রমজান মাস
রমজান আজ বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে। কিছু দেশে কাল হতে। যা হোক, রমজান মাসে শয়তানকে বন্দি করা হয় কিন্তু মুক্ত থাকে মানুষের প্রভৃত্তি। প্রভৃত্তিকে নিয়ন্তেণে রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় সংযম পালনের নাম রোজা বা সিয়াম। মনে রাখতে হবে, সিয়াম শুধু মাত্র সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি রীতিমত একটি সাধনার নাম। রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাক্বওয়ার গুণাবলী অর্জন করা। এর অর্থ হচ্ছে আল্ল¬াহ্কে ভয় করে, ভালোবেসে চলা; তার আদেশ নিষেধ মেনে চলা। আত্মশুদ্ধি এবং স্রষ্টার নৈকট্য লাভ ছাড়া এই গুণাবলী অর্জন সম্ভব নয়। অনেককেই দেখা যায়, রোজা রাখা সত্বেও নামাজ পড়ে না, টেলিভিশন ও সিনেমা দেখে সময় কাটায়। এ থেকে বুঝা যায়, রোজার তাৎপর্য তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। মনে রাখতে হবে রোজা আর উপবাস/অনশন এক নয়। রোজা রেখে যদি খোদাভীতি অর্জন করা না যায় তাহলে কোন লাভ নেই। কারণ খোদাভীতি অর্জন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য, যা আমরা উপরে উল্লেখিত আয়াত থেকেই জানতে পেরেছি। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা কাজ থেকে বিরত থাকতে পারল না, তার রোজা রেখে পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহ্র কোন প্রয়োজন নেই।’ আল¬াহকে ভয় করে চলা মানে যেমন তাঁর নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা তেমনি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তাঁর আদেশ পালন করা। নামাজ পড়া হল আল্ল¬াহ’র আদেশ। কোন অবস্থাতেই আল্লাহ’র এই আদেশ লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। রোজা রাখা অবস্থায় আল্লাহ’র এই আদেশ লংঘন করার কথা তো ঈমানদার ব্যক্তি চিন্তাই করতে পারেন না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফাহিম খান ০২/০৬/২০১৭খুবই দরকারি কথা
-
মিন্টু শাহজাদা ২৮/০৫/২০১৭রমজানের শুভেচ্ছা।
-
পরশ ২৭/০৫/২০১৭ভাল