বাজে বাজেট
বলার অপেক্ষা রাখে না বিনিয়োগের সাথে কর্মসংস্থানের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশে শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত মিলে কোটি কোটি কর্মক্ষম মানুষ বেকার জীবন যাপন করছে। এর সাথে শিল্প, কলকালখানা বন্ধ হয়ে নতুন বেকারের তালিকা কেবল বেড়েই চলছে। এই কোটি কোটি বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য এবারের বাজেটে তেমন কোন দিক নির্দেশনা নেই। ফলে দেশে আগামীতে বেকার মানুষের সংখ্যা কোথায় দাঁড়াবে তা চিন্তাও করা যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কোন স্তরে পৌঁছবে তা এখনই টের পাওয়া যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ পার্সেন্ট ভ্যাটে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, জিনিসপত্রের উপর ভ্যাট-ট্যাক্স বসবে দাম বাড়বে না- এমন আহাম্মকী কথা বিশ্বের কোন দেশের কোন মানুষ শুনেছে কিনা আমাদের জানা নেই।
আমরা মনে করি, বিশাল অংকের বাজেট ঘোষণা করা সরকারের কোন কৃতিত্বের ব্যাপার নয়। এবারের বাজেট যদি ৮ লাখ কোটি টাকাও ঘোষণা করা হতো তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসে যে কোন অংকের বাজেট ঘোষণা করা যেতেই পারে। মূল বিষয় হচ্ছে, লক্ষ্য অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে কিনা? আমরা দেখে আসছি, কোন বাজেটেরই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয় না এবং কোন বাজেটই তার কাক্সিক্ষত মাত্রায় লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। এবারের উচ্চাভিলাসী বাজেটে বাস্তবায়ন নিয়েও বিশ্লেষকদের শংকা রয়েছে। তবে বাজেটে সাধারণ মানুষকে শোষণ করার যেসব বিষয় থাকে, সরকার বিশেষ কৌশলে সেগুলো বাস্তবায়ন করে ছাড়ে। মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তোলার যত প্রকারের পদক্ষেপ আছে তা নিতে সরকার কখনো দ্বিধা করে না। অপরদিকে বাজেটের আকার বাড়ানোর অর্থ এর আয়ের ক্ষেত্র বাড়ানো। এই আয় বাড়াতে গিয়েই দেশের সাধারণ মানুষের পকেটে এখন সরকারের হাত পড়েছে। বাজেটে আওয়ামী সরকারের উচ্চাভিলাসী মেগা প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিক এসব প্রকল্পে ইতোমধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, আরো ব্যয় করা হবে। অর্থাৎ প্রকল্প মানেই বরাদ্দ এবং বরাদ্দ মানেই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির দিগন্ত প্রসারিত করা। আবার শুধু বাজেট প্রণয়ন করলেই হয় না, তা বাস্তবায়নের সক্ষমতাও থাকতে হয়। সুন্দর সুন্দর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বছরের মধ্যে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলা আদৌ সম্ভব হবে কী? স্বপ্নের ফানুস উড়ানো এক ধরনের প্রবঞ্চনার শামিল। কাজেই অতি উচ্চাভিলাসী হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন যাপনকে এক মহাসংকটে ফেলার বাজেট কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
আমরা মনে করি, বিশাল অংকের বাজেট ঘোষণা করা সরকারের কোন কৃতিত্বের ব্যাপার নয়। এবারের বাজেট যদি ৮ লাখ কোটি টাকাও ঘোষণা করা হতো তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসে যে কোন অংকের বাজেট ঘোষণা করা যেতেই পারে। মূল বিষয় হচ্ছে, লক্ষ্য অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে কিনা? আমরা দেখে আসছি, কোন বাজেটেরই পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয় না এবং কোন বাজেটই তার কাক্সিক্ষত মাত্রায় লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। এবারের উচ্চাভিলাসী বাজেটে বাস্তবায়ন নিয়েও বিশ্লেষকদের শংকা রয়েছে। তবে বাজেটে সাধারণ মানুষকে শোষণ করার যেসব বিষয় থাকে, সরকার বিশেষ কৌশলে সেগুলো বাস্তবায়ন করে ছাড়ে। মানুষের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তোলার যত প্রকারের পদক্ষেপ আছে তা নিতে সরকার কখনো দ্বিধা করে না। অপরদিকে বাজেটের আকার বাড়ানোর অর্থ এর আয়ের ক্ষেত্র বাড়ানো। এই আয় বাড়াতে গিয়েই দেশের সাধারণ মানুষের পকেটে এখন সরকারের হাত পড়েছে। বাজেটে আওয়ামী সরকারের উচ্চাভিলাসী মেগা প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিক এসব প্রকল্পে ইতোমধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, আরো ব্যয় করা হবে। অর্থাৎ প্রকল্প মানেই বরাদ্দ এবং বরাদ্দ মানেই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির দিগন্ত প্রসারিত করা। আবার শুধু বাজেট প্রণয়ন করলেই হয় না, তা বাস্তবায়নের সক্ষমতাও থাকতে হয়। সুন্দর সুন্দর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বছরের মধ্যে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলা আদৌ সম্ভব হবে কী? স্বপ্নের ফানুস উড়ানো এক ধরনের প্রবঞ্চনার শামিল। কাজেই অতি উচ্চাভিলাসী হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন যাপনকে এক মহাসংকটে ফেলার বাজেট কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।