নীরবে কাঁদে বিচারের বাণী
পৃথিবীটা যে এখন ঠিকভাবে চলছে না সে কথা আমরা জানি। আর ঠিকভাবে না চলার দায়টা কিন্তু সভ্যতার শাসকদের ঘাড়েই বর্তায়। পোর্টল্যান্ডের ঘটনার কী জবাব দেবেন সভ্যতার শাসকরা? ট্রাম্প প্রশাসনের কাছেও এর জবাব নেই। কারণ তাদের ভ্রান্ত রাজনীতি পৃথিবীর সংকট আরো বাড়িয়ে তুলছে। তবে সাহসী সাধারণ মানুষের কাছে সংকটের জবাব আছে এবং সেই জবাব দিতে গিয়ে তারা প্রাণ উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠিত নন। এমন উদাহরণ আমরা লক্ষ্য করেছি খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের তালিয়েসিন মারদিন নামকাই মেশেরিক বেস্ট এবং মিকাহ ডেভিট কোল ফ্লেচার এখন আমাদের কাছে মহানায়ক হিসেবে সম্মানিত। গত ২৬ মে শুক্রবার রমযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওরিগণ অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে একটি ট্রেনে মুসলিম মহিলারা ধর্ম ও জাতিবিদ্বেষের শিকার হন। তাদের হেনস্থা করছিলেন উগ্রপন্থী জেরেমি জোসেফ ক্রিশ্চিয়ান। এই অপকর্মের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসেছিলেন ওই তিন মহানায়ক। তাদের ২ জন নিহত হয়েছে আর একজন হয়েছেন আহত। তাদের এই আত্মত্যাগ ভ্রষ্ট এই সভ্যতার মাঝেও আমাদের আশাবাদী হতে প্রেরণা জোগায়।
শুধু পোর্টল্যান্ডের ঘটনা নয়, এই পৃথিবীতে আরো কিছু উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে যা আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচাতে পারে! এসব উদাহরণ জালেমদের বিরুদ্ধেও ছুঁড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জবাইয়ের উদ্দেশে গবাদিপশু কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিবাদে কেরালায় ‘বিফ ফেস্টিভ্যাল’ পালন করলো বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন। শনিবার বাম শাসিত কেরালায় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘গরুর গোশত ভক্ষণ উৎসব’ এর আয়োজন করে সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন ও যুব সংগঠন। ‘রান্নাঘরে ফ্যাসিবাদ চলবে না’ শ্লোগান তুলে রাজ্যের কমপক্ষে ২০০ স্থানে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিরুবনন্তাপুরসে রাজ্য সচিবালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা সড়কের পাশে গরুর গোশত রান্না করে তা লোকজনের মধ্যে বিতরণ করেন। কোল্লাম জেলায় কংগ্রেস দল ‘বিফ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করে। কোচিতে কেরালার পর্যটন মন্ত্রী কাডাকাম্পালি সুরেন্দ্রন গরুর গোশত ভক্ষণ উৎসবে যোগ দেন। ইডুকি জেলায় মহিষের মাথা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এইসব উদ্যোগে ও আয়োজনে উপলব্ধি করা যায় পৃথিবীতে এখনো মানবিক চেতনা অবশিষ্ট আছে এবং ন্যায়ের পতাকা এই ধরিত্রীতে আবার উড্ডীন হতে পারে।
অবাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে তেলআবিবেও। স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র গঠন ও ফিলিস্তিনী ভূখÐ থেকে ইহুদীবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব অবসানের দাবিতে তেলআবিবে হাজার হাজার ইসরাইলী নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ইসরাইলী এনজিও ‘পিস নাউ’ জানিয়েছে, দখলদারিত্ব, সহিংসতা ও বর্ণবাদকে মদদ দেয়ার যে নীতি গ্রহণ করেছে ইসরাইল সরকার তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে উক্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পিস নাউয়ের প্রধান আভিবুসকিলা বলেন, ইসরাইলের জনগণ, ফিলিস্তিন ও সারা বিশ্বকে এখন জানানোর সময় এসেছে যে, ইসরাইলের জনগণের একটা বিরাট অংশ ফিলিস্তিনী ভূখÐে ইসরাইলী দখলদারিত্বের অবসান চায়। আমরা পৃথিবীর সব জনপদেই দখলদারিত্ব ও জুলুমের অবসান চাই। ন্যায়ের চেতনায় নতুন সভ্যতাই এখন সময়ের দাবি।
শুধু পোর্টল্যান্ডের ঘটনা নয়, এই পৃথিবীতে আরো কিছু উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে যা আধমরাদের ঘা মেরে বাঁচাতে পারে! এসব উদাহরণ জালেমদের বিরুদ্ধেও ছুঁড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জবাইয়ের উদ্দেশে গবাদিপশু কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রতিবাদে কেরালায় ‘বিফ ফেস্টিভ্যাল’ পালন করলো বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন। শনিবার বাম শাসিত কেরালায় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘গরুর গোশত ভক্ষণ উৎসব’ এর আয়োজন করে সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠন ও যুব সংগঠন। ‘রান্নাঘরে ফ্যাসিবাদ চলবে না’ শ্লোগান তুলে রাজ্যের কমপক্ষে ২০০ স্থানে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিরুবনন্তাপুরসে রাজ্য সচিবালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা সড়কের পাশে গরুর গোশত রান্না করে তা লোকজনের মধ্যে বিতরণ করেন। কোল্লাম জেলায় কংগ্রেস দল ‘বিফ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করে। কোচিতে কেরালার পর্যটন মন্ত্রী কাডাকাম্পালি সুরেন্দ্রন গরুর গোশত ভক্ষণ উৎসবে যোগ দেন। ইডুকি জেলায় মহিষের মাথা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এইসব উদ্যোগে ও আয়োজনে উপলব্ধি করা যায় পৃথিবীতে এখনো মানবিক চেতনা অবশিষ্ট আছে এবং ন্যায়ের পতাকা এই ধরিত্রীতে আবার উড্ডীন হতে পারে।
অবাক হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে তেলআবিবেও। স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্র গঠন ও ফিলিস্তিনী ভূখÐ থেকে ইহুদীবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব অবসানের দাবিতে তেলআবিবে হাজার হাজার ইসরাইলী নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ইসরাইলী এনজিও ‘পিস নাউ’ জানিয়েছে, দখলদারিত্ব, সহিংসতা ও বর্ণবাদকে মদদ দেয়ার যে নীতি গ্রহণ করেছে ইসরাইল সরকার তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে উক্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পিস নাউয়ের প্রধান আভিবুসকিলা বলেন, ইসরাইলের জনগণ, ফিলিস্তিন ও সারা বিশ্বকে এখন জানানোর সময় এসেছে যে, ইসরাইলের জনগণের একটা বিরাট অংশ ফিলিস্তিনী ভূখÐে ইসরাইলী দখলদারিত্বের অবসান চায়। আমরা পৃথিবীর সব জনপদেই দখলদারিত্ব ও জুলুমের অবসান চাই। ন্যায়ের চেতনায় নতুন সভ্যতাই এখন সময়ের দাবি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।