন্য, হেন কর্ম নেই করেনা। কিছু স্বার্থন্বেষী ও তাদের সহায়তা করে। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এরকম একটি কঠিন পরিবেশে দঃসাহসী অভিযানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ দলটিই এখন দেশে ভিন্নমত সহ্য করতে পারছেনা। ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর জামাতের মিছিলে প্রকাশ্যে হত্যাযজ্ঞ, বিরোধীদের গুম, খুন, একপেশে বিচার, প্রধান বিচার পতির অবৈধভাবে প্রত্যাহার ইত্যাদি অসংখ্য নজির বিদ্যমান। বর্তমানে আওয়ামিলীগ এতই বেপরওয়া যে নিজেরা নিজেদের খুন করছে। বিরোধী যে কোন সমাবেশে আক্রমণ করছে, যা নিতান্তই বর্বরচিত। যেকোন দলের সভা সমাবেশে অস্ত্রসহ আক্রমণ ঘরোয়া যুদ্ধের ঘোষণা। আমি বিশ্বাস করিনা দলের কেন্দ্রিয় পর্যায়ের ইশারা ছাড়া এসব হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরিত প্রতিক্রিয়া আছে। এসব দেখে মনে হছ্ছে দেশে আওয়ামিলীগই যুদ্ধ চাছ্ছে। কোন দেশের ক্ষমতাশীলরা সাধারণত এসব চায়না। যদিও কিছু কিছু দেশে এর ব্যতিক্রম আছে। আর এরকম যদি চলতে থাকে অন্য কারো (অন্য দেশেে) ইশারায়, তাতে দেশের কোন লাভ নেই। এর বিরোদ্ধে এ দেশের সকল দলের মানুষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নতুবা বিরোধীদের অন্যদেশ কাজে লাগাবে এটিই সাভাবিক। তখন কিন্তু বাংলাদেশ সিরিয়ার মত অগ্নিগর্ভে রূপলাভ করবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৭/১০/২০১৭অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-
আবুল খায়ের ২৪/১০/২০১৭ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু ।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২০/১০/২০১৭অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয়কবি।
-
আজাদ আলী ২০/১০/২০১৭সুন্দর, প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অফুরান প্রিয় কবি।