মঙ্গলে আমঙ্গল
পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মঙ্গল ও কল্যাণের অনেক কথাই বলা হয়। কিন্তু তার প্রভাব এই শোভাযাত্রার সমর্থকদের মধ্যে তেমন লক্ষ্য করা যায় না। পশু-পাখির অর্চনা বা টোটেম বিশ্বাসের অন্তসার শূন্যতার কারণে মঙ্গল শোভাযাত্রার নানা বুলি ইতোমধ্যেই কাগুজে বুলি হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। নয়তো বৈশাখের বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে হামলা, শ্লীলতাহানি ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে কেমন করে? এই সব অনাচার ও আবিলতা ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র সমাজ বিনির্মাণের আবাহন জানায় বৈশাখ। কিন্তু নগরজীবনের গান-বাদ্য, পান্তা-ইলিশ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা তো বৈশাখের আবাহনকে সমুন্নত রাখতে সমর্থ হচ্ছে না। আসলে কৃত্রিমতা কিংবা উদ্দেশ্যপ্রবণ আরোপিত সংস্কৃতি দিয়ে বৈশাখের বার্তা সমুন্নত রাখা যায় না। বৈশাখের বার্তায় জীবনকে আলোকিত করতে হলে প্রয়োজন গ্রামবাংলার অকৃত্রিম সংস্কৃতিতে ফিরে যাওয়া, যেখানে কৃত্রিমতা কিংবা প্রহসনের কোনো স্থান নেই। গ্রামবাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন আমাদের মহান ¯্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে কর্ম-সংস্কৃতিতে নিষ্ঠাবান থাকার প্রেরণা দেয়। আসলে ধর্ম ও কর্মের সমন্বিত সংস্কৃতিই গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি, পহেলা বৈশাখের বার্তাও তাই। বিষয়টি উপলব্ধি করলেই আমাদের মঙ্গল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোহেল রানা আশিক ২৬/০৪/২০১৭সুন্দর আলোচনা
-
মোনালিসা ২১/০৪/২০১৭কিছু বুঝ্লাম না
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৮/০৪/২০১৭সুন্দর ও সমসাময়িক মানবিক ভাবনা।
-
খায়রুল আহসান ১৮/০৪/২০১৭"আরোপিত সংস্কৃতি দিয়ে বৈশাখের বার্তা সমুন্নত রাখা যায় না" -- ভাল বলেছেন।
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ১৮/০৪/২০১৭অভিনন্দন ভাই।।।।।
সুন্দর বলেছেন -
মধু মঙ্গল সিনহা ১৭/০৪/২০১৭অভিনন্দন !