www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

চলমিন নিখোজ

গোলাপগঞ্জের পৌর এলাকায় ১০ দিন ধরে এক নির্মাণ শ্রমিক রহস্য জনক কারণে নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকের স্ত্রী নিজে এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করলেও এ নিখোঁজের রহস্যের তীর অনেকটা তার দিকে ছোঁড়া হচ্ছে। পুলিশ এব্যাপারে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোন তথ্য পায়নি।
প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া দক্ষিণ মহল্লা গ্রামের মৃত তছনু মিয়ার ছেলে সুহেল আহমদ (৪৫) ২য় স্ত্রী নিপা বেগমকে নিয়ে শশুড় বাড়ী পৌর এলাকার ঘোগারকুল মাঝপাড়ায় বসবাস করতেন। গত ১০ জুন সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তিনি আর ফিরে আসেননি। সুহেলের আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ সম্প্রতি ঘোগারকুল এলাকার আসাদ নামক জনৈক যুবকের সঙ্গে একটি অনৈতিক বিষয়ে সুহেলের বিরোধ সৃষ্টি হলে এলাকায় সালিশ বিচার হয়। সুহেল নিখোঁজের পিছনে এ ঘটনা কাজ করেছে বলে অনেকের ধারনা। এদিকে ২/৩ দিন অনেক খোজাখুজির পর ও সুহেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার স্ত্রী নিপা বেগম (৩০) গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় গত ২৩ জুন একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় নিপা বেগমের নিকট আত্মীয় মধ্যপ্রাচ্য ফেরত আসাদ আহমদ বিভিন্ন সময়ে নিপা বেগমের ঘরে যাওয়া আসা করলে এলাকার লোকজন আপত্তি জানান। নিপা বেগম ও আসাদের সম্পর্ক সহজে মেনে নিতে পারেন নি তার স্বামী সুহেল আহমদ ও আগের বিয়ের সন্তানগণ। কিছুদিন পূর্বে আসাদ নিপা বেগমের ঘরে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলে সুহেল ও তার প্রথম বিয়ের পুত্রগণ আসাদকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে আসাদের মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হলে জনগন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়, এক পর্যায়ে বিচার সালিশের মাধ্যমে গ্রাম্য ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় মর্মে এলাকার এক প্রবীণ ব্যক্তি জানান। নিপার ঘরে আসাদের অসৎ উদ্দেশ্যে যাতায়াতকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বিরোধের সৃষ্টি হত, এ বিষয়টি স্বীকার করলেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আব্দুল জলিল। এদিকে আমুড়া এলাকার শতাধিক লোক গত বুধবার রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান রুহেল আহমদ ও মেম্বার নিজাম উদ্দিন কে নিয়ে গোলাপগঞ্জ থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সঙ্গে দেখা করে নিখোঁজের বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানান। ওসির নিদের্শে তদন্তকারী কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার নিখোঁজ নির্মাণ শ্রমিক (রাজ মিস্ত্রি) সুহেল আহমদের স্ত্রী নিপা বেগমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদিকে নিপা বেগম প্রতিবেদককে জানান ২০ জুন সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ্য হলে স্বামী সুহেল তার ঔষধের জন্য টাকা আনতে গেলে আর ফিরে আসেননি। ওই দিন রাত অনুমান ৯টায় তার এক বোন সুহেলের কাছে ফোন করলে তিনি জানান কিছুক্ষণের মধ্যে আসছি। এর পর থেকে আর সুহেলের সঙ্গে তাদের কোন যোগাযোগ হয়নি বলে নিপা বেগম জানালেন। নিখোঁজ সুহেলের নিজ এলাকা আমুড়া গ্রামের তার অনেক আত্মীয় স্বজনের অভিযোগ নিপার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত আসাদের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কে বাঁধা প্রদান করায় সুহেল আসাদ কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এর জের ধরে সুহেল নিখোঁজ হয়েছেন না, অন্যকে ফাঁসাতে কৌশলে নিজে লুকিয়ে আছেন এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ পড়েছে বিপাকে। বিষয়টি এখন পৌর এলাকা ও আমুড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় নিখোঁজ সুহেলে প্রথম স্ত্রী দুপুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রেখে মৃত্যু বরণ করলে সুহেল প্রায় ১২ বছর পূর্বে নিপা বেগমকে বিয়ে করে স্থায়ী ভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে শশুরবাড়ী ঘোগারকুলে আসেন। ২য় স্ত্রীর ঘরে ৯ বছরের এক পুত্র ও ৮ বছরের ১ কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৭৬১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৫/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • Sad
