দুর্গত জনগণ
অতি বর্ষণ এবং সীমান্তের ওপার থেকে আসা বন্যার তোড়ে দেশের উত্তরাঞ্চল ভাসছে। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বৃহত্তর রংপুর, নওগাঁ ভেসে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষের বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। রাস্তায়ও আশ্রয় নেবার জায়গা নেই। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সব ডুবে গেছে। শত শত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহত্তর সিলেটেও একই অবস্থা। বারবার বন্যার দাপটে সিলেটবাসী বিপর্যস্ত। উত্তরাঞ্চলের কোনও কোনও নদ-নদীতে পানি সামান্য কমলেও মধ্যাঞ্চলে বাড়ছে। আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বন্যায়। বন্যার পানি নেমে গেলে বিরান বাড়িঘরে গিয়ে মানুষজন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। লাখ লাখ মানুষের চুলো জ্বলে না। পেটে দানা পড়ছে না। ছেলেমেয়েদের স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ। কাজ-কর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এমনই দুর্বিষহ অবস্থা দুর্গতদের। এরপর আবারও ভয়াল বন্যা ধেয়ে আসছে বলে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়ামরেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট নামে একটি সংস্থা জানিয়েছে। যা নাকি গত ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক।
বন্যার ভয়াবহতার খবর জানতে পেরে ইতোমধ্যে বৃটেন তার নাগরিকদের বাংলাদেশে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে। ভারত বন্যার তোড় সামলাতে না পেরে গজলডোবার সবগেট খুলে দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাই আমাদের দেশে বন্যা এখন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। সরকারি তরফ থেকে মুখে মুখে অনেক কিছু শোনা গেলেও কার্যত প্রায় শূন্যই মনে হচ্ছে। কোথাও কোথাও সামান্য ত্রাণ দিলেও কেউ পেয়েছেন, কেউ পাননি। ফলে অনেক জায়গায় বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা-সামগ্রীও প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে অসুখ বিসুখ ছড়াতে শুরু করেছে। এখনই চিকিৎসা না দিলে বিপদ আরও বাড়বে। ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বৃহত্তর সিলেট, সিরাজগঞ্জ, জামালপুরসহ আরও প্রায় ২০ টি জেলা বন্যাকবলিত। দুর্গতরা হাহাকার করছেন। ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। অনেকের শেষ আশ্রয়ও ভাসিয়ে নিয়েছে বন্যার প্রবল স্রোত। আশ্রয় নেবার জায়গা নেই অনেকেরই। তাই খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে নিরাশ্রয় বানভাসি মানুষকে। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মৃত্যুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিন।
বন্যার ভয়াবহতার খবর জানতে পেরে ইতোমধ্যে বৃটেন তার নাগরিকদের বাংলাদেশে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে। ভারত বন্যার তোড় সামলাতে না পেরে গজলডোবার সবগেট খুলে দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাই আমাদের দেশে বন্যা এখন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। সরকারি তরফ থেকে মুখে মুখে অনেক কিছু শোনা গেলেও কার্যত প্রায় শূন্যই মনে হচ্ছে। কোথাও কোথাও সামান্য ত্রাণ দিলেও কেউ পেয়েছেন, কেউ পাননি। ফলে অনেক জায়গায় বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা-সামগ্রীও প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অনেক স্থানে অসুখ বিসুখ ছড়াতে শুরু করেছে। এখনই চিকিৎসা না দিলে বিপদ আরও বাড়বে। ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বৃহত্তর সিলেট, সিরাজগঞ্জ, জামালপুরসহ আরও প্রায় ২০ টি জেলা বন্যাকবলিত। দুর্গতরা হাহাকার করছেন। ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। অনেকের শেষ আশ্রয়ও ভাসিয়ে নিয়েছে বন্যার প্রবল স্রোত। আশ্রয় নেবার জায়গা নেই অনেকেরই। তাই খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে নিরাশ্রয় বানভাসি মানুষকে। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মৃত্যুসংবাদও পাওয়া যাচ্ছে প্রতিদিন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ধ্রুবক ২০/০৮/২০১৭জনবহুল দেশে এর সমাধান সত্যিই কঠিন কিন্তু যতটা করা যেতে পারত সেটাও হচ্ছে না। খারাপ লাগছে।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২০/০৮/২০১৭সবাই যদি আপনার মতো ভাবতে পারতো,তবে দেশটা শান্তি সমৃদ্ধিতে পূর্ণ থাকতো।