রক্ষক ভক্ষক
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন বাংলাদেশ ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আঁতুড় ঘর। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধর্নুভঙ্গ পণ করেছিল আওয়ামী লীগ। তখন বিএনপি প্রথম মেয়াদে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। আর বেগম জিয়া ছিলেন ঐ সরকারের প্রধান মন্ত্রী। সরকারি দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করে দেয়। বিএনপি যেমন তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনে না নিতে ছিল বদ্ধপরিকর, অন্যদিকে তেমনি আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ছিল দৃঢ় সংকল্প। অথচ ১৩ নম্বর সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সকলেই ছিল যার যার অবস্থানে অটল। আওয়ামী লীগের দাবি ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিলে ইলেকশন করবো, না হয় নির্বাচনও করবো না এবং বাংলার মাটিতে আর কোনো ইলেকশন করতে দেয়া হবে না এবং অবশেষে তারা প্রবল গণআন্দোলনের মাধ্যমে, সারারাত ধরে বোমাবাজি করে এবং খোদ বিএনপি মন্ত্রিসভার ওপরেও পেশি শক্তির জোর খাটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক আদায় করে ছেড়েছিল।
অথচ যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে তুলকালাম সৃষ্টি করে সেটি কিন্তু ছিল একটি এলাকাভিত্তিক একটি ছোট্ট ইস্যু। বাংলাদেশের মাগুরা জেলার একটি নির্বাচনী এলাকায় অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ক্ষমতাশীল দল বিএনপি ব্যাপক কারচুপি করে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এই বিষয়টি হয়তো স্থানীয়ভাবেই সমাধান করা যেত।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটিও হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। অথচ সেই আওয়ামী লীগই ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অর্থাৎ ১৩ নম্বর সংশোধনী বাতিল করে। ২০১৪ সালে দেশে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটিও অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে ১৫৩ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের পর আসছে ২০১৯ সাল। বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক ৫ বছর পর পর নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাবে আবার দেশে সাধারণ নির্বাচনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। হাতে সময় আছে আর মাত্র ১ বছর ৮ মাস। ফলে স্বাভাবিক কারণেই সরকার জোরেসোরে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তারা জেলায় জেলায় কনফারেন্স করছে, মফস্বলের বিভিন্ন জেলায় কমিটি পুনর্বিন্যাস করছে এবং নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে বিগত সাড়ে ৮ বছরের কার্যকলাপকে বিশাল অর্জন বলে প্রচার চালাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ নির্বাচনী প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় অংশ হলো ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালানো। আওয়ামী লীগ দেশের বড় দু’টি দলের অন্যতম। কাজেই তারা যে জোরেসোরে ইলেকশন ক্যাম্পেইনে নামবে সেটি আর বলার অবকাশ রাখেনা।
অন্যদিকে বিএনপিও পেছনে পড়ে নাই। একজন বিখ্যাত কবি লিখেছেন, “হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।” বিএনপিও আর এবার নির্বাচনের ব্যাপারে অপ্রস্তুত অবস্থায় ধরা খেতে রাজি নয়। তারাও লোক চক্ষুর অন্তরালে ব্যাপক নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। অবশ্য বিএনপির কোনো কোনো সিনিয়র নেতা বলছেন যে, যদি কোনো সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তারা সেই ইলেকশনে অংশগ্রহণ করবে। অন্য দুই একজন সিনিয়র নেতা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই তারা নির্বাচনে যাবে না। এর জন্য যদি কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাহলে তারা তাও করবে। তবে শেষ কথা আসবে দলের অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নিকট থেকে। এখন পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সম্পর্কে সংগ্রামের এই প্রতিনিধি ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছেন। ঐ অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে সেখান থেকে দেখা যায় যে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতাই ইলেকশন করার পক্ষে। প্রায় ১০ বছর হলো তারা ক্ষমতার বাইরে রয়েছেন। এর মধ্যে বিগত সাড়ে ৩ বছর হলো তারা শুধু ক্ষমতার বাইরেই নন, এমনকি সংসদেরও বাইরে। তাই বিএনপির অধিকাংশ নেতা মনে করেন যে, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় যাবে। আর যদি কোনো কারণে সরকার ব্যাপক সন্ত্রাস ও কারচুপি করে মেজরিটি আদায় করে, তাহলেও বিএনপি সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসাবে অবস্থান করবে। তাই নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তুতি শতকরা ১০০ ভাগ। ইতোমধ্যেই ৩০০ আসনের বিপরীতে ৯০০ শত প্রার্থী ঠিক করে রাখা হয়েছে। যতই নির্বাচন এগিয়ে আসবে ততই ঐ ৯০০ জনের তালিকা সর্ট লিস্টেড হবে। সর্ট লিস্টেড হতে হতে এক সময় ৩০০ আসনের নমিনেশন পাক্কা হবে।
