নির্মল বাতাসের অভাব
ইতোপূর্বে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মাঠ নেই, রাজধানীর ৯৫ স্কুলে’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, রাজধানীর ৯৫ ভাগ স্কুলে মাঠ নেই। শুধু মাঠ নয়, অনেক স্কুলে ঠিক মতো আলো-বাতাস প্রবেশেরও সুযোগ নেই। এতে আরো বলা হয়েছে, শুধু কিন্ডারগার্টেন নয়, রাজধানীর অনেক নামীদামী স্কুলেও খেলার মাঠ নেই। পুরোনো স্কুলগুলোতে বড়ো বড়ো মাঠের উপর তৈরী হচ্ছে বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। একটি শিশুকে মেধাহীন করে গড়ে। বলা বাহুল্য, রাজধানীসহ বিভিন্ন নগরী ও শহরের শিশুরা নানা নাগরিক সুবিধা পেলেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে মুক্ত আলো বাতাসে খেলার বা শরীর চালনা করার কোন সুযোগ বা ব্যবস্থা নেই, বাড়ির সামনে তো নয়ই।
বরং এমনও দেখা যাচ্ছে, স্কুলের মাঠে আয় বৃদ্ধির নামে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে শিশু কিশোরেরা ভিডিও গেমে অভ্যস্ত হচ্ছে, ভুলে যাচ্ছে শরীর নির্ভর খেলা। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের একটু হাঁটাহাটি বা ছুটোছুটি করারও জায়গা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটায়। আর খেলার জন্য দরকার মাঠ। সর্বোপরি শিশুকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে তাকে শরীর, মন ও মস্তিস্কÑসব কিছুরই চর্চা করার যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। প্রবাদ রয়েছে-‘অল স্টাডি নো প্লে মেইকস জ্যাক অ্যা ডাল বয়’। এভাবে খেলাধুলা বাদ দিয়ে শুধু পড়াশোনার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছে না, এতে প্রায়ই শিশুরা খিটখিটে মেজাজের হয়ে উঠছে, অপরিপক্ক আচরণ করছে।
লক্ষণীয় যে, দেশের অন্যান্য নগরীর মতো সিলেট নগরীতেও এক সময় প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব খেলার মাঠ ছিলো। আর কোন স্কুলে বড়ো মাঠ না থাকলেও স্কুল প্রাঙ্গণে শিশুদের খেলাধুলা ও ছুটোছুটি করার মতো যথেষ্ট জায়গা ছিলো। কিন্তু গত কয়েক যুগে এগুলোর অধিকাংশই অস্তিত্ব হারিয়েছে। অনেক মাঠে গড়ে ওঠেছে ভবন হোস্টেল, কোয়ার্টার, স্থাপনা, আবার অনেক মাঠ রূপান্তরিত হয়েছে মার্কেট বিপনীতে। কোন কোন ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ আয়ের লক্ষ্যে মাঠের ভূমি বিক্রি বা বন্দোবস্ত দিতে বাধ্য হয়েছেন। যা-ই হোক, সব চেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, নগরীর শিক্ষার্থীদের আউটডোর গেম বা বাইরে উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলার সুযোগ মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বিঘিœত হচ্ছে।
অনেকটা ফার্মের মোরগ মুরগীর মতো খাঁচার ভেতরে তাদের বড়ো হতে হচ্ছে। এতে তাদের কম বয়সেই নানা অসুখে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্থূলতা, ইনফ্যান্টাইল ডায়াবেটিস ও চোখের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু স্কুলের শিক্ষার্থীরা নয়, নগরী ও শহরের শিশু ও যুবারা উন্মুক্ত মাঠে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় অনেকে বাধ্য হয়ে রাস্তা ও বাড়িঘরের ফাঁক ফোকর ও অপরিসর স্থানকে বেছে নিচ্ছে খেলার জন্য। এতে তাদের নিজেদের যেমন অসুবিধা হচ্ছে তেমনি তা আশপাশের লোকজনের উপদ্রব ও উৎপাতের কারণ হচ্ছে। বিষয়টি যেমন অপ্রত্যাশিত ও অবাঞ্ছিত তেমনি সামাজিক শান্তি ও শৃংখলার পরিপন্থী।
আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিশু কিশোর ও যুবারা পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক শক্তি নিয়ে বেড়ে ওঠুক-ঘটুক তাদের মেধার পূর্ণ বিকাশ। আর এজন্য তাদের মুক্ত আলো বাতাসে খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও হাঁটাচলার ব্যবস্থা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। একটি সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনের জন্য এ লক্ষ্যে আমাদের এখনই যতœবান ও উদ্যোগী হওয়া উচিত।
বরং এমনও দেখা যাচ্ছে, স্কুলের মাঠে আয় বৃদ্ধির নামে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে শিশু কিশোরেরা ভিডিও গেমে অভ্যস্ত হচ্ছে, ভুলে যাচ্ছে শরীর নির্ভর খেলা। এসব স্কুলে শিক্ষার্থীদের একটু হাঁটাহাটি বা ছুটোছুটি করারও জায়গা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটায়। আর খেলার জন্য দরকার মাঠ। সর্বোপরি শিশুকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে তাকে শরীর, মন ও মস্তিস্কÑসব কিছুরই চর্চা করার যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। প্রবাদ রয়েছে-‘অল স্টাডি নো প্লে মেইকস জ্যাক অ্যা ডাল বয়’। এভাবে খেলাধুলা বাদ দিয়ে শুধু পড়াশোনার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হচ্ছে না, এতে প্রায়ই শিশুরা খিটখিটে মেজাজের হয়ে উঠছে, অপরিপক্ক আচরণ করছে।
লক্ষণীয় যে, দেশের অন্যান্য নগরীর মতো সিলেট নগরীতেও এক সময় প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব খেলার মাঠ ছিলো। আর কোন স্কুলে বড়ো মাঠ না থাকলেও স্কুল প্রাঙ্গণে শিশুদের খেলাধুলা ও ছুটোছুটি করার মতো যথেষ্ট জায়গা ছিলো। কিন্তু গত কয়েক যুগে এগুলোর অধিকাংশই অস্তিত্ব হারিয়েছে। অনেক মাঠে গড়ে ওঠেছে ভবন হোস্টেল, কোয়ার্টার, স্থাপনা, আবার অনেক মাঠ রূপান্তরিত হয়েছে মার্কেট বিপনীতে। কোন কোন ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ আয়ের লক্ষ্যে মাঠের ভূমি বিক্রি বা বন্দোবস্ত দিতে বাধ্য হয়েছেন। যা-ই হোক, সব চেয়ে বড়ো কথা হচ্ছে, নগরীর শিক্ষার্থীদের আউটডোর গেম বা বাইরে উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলার সুযোগ মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বিঘিœত হচ্ছে।
অনেকটা ফার্মের মোরগ মুরগীর মতো খাঁচার ভেতরে তাদের বড়ো হতে হচ্ছে। এতে তাদের কম বয়সেই নানা অসুখে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্থূলতা, ইনফ্যান্টাইল ডায়াবেটিস ও চোখের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু স্কুলের শিক্ষার্থীরা নয়, নগরী ও শহরের শিশু ও যুবারা উন্মুক্ত মাঠে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় অনেকে বাধ্য হয়ে রাস্তা ও বাড়িঘরের ফাঁক ফোকর ও অপরিসর স্থানকে বেছে নিচ্ছে খেলার জন্য। এতে তাদের নিজেদের যেমন অসুবিধা হচ্ছে তেমনি তা আশপাশের লোকজনের উপদ্রব ও উৎপাতের কারণ হচ্ছে। বিষয়টি যেমন অপ্রত্যাশিত ও অবাঞ্ছিত তেমনি সামাজিক শান্তি ও শৃংখলার পরিপন্থী।
আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিশু কিশোর ও যুবারা পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক শক্তি নিয়ে বেড়ে ওঠুক-ঘটুক তাদের মেধার পূর্ণ বিকাশ। আর এজন্য তাদের মুক্ত আলো বাতাসে খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও হাঁটাচলার ব্যবস্থা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। একটি সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনের জন্য এ লক্ষ্যে আমাদের এখনই যতœবান ও উদ্যোগী হওয়া উচিত।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/০৬/২০১৭হু, বিষয়টি গুরুতর।
-
মোনালিসা ৩০/০৬/২০১৭ভাল হ্য়েছে
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ৩০/০৬/২০১৭খুব ভালো প্রতিবেদন।