রোহিঙ্গা নিধন চলছে
মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর জুলুম-নির্যাতন, সহিংসতা ও বর্বরতা সীমালংঘন করেছে। দেশের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা বসতিতে ঢুকে নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করে বেপরোয়া গুলী চালাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। নারীদের সম্ভ্রমহানি করছে। এমন দুর্বিসহ অবস্থায় ২ হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোঁড়া অনেক গুলী বাংলাদেশের ভূখ-ে এসে পড়ছে। ফলে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশের ভূখ-ে আর একটি গুলী পড়লে তার পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এতো ব্যাপক বর্বরতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা যেন সভ্যতার শাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হচ্ছে না। রোহিঙ্গারা মুসলমান এটাই কি তার বড় কারণ?
আরও বড় আশংকার খবর হলো, রাখাইন রাজ্য থেকে অমুসলিম মিয়ানমার নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে অমুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার মিয়ানমার নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এটি সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর বড় ধরনের দমন অভিযানের প্রস্তুতি বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছেন। এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশৃঙ্খল অবস্থা ও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় প্রবেশের কড়াকড়িতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা জটিল হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে আক্রমণের যে ঘটনা ঘটেছে তা এতো ব্যাপকভিত্তিক ছিল যে, এটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার চেয়ে আন্দোলন বা বিদ্রোহ বলাই শ্রেয়। একটি সেনা সূত্র জানায়, ‘সব গ্রামবাসী চরমপন্থীতে পরিণত হয়েছে। তারা যা করছে তা বিদ্রোহের শামিল। হামলাকারীরা মরবে কি বাঁচবে তা নিয়ে পরোয়া করছে না। আমরা বলতে পারছি না তাদের মধ্যে কারা বিচ্ছিন্নতাবাদী।’ পর্যবেক্ষকদের মতে, আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (এআরএসএ) নেতা আতাউল্লাহর নেতৃত্বে অনেক রোহিঙ্গাই সংগঠিত হচ্ছে। ৩০টি পুলিশ স্টেশন ও ১টি সেনা ছাউনিতে একযোগে আক্রমণ রোহিঙ্গাদের ঘুরে দাঁড়ানো হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এআরএসএ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
রাখাইন রাজ্যের সংকট নিরসনে মিয়ানমার সরকার গঠিত আনান কমিশনের প্রতিবেদনে অতিমাত্রায় শক্তি প্রয়োগ করলে রোহিঙ্গা চরমপন্থীদের উত্থান হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া, তাদের চলাফেরা নিশ্চিত করা, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন মানবিক সেবার অধিকার দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এদিকে রাখাইন পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালনের ব্যাপারে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপর স্থানীয়ভাবে চাপ বাড়ছে। মালয়েশিয়ান কনসালটেটিভ কাউন্সিল অব ইসলামিক অর্গানাইজেশন (মাপিস) রোহিঙ্গাদের রক্ষায় আশিয়ানের প্রভাবশালী রাষ্ট্র মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরস্ত্র নাগরিক বিশেষত চরম ঝুঁকিতে থাকা নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের উপযুক্ত নিরাপত্তা এবং আশ্রয় নিশ্চিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে বর্বরতা ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ তার দায় শুধু মিয়ানমার সরকারের উপরই বর্তায় না, মানবতাবিরোধী এমন অপরাধ অব্যাহতভাবে চলতে দেয়ায় ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বর্তমান সভ্যতার শাসকদেরও। লক্ষণীয় বিষয় হলো, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জুলুম-নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে জাতিসংঘসহ কোন কোন মানবাধিকার সংগঠন কিছু কথা বললেও এখনও কার্যকর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন। তেমন পরিবর্তন আসে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও বড় আশংকার খবর হলো, রাখাইন রাজ্য থেকে অমুসলিম মিয়ানমার নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম রাখাইনে চলমান সংঘাতের মধ্যে অমুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার মিয়ানমার নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এটি সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর বড় ধরনের দমন অভিযানের প্রস্তুতি বলে অনেকে আশংকা প্রকাশ করেছেন। এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশৃঙ্খল অবস্থা ও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় প্রবেশের কড়াকড়িতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা জটিল হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে আক্রমণের যে ঘটনা ঘটেছে তা এতো ব্যাপকভিত্তিক ছিল যে, এটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার চেয়ে আন্দোলন বা বিদ্রোহ বলাই শ্রেয়। একটি সেনা সূত্র জানায়, ‘সব গ্রামবাসী চরমপন্থীতে পরিণত হয়েছে। তারা যা করছে তা বিদ্রোহের শামিল। হামলাকারীরা মরবে কি বাঁচবে তা নিয়ে পরোয়া করছে না। আমরা বলতে পারছি না তাদের মধ্যে কারা বিচ্ছিন্নতাবাদী।’ পর্যবেক্ষকদের মতে, আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (এআরএসএ) নেতা আতাউল্লাহর নেতৃত্বে অনেক রোহিঙ্গাই সংগঠিত হচ্ছে। ৩০টি পুলিশ স্টেশন ও ১টি সেনা ছাউনিতে একযোগে আক্রমণ রোহিঙ্গাদের ঘুরে দাঁড়ানো হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এআরএসএ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
