অসহায় সুনামগঞ্জবাসী
ফসলের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলাজুড়ে এখন কেবলই হাহাকার চলছে। হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বিষাক্ত পানিতে মারা পড়েছে মাছ ও হাঁসসহ নানা ধরনের পানীজ প্রাণী। বুধবার দৈনিক সংগ্রামের এক মর্মস্পর্শী রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এমন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও সরকারের পক্ষ থেকে সত্য আড়াল করার এবং অসত্য তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যেমন সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় অন্তত আড়াই লাখ হেক্টর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এর পরিমাণ বলেছে দুই লাখ ২৩ হাজার হেক্টর। অথচ হঠাৎ তলিয়ে না গেলে এসব জমিতে ১২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ধান পাওয়া যেতো। টাকার অংকে এই ফসলের দাম হতো চার হাজার কোটি টাকা। পানীজ প্রাণীর ব্যাপারেও সরকার সত্য আড়াল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে মাছ নাকি মাত্র এক হাজার ২৭৬ টন মারা গেছে। সেই সাথে নাকি তিন হাজার ৮৪৪টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে! অন্যদিকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তরাসহ স্থানীয়রা হিসাব করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এক-দেড় হাজার টন নয়, মাছ মারা গেছে প্রায় ২০ হাজার টন। সেই সাথে মরেছে প্রায় ৩০ হাজার হাঁস। মাছ ও হাঁসের সঙ্গে শামুক, কাঁকড়া, ঝিনুক, কেঁচো ও জোঁকসহ আরো অনেক পানীজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটেছে, টাকার অংকে যেগুলোর দাম হবে হাজার কোটি টাকা। ধানের সঙ্গে পচে গেছে গরুর খাদ্যসহ অন্য অনেক উদ্ভিদও।
জেলার সরকার নির্ধারিত ৪২টির সঙ্গে ছোট-বড় সকল ফসলি হাওরই এখন পানির নিচে। দেখার হাওর, শনির হাওর, মাটিয়াইন হাওর, খরচার হাওর, টগার হাওর, নলুয়া হাওর, চন্দ্র সোনার থাল, ছায়ার হাওর এবং হালীর হাওরের পর গত সপ্তাহে সবশেষে তলিয়ে গেছে জামালগঞ্জের পাগনার হাওরও। এসব হাওরকে বোরো ফসলের ভা-ার বলা হয়। সেগুলোই পচা ও বিষাক্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে হিসাব করে বলা হচ্ছে, সব মিলিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সাথে রয়েছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশংকা, যার শিকার হবে জেলার ২৬ লাখ অধিবাসী। কারণ, ধান ও নানা ধরনের উদ্ভিদই শুধু পচে যায়নি, মাছ ও হাঁসসহ পানীজ অনেক প্রাণীরও মৃত্যু ঘটেছে। এসব মৃত্যু ও পচনের কারণে সম্পূর্ণ জেলার পরিবেশই স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। ফলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বহু ধরনের রোগ-বালাই। একই আশংকার কারণে অনতিবিলম্বে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
ওদিকে সমগ্র পরিস্থিতির জন্য ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ঢলের পানিকে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ, এই পানির মধ্যে ইউরেনিয়ামের ভয়ংকর তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞসহ দেশপ্রেমিকরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। জনগণের সচেতন অংশের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মূলকথা হলো, মেঘালয়ের পানি ওই অঞ্চলে ঢুকতে পারতো না- যদি সময় থাকতে বাঁধগুলোকে মেরামত করা হতো। দৈনিক সংগ্রামের রিপোর্টটিতে জানানো হয়েছে, বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আওয়ামী ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বেশির ভাগ টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। এর ফলে নতুন কোনো বাঁধ নির্মাণ দূরে থাকুক, এমনকি পুরনো বাঁধগুলোকেও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থার কারণেই মেঘালয়ের ঢলের পানি সোজা ঢুকে পড়েছে হাওর অঞ্চলে। সে পানিতে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা ছিল কি না তা নিয়ে সরকারের দিক থেকে বিতর্ক সৃষ্টি করা হলেও এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক বেড়ে গিয়েছিল অ্যামোনিয়া গ্যাসের মাত্রা বা পরিমাণ। এর ফলেই মাছ ও হাঁসের মতো কোনো পানীজ প্রাণীর পক্ষেই বেঁচে থাকা সম্ভব হয়নি। সবার মৃত্যু ঘটেছে। মরে গেছে এমনকি পানীজ সকল উদ্ভিদও।
দেশপ্রেমিক সকল মহলে প্রথম থেকে দাবি উঠেছে এবং আমরাও মনে করি, সুনামগঞ্জের প্লাবন ও মড়কের মতো বিষয়গুলোকে অবশ্যই যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। আমাদের মতে তিনটি বিষয়কে বিশেষ করে প্রাধান্য নেয়া দরকার।
