মহাসড়কে মহা মারা মারি
এভাবে নাম ধরে ধরে উল্লেখে যাওয়ার পরিবর্তে এক কথায় বলা যায়, দেশের কোথাও কোনো সড়ক-মহাসড়কই যানবাহন চলাচলের উপযোগী নেই। কোনো কোনোটি শুধু খানা-খন্দকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেনি, যে কোনো সময় বন্ধ হওয়ার আশংকাও রয়েছে। এমন এক অবস্থার মুখে এসেই সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো তৎপর হয়েছে মাত্র দিন কয়েক আগে- প্রকৃতপক্ষে বৃষ্টি কিছুটা কমে আসার পর। এটুকু নড়াচড়াও কর্তাব্যক্তিরা করতেন না, যদি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তুমুল হইচই না করা হতো। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও ইদানীং দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে। তাই বলে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী কোনো ব্যবস্থা কিন্তু নেয়া হচ্ছে না। কেবলই দায়সারা ‘মেরামত’ করা হচ্ছে, যাতে অদূর ভবিষ্যতেই আবারও ‘মেরামত’ করার সুযোগ পাওয়া যায়! শুনতে খারাপ লাগলেও কথাটাকে হাল্কাভাবে নেয়ার অবকাশ নেই। কারণ, সকল ধরনের গবেষণা ও পর্যালোচনায় বারবার প্রমাণিত হয়েছে, সওজসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঠিকাদারদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত থাকেন মন্ত্রী-এমপি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এখানে তাই ‘এক শ্রেণির’ ঠিকাদার বা ‘এক শ্রেণির’ কর্মকর্তা বলে কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। ঘুষ ও অবৈধ অর্থের লোভে সবাই আসলে পচে গেছে। এজন্যই কোনো কাজই ১০০ ভাগ দূরে থাকুক, ৫০/৬০ ভাগও নির্মাণকাজের নীতিমালা অনুযায়ী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয় না। ইট-বালু-সিমেন্ট ও রডের মতো নির্মাণ সামগ্রীরও যথাযথ ব্যবহার হয় না। কিন্তু দোষ ও অপরাধগুলো ধরার এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই। কারণ, এসব যাদের দায়িত্ব তারা নিজেরাই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন! কোটি টাকার অংকে ঘুষ লোনদেন হচ্ছে। এখানেও ‘এক শ্রেণির’ বলার সুযোগ নেই। দুর্নীতি আসলে সবাইকে গিলে খেয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৮/০৮/২০১৭অবস্থাটাই এরকম
-
অনির্বাণ সূর্যকান্ত ২৭/০৮/২০১৭আজ ৪৬ বছর এভাবেই জোড়া তালি দিয়ে চলচ্ছে সব। আমি সরকারকে কি দোষারোপ করবো , আসলে আমি আপনি = আমরা দিয়েই তো প্রশাসন । সেই প্রশাসনের লোকজন চুরি ডাকাতিতে মেতে থাকলে উন্নয়ন টা হবে কি দিয়ে