  • Tanju H ০৭/০৭/২০১৭
    সুন্দর লেখা।
  • ন্যান্সি দেওয়ান ০৭/০৭/২০১৭
    Your report writing is good.
  • মোনালিসা ০৬/০৭/২০১৭
    sad
  • ভালো লাগলো কবি !!
  • আব্দুল হক ০৫/০৭/২০১৭
    ফ্রান্স প্রবাসী এখলাছুর রহমান মাসুমের জন্য দোয়া আর আর্তনাদের মধ্য দিয়ে তার গ্রামের বাড়ীতে সময় পার করছেন মা, বাবা ও আত্মীয় স্বজন। জানা যায়, কানাইঘাটের এক মেধাবী শিক্ষার্থী ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে গিয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১লা জুন দেশে ফেরার পথে অদ্যবধি পর্যন্ত তার সঠিক কোন সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সে কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউপির জুলাই গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমানে পুত্র মেধাবী শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান মাসুম (২৩) স্টুডেন্ট ভিসায় গত ১৫ অক্টোবর লিথুসেনিয়া গিয়ে ফ্রান্সে চলে যায় এখলাছুর রহমান মাসুম। সেখানে ৩/৪ মাস থাকার পর মাসুম মানসিক ভারসাম্য হারিয়া ফেললে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি হাসপাতালে মাস খানেক দিন ভর্তি ছিল সে। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ফ্রান্সে বসবাসরত কানাইঘাটের প্রবাসী জুলাই গ্রামের ফারুক আহমদ, কয়সর, মাসুম সহ কয়েকজন যুবক অসুস্থ অবস্থায় এখলাছুর রহমান মাসুমের সবকিছু প্রসেসিং করে গত ১লা জুন ফ্রান্সের সময় রাত ১০টার দিকে কাতার এয়ারলাইন্স ৩৩০নং ফ্লাইটে টিকেটের মাধ্যমে ফ্রান্স বিমানবন্দরে এনে দেশের উদ্দেশ্যে মাসুমকে পাঠান। পরদিন ২ জুন মাসুমের পিতা আতিকুর রহমান পুত্রকে নিয়ে আসার জন্য ঢাকা আর্ন্তজাতিক শাহজালাল বিমান বন্দরে যান। যথারীতি কাতার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে বিকেল ৫টার সময় অবতরন করলেও মাসুমকে খোঁজে পাননি তার পিতা আতিকুর রহমান। তিনি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা তার পুত্রের কোন সন্ধান দিতে পারেননি। মাসুমের আত্মীয় স্বজনরা তার নিখোঁজের বিষয়টি ফ্রান্সে বসবাসরত যারা তাকে বিমানবন্দরে তুলে দিয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করলে অদ্যবধি পর্যন্ত মাসুম দেশে এসেছে কি না অথবা সে ফ্রান্স বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীন এলাকায় রয়েছে এই ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না। ফ্রান্স প্রবাসী কয়সর আহমদ জানিয়েছেন তিনি সহ কয়েকজন মাসুমকে ১লা জুন ফ্রান্স আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে দেশের উদ্দেশ্যে পাঠান, পরবর্তীতে সে দেশে না যাওয়ায় আমরা সংশ্লিস্ট ট্রাভেলস্ এ যোগাযোগ করলে ট্র্যাভেলস্ কর্তৃপক্ষ বলেন, ১লা জুন ফ্রান্সের কাতার এয়ারলাইন্সের ৩৩০নং ফ্লাইটে এখলাছুর রহমান মাসুম নামে কোন যাত্রী উঠেনি। এদিকে পুত্রের কোন সন্ধান না পেয়ে মাসুমের পিতা আতিকুর রহমান, মাতা হোসনেআরা বেগম ও ভাই, বোন আত্মীয় স্বজনরা বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। তারা মাসুমের সঠিক সন্ধান এবং সে বর্তমানে ফ্রান্স বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে কিনা এব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার এবং ফ্রান্স-বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফ্রান্স সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
 
Quantcast