প্রথমত, যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ দেয়া সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কেন সময় থাকতে বাঁধ নির্মাণ এবং পুরনো বাঁধগুলোকে সংস্কার ও মেরামত করার পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য দায়ী কর্মকর্তাদের তো বটেই, কাজের চুক্তি পাওয়া ঠিকাদারদের বিরুদ্ধেও অনতিবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। লুটপাটের অর্থও সরকারকে আদায় করতে হবে, কাউকে ছাড় দেয়া চলবে না। শুধু তা-ই নয়, যে কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের কারণে এত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থে ক্ষতিপূরণ আদায় করে সে অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বিতরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সত্যি ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে কি না তার পরীক্ষা করাতে হবে অন্য কোনো উন্নত দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকে দিয়ে। এর কারণ, আণবিক শক্তি কমিশনের যে তিন সদস্যের কমিটিকে দিয়ে রাতারাতি পরীক্ষা করানো হয়েছে, তাদের প্রধানসহ দু’জনের ব্যাপারেই বিশেষ কারণে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। অর্থাৎ তাদের কথিত পরীক্ষা এবং ঘোষিত সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি। তারা ধানচাষে ব্যবহৃত কীটনাশককে দায়ী করেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, চাষাবাদে তো এবারই প্রথম কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। বহু বছর ধরেই কৃষকরা কীটনাশক ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু অন্য কখনো তো এবারের মতো ফসল পচে যায়নি, প্রাণীরও মৃত্যু ঘটেনি। তাহলে কেবলই কীটনাশকের ওপর দোষ চাপানো কেন? সরকারের কমিটি আসলেও ভারতকে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছে কি না, সেটা অবশ্যই দেখা দরকার। এজন্যই উন্নত কোনো দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকে দিয়ে সুনামগঞ্জের পানি পরীক্ষা করানো দরকার।
সবশেষে রয়েছে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া কৃষকদের বিষয়টি। কারণ, ফসল এবং হাঁস ও গরুসহ সব হারিয়ে আসলেও তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তার ওপর রয়েছে দাদন তথা মহাজনের কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধের প্রচ- চাপ। এমন অবস্থায় সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চলের কৃষকদের সব রকম সাহায্য করা। মহাজনদের কবল থেকেও কৃষকদের রক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে, কৃষকরা যাতে ঋণ পরিশোধের জন্য কয়েক বছর পর্যন্ত সময় পায়।
জেলার সরকার নির্ধারিত ৪২টির সঙ্গে ছোট-বড় সকল ফসলি হাওরই এখন পানির নিচে। দেখার হাওর, শনির হাওর, মাটিয়াইন হাওর, খরচার হাওর, টগার হাওর, নলুয়া হাওর, চন্দ্র সোনার থাল, ছায়ার হাওর এবং হালীর হাওরের পর গত সপ্তাহে সবশেষে তলিয়ে গেছে জামালগঞ্জের পাগনার হাওরও। এসব হাওরকে বোরো ফসলের ভা-ার বলা হয়। সেগুলোই পচা ও বিষাক্ত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে হিসাব করে বলা হচ্ছে, সব মিলিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেই সাথে রয়েছে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশংকা, যার শিকার হবে জেলার ২৬ লাখ অধিবাসী। কারণ, ধান ও নানা ধরনের উদ্ভিদই শুধু পচে যায়নি, মাছ ও হাঁসসহ পানীজ অনেক প্রাণীরও মৃত্যু ঘটেছে। এসব মৃত্যু ও পচনের কারণে সম্পূর্ণ জেলার পরিবেশই স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠেছে। ফলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বহু ধরনের রোগ-বালাই। একই আশংকার কারণে অনতিবিলম্বে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
