অকার্যকর জাতীয় সংসদ
টিআইবির রিপোর্টে জাতীয় সংসদকে পাশ কাটিয়ে এবং এমপিদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের কার্যক্রমকে অসমর্থনযোগ্য বলা হয়েছে। টিআইবি জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমন ৫৯টি চুক্তি করেছে, যেগুলোর ব্যাপারে সংসদ সদস্যদের কিছুই জানানো হয়নি। সরকার পেশ না করায় চুক্তিগুলো নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনাও হতে পারেনি। অথচ সংবিধানের নির্দেশনা হলো, যে কোনো আন্তর্জাতিক বা অন্য কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের আগে চুক্তিগুলোর বিষয়বস্তু সম্পর্কে জাতীয় সংসদকে অবহিত করতে হবে এবং এমপিদের সমর্থন ও অনুমোদন নিতে হবে। অন্যদিকে সব চুক্তিই সরকার করেছে সংসদকে অন্ধকারে রেখে। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই টিআইবি বলেছে, বর্তমান পর্যায়ে সরকারের উচিত ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সংসদে পেশ করা এবং সেগুলোকে এমপিদের ভোটে পাস ও অনুমোদন করিয়ে নেয়া।
এভাবে সব মিলিয়ে টিআইবির রিপোর্টে বর্তমান সংসদ সম্পর্কে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাকে নৈরাশ্যজনক ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। এর মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে কঠিন এ সত্যটুকুই বেরিয়ে এসেছে যে, নামে একটি সংসদ থাকলেও বাস্তবে সেটা ব্যর্থ ও অকার্যকর শুধু নয়, জাতীয় জীবনের কোনো ক্ষেত্রেও এই সংসদ কোনো অবদান রাখতে পারছে না। এমন অবস্থার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে রয়েছে এর গঠন প্রক্রিয়া তথা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, প্রহসনের যে কর্মকাণ্ডে ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়েছিলেন। অন্যরাও সংসদে এসেছেন ভ’তুড়ে ভোটারদের ভোটে। মূলত সে কারণেই সংসদকে কার্যকর করার ব্যাপারে তারা কোনো ভূমিকা পালন করার দায়িত্ব বোধ করছেন না।
আমরা মনে করি, কেবলই প্রত্যাখ্যান করার পরিবর্তে সরকারের উচিত টিআইবির আলোচ্য রিপোর্টের মূলকথাগুলো অনুধাবন করা এবং বিশেষ করে জনগণের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সকল দলকে নিয়ে নতুন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠা। আমরা সংসদে শুধু জনগণের ভোটে নির্বাচিত সদস্যদেরই দেখতে চাই। একই সাথে চাই, দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ঘটুক এবং সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ সকল বিষয়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য হোক।
এভাবে সব মিলিয়ে টিআইবির রিপোর্টে বর্তমান সংসদ সম্পর্কে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাকে নৈরাশ্যজনক ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। এর মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে কঠিন এ সত্যটুকুই বেরিয়ে এসেছে যে, নামে একটি সংসদ থাকলেও বাস্তবে সেটা ব্যর্থ ও অকার্যকর শুধু নয়, জাতীয় জীবনের কোনো ক্ষেত্রেও এই সংসদ কোনো অবদান রাখতে পারছে না। এমন অবস্থার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে রয়েছে এর গঠন প্রক্রিয়া তথা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, প্রহসনের যে কর্মকাণ্ডে ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘নির্বাচিত’ হয়েছিলেন। অন্যরাও সংসদে এসেছেন ভ’তুড়ে ভোটারদের ভোটে। মূলত সে কারণেই সংসদকে কার্যকর করার ব্যাপারে তারা কোনো ভূমিকা পালন করার দায়িত্ব বোধ করছেন না।
আমরা মনে করি, কেবলই প্রত্যাখ্যান করার পরিবর্তে সরকারের উচিত টিআইবির আলোচ্য রিপোর্টের মূলকথাগুলো অনুধাবন করা এবং বিশেষ করে জনগণের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সকল দলকে নিয়ে নতুন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠা। আমরা সংসদে শুধু জনগণের ভোটে নির্বাচিত সদস্যদেরই দেখতে চাই। একই সাথে চাই, দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশ ঘটুক এবং সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ সকল বিষয়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য হোক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৭/০৪/২০১৭গনতন্ত্রকে সুন্দর ভাবে রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।
-
এস এম আলমগীর হোসেন ১৬/০৪/২০১৭Fine
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৬/০৪/২০১৭জনগণ জেগে উঠবেই
প্রতিরোধ করবেই
এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ইনশাল্লাহ। -
মধু মঙ্গল সিনহা ১৬/০৪/২০১৭অসাধরণ।