অথচ যে ইস্যুকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে তুলকালাম সৃষ্টি করে সেটি কিন্তু ছিল একটি এলাকাভিত্তিক একটি ছোট্ট ইস্যু। বাংলাদেশের মাগুরা জেলার একটি নির্বাচনী এলাকায় অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ক্ষমতাশীল দল বিএনপি ব্যাপক কারচুপি করে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এই বিষয়টি হয়তো স্থানীয়ভাবেই সমাধান করা যেত।
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটিও হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। অথচ সেই আওয়ামী লীগই ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অর্থাৎ ১৩ নম্বর সংশোধনী বাতিল করে। ২০১৪ সালে দেশে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটিও অনুষ্ঠিত হয় দলীয় সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে ১৫৩ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় এমপি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালের পর আসছে ২০১৯ সাল। বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক ৫ বছর পর পর নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাবে আবার দেশে সাধারণ নির্বাচনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। হাতে সময় আছে আর মাত্র ১ বছর ৮ মাস। ফলে স্বাভাবিক কারণেই সরকার জোরেসোরে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তারা জেলায় জেলায় কনফারেন্স করছে, মফস্বলের বিভিন্ন জেলায় কমিটি পুনর্বিন্যাস করছে এবং নির্বাচনী প্রচারণা হিসেবে বিগত সাড়ে ৮ বছরের কার্যকলাপকে বিশাল অর্জন বলে প্রচার চালাচ্ছে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ নির্বাচনী প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় অংশ হলো ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালানো। আওয়ামী লীগ দেশের বড় দু’টি দলের অন্যতম। কাজেই তারা যে জোরেসোরে ইলেকশন ক্যাম্পেইনে নামবে সেটি আর বলার অবকাশ রাখেনা।
অন্যদিকে বিএনপিও পেছনে পড়ে নাই। একজন বিখ্যাত কবি লিখেছেন, “হে অতীত তুমি ভুবনে ভুবনে কাজ করে যাও গোপনে গোপনে।” বিএনপিও আর এবার নির্বাচনের ব্যাপারে অপ্রস্তুত অবস্থায় ধরা খেতে রাজি নয়। তারাও লোক চক্ষুর অন্তরালে ব্যাপক নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। অবশ্য বিএনপির কোনো কোনো সিনিয়র নেতা বলছেন যে, যদি কোনো সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে তারা সেই ইলেকশনে অংশগ্রহণ করবে। অন্য দুই একজন সিনিয়র নেতা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই তারা নির্বাচনে যাবে না। এর জন্য যদি কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাহলে তারা তাও করবে। তবে শেষ কথা আসবে দলের অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নিকট থেকে। এখন পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ সম্পর্কে সংগ্রামের এই প্রতিনিধি ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছেন। ঐ অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে সেখান থেকে দেখা যায় যে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতাই ইলেকশন করার পক্ষে। প্রায় ১০ বছর হলো তারা ক্ষমতার বাইরে রয়েছেন। এর মধ্যে বিগত সাড়ে ৩ বছর হলো তারা শুধু ক্ষমতার বাইরেই নন, এমনকি সংসদেরও বাইরে। তাই বিএনপির অধিকাংশ নেতা মনে করেন যে, অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় যাবে। আর যদি কোনো কারণে সরকার ব্যাপক সন্ত্রাস ও কারচুপি করে মেজরিটি আদায় করে, তাহলেও বিএনপি সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসাবে অবস্থান করবে। তাই নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তুতি শতকরা ১০০ ভাগ। ইতোমধ্যেই ৩০০ আসনের বিপরীতে ৯০০ শত প্রার্থী ঠিক করে রাখা হয়েছে। যতই নির্বাচন এগিয়ে আসবে ততই ঐ ৯০০ জনের তালিকা সর্ট লিস্টেড হবে। সর্ট লিস্টেড হতে হতে এক সময় ৩০০ আসনের নমিনেশন পাক্কা হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
লীনা জাম্বিল ২৯/০৫/২০১৭
যেভােবই হোকনা কেন নির্বাচনের বাইরে থাকা উচিত হবেনা