ওদিকে সমগ্র পরিস্থিতির জন্য ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা ঢলের পানিকে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ, এই পানির মধ্যে ইউরেনিয়ামের ভয়ংকর তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞসহ দেশপ্রেমিকরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। জনগণের সচেতন অংশের পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মূলকথা হলো, মেঘালয়ের পানি ওই অঞ্চলে ঢুকতে পারতো না- যদি সময় থাকতে বাঁধগুলোকে মেরামত করা হতো। দৈনিক সংগ্রামের রিপোর্টটিতে জানানো হয়েছে, বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের জন্য ৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা আওয়ামী ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বেশির ভাগ টাকা লুটপাট করে খেয়েছে। এর ফলে নতুন কোনো বাঁধ নির্মাণ দূরে থাকুক, এমনকি পুরনো বাঁধগুলোকেও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। এমন অবস্থার কারণেই মেঘালয়ের ঢলের পানি সোজা ঢুকে পড়েছে হাওর অঞ্চলে। সে পানিতে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা ছিল কি না তা নিয়ে সরকারের দিক থেকে বিতর্ক সৃষ্টি করা হলেও এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক বেড়ে গিয়েছিল অ্যামোনিয়া গ্যাসের মাত্রা বা পরিমাণ। এর ফলেই মাছ ও হাঁসের মতো কোনো পানীজ প্রাণীর পক্ষেই বেঁচে থাকা সম্ভব হয়নি। সবার মৃত্যু ঘটেছে। মরে গেছে এমনকি পানীজ সকল উদ্ভিদও।
দেশপ্রেমিক সকল মহলে প্রথম থেকে দাবি উঠেছে এবং আমরাও মনে করি, সুনামগঞ্জের প্লাবন ও মড়কের মতো বিষয়গুলোকে অবশ্যই যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। আমাদের মতে তিনটি বিষয়কে বিশেষ করে প্রাধান্য নেয়া দরকার।
প্রথমত, যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ দেয়া সত্ত্বেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কেন সময় থাকতে বাঁধ নির্মাণ এবং পুরনো বাঁধগুলোকে সংস্কার ও মেরামত করার পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য দায়ী কর্মকর্তাদের তো বটেই, কাজের চুক্তি পাওয়া ঠিকাদারদের বিরুদ্ধেও অনতিবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। লুটপাটের অর্থও সরকারকে আদায় করতে হবে, কাউকে ছাড় দেয়া চলবে না। শুধু তা-ই নয়, যে কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের কারণে এত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থে ক্ষতিপূরণ আদায় করে সে অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে বিতরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সত্যি ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে কি না তার পরীক্ষা করাতে হবে অন্য কোনো উন্নত দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকে দিয়ে। এর কারণ, আণবিক শক্তি কমিশনের যে তিন সদস্যের কমিটিকে দিয়ে রাতারাতি পরীক্ষা করানো হয়েছে, তাদের প্রধানসহ দু’জনের ব্যাপারেই বিশেষ কারণে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। অর্থাৎ তাদের কথিত পরীক্ষা এবং ঘোষিত সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি। তারা ধানচাষে ব্যবহৃত কীটনাশককে দায়ী করেই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, চাষাবাদে তো এবারই প্রথম কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। বহু বছর ধরেই কৃষকরা কীটনাশক ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু অন্য কখনো তো এবারের মতো ফসল পচে যায়নি, প্রাণীরও মৃত্যু ঘটেনি। তাহলে কেবলই কীটনাশকের ওপর দোষ চাপানো কেন? সরকারের কমিটি আসলেও ভারতকে দায়মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছে কি না, সেটা অবশ্যই দেখা দরকার। এজন্যই উন্নত কোনো দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থাকে দিয়ে সুনামগঞ্জের পানি পরীক্ষা করানো দরকার।
সবশেষে রয়েছে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া কৃষকদের বিষয়টি। কারণ, ফসল এবং হাঁস ও গরুসহ সব হারিয়ে আসলেও তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তার ওপর রয়েছে দাদন তথা মহাজনের কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধের প্রচ- চাপ। এমন অবস্থায় সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চলের কৃষকদের সব রকম সাহায্য করা। মহাজনদের কবল থেকেও কৃষকদের রক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে, কৃষকরা যাতে ঋণ পরিশোধের জন্য কয়েক বছর পর্যন্ত সময় পায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রবিউল ইসলাম রাব্বি ০৩/০৫/২০১৭দুঃখজনক
-
শেলি ০২/০৫/২০১৭খুব দুঃখজনক
-
সৈয়দ আলি আকবর, ০২/০৫/২০১৭AFSUS ..
-
পরশ ০২/০৫/২০১৭দারুন
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০২/০৫/২০১৭আহা! কি অবস্থা দেশের
না খেয়ে মরছে মানুষ, দুর্ভিক্ষের হাহাকার দেশ জুড়ে
তবুও নাকি আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। -
মধু মঙ্গল সিনহা ০২/০৫/২০১৭বাস্তব বিবরণ দিয়েছেন।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০৫/২০১৭দুর্যোগ মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াবে জাতি।