রাখাইন রাজ্যের সংকট নিরসনে মিয়ানমার সরকার গঠিত আনান কমিশনের প্রতিবেদনে অতিমাত্রায় শক্তি প্রয়োগ করলে রোহিঙ্গা চরমপন্থীদের উত্থান হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া, তাদের চলাফেরা নিশ্চিত করা, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন মানবিক সেবার অধিকার দেয়ার সুপারিশ করা হয়। এদিকে রাখাইন পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালনের ব্যাপারে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উপর স্থানীয়ভাবে চাপ বাড়ছে। মালয়েশিয়ান কনসালটেটিভ কাউন্সিল অব ইসলামিক অর্গানাইজেশন (মাপিস) রোহিঙ্গাদের রক্ষায় আশিয়ানের প্রভাবশালী রাষ্ট্র মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরস্ত্র নাগরিক বিশেষত চরম ঝুঁকিতে থাকা নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের উপযুক্ত নিরাপত্তা এবং আশ্রয় নিশ্চিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে বর্বরতা ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ তার দায় শুধু মিয়ানমার সরকারের উপরই বর্তায় না, মানবতাবিরোধী এমন অপরাধ অব্যাহতভাবে চলতে দেয়ায় ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বর্তমান সভ্যতার শাসকদেরও। লক্ষণীয় বিষয় হলো, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জুলুম-নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে জাতিসংঘসহ কোন কোন মানবাধিকার সংগঠন কিছু কথা বললেও এখনও কার্যকর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন। তেমন পরিবর্তন আসে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবুল খায়ের ২৬/০৯/২০১৭নিদারুন ঘটনা, মানবতার প্রশ্নবিদ্ধ
-
এম এম মেহেরুল ২৩/০৯/২০১৭অনেক ভালো লিখেছেন
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ১৩/০৯/২০১৭আপনার লেখার ভিত্তি ঠিক আছে তবে অনেক অংশে আরও তথ্য দেওয়ার দরকার ছিল। ব্যাপার টা যত টা না ধর্মীয় ততটাই জাতিগত । অনেক টা বাঙ্গালী আর পশ্চিম পাকিস্তানীর মতো অবস্থা। মায়ানমার মনে করে রোহিঙ্গারা বাঙ্গালীজাতির তালিকা ভুক্ত। যদিও আমাদের এখানে প্রোপাগান্ডা বন্ধ নেই যে মুসলিম হওয়ার কারনে রোহিঙ্গাদের তাড়াচ্ছে । তাড়ানোর ব্যাপারটা কিন্তু ১৯৬৪ সাল থেকে।
এই কথা সত্যি যে তারা( মায়ানমার ) মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে। একটি রাষ্ট্র তার নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করছে। যেটা আমরা ৭১ এ দেখেছি। তারা চায় সম্পূর্ণ ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র যার কারনে তারা ক্লিয়ার বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তারা অন্য নাগরিক রাখবে না। এটা ক্লিয়ার।
কিন্তু বিপরীতে বাংলাদেশ কি করছে ?
হা মানবতার কারনে আমরা তাদের আশ্রয় দিচ্ছি, কেউ কেউ তো পণ্ডিতি মাড়িয়ে বলছেই যে মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিৎ। সীমান্ত খুলে দেওয়া উচিত, আমরা কেন মায়ানমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি না। ব্যাপার গুলো বড্ড কঠিন ।
তাহলে খোদ সৌদি ইয়েমন কে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সেই সৌদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো? সেই যাই হোক । রাখাইন রাজ্যটা রোহিঙ্গাদের । কিন্তু সামাজিক অশিক্ষা , ধর্মীয় অন্ধতা সেই রোহিঙ্গাদের মানুষ করে নি। তারাও নিজেরা স্বাধীনতার নামে কত টুকু কি করেছে জানি না। যার কুফল ভয়ানক ভাবে বাংলাদেশ কে পোহাতে হবেই।
শুধু সাম্প্রতিক হামলাতে কত লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ ঢুকেছে বলা যাচ্ছে না, তবে একটি তথ্য বলছে ৩ লক্ষ। এটা তো ক্লিয়ার টুডে পর টুমরো সব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসবেই।
সত্যি বলতে এখন আমার কাছে চিন্তার বিষয় হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা। বাংলাদেশ এক ভয়ানক ঝুঁকিতে আছে। যে ঝুকি থেকে বাংলাদেশ কে বাঁচাতে কেউ আসবে না। -
দীপঙ্কর বেরা ০৬/০৯/২০১৭ভাবার বিষয়
-
মোনালিসা ০৬/০৯/২০১৭সুন্দর
-
বিদ্রোহী শিহাব ০৫/০৯/২০১৭মানবতার ফেরিওয়ালারা আজ এসব দেখেও দেখে না!
-
ধ্রুবক ০৪/০৯/২০১৭অদ্ভুতভাবে এ নিয়ে তেমন কোন শরগোল নেই। খারাপ লাগছে।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৪/০৯/২০১৭সুন্দর উপস্থাপনা
-
কামরুজ্জামান সাদ ০৪/০৯/২০১৭সুন্দর উপস্থাপনা।ভালো লেগেছে