মৌলানা ভাসানী
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাই যে, বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি যিনি এক অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন তিনি হলেন মওলানা ভাসানী। মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষে থাকার কারণে ও সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য তার মতো একজন মওলানাকে ‘কাফের’ উপাধী দিয়ে বাড়ি পুড়ে দিয়েছিল পাক বাহিনী। সারা দেশে চলছিল সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। ঢাকায় প্রায়ই বিভিন্ন মাঠে স্বাধিকার আদায়ের জন্যই সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ইত্যাদি চলতো। এরই ধারাবাহিকতায় মওলানা ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে এক বজ্রকণ্ঠ ভাষণ দিলেন। যে ভাষণটিও কম্পন তুলেছিল পাক সেনা সরকার গদিতে। ৯ মার্চ ১৯৭১ মজলুম জননেতা ভাসানী পাকিস্তানের জল্লাদ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উদ্দেশে বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয় , তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ নেই। লা-কুম দ্বিনিকুম অলইয়া দ্বিন’ অর্থ্যাৎ তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার; পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করে নাও। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না’। জনসভায় মওলানা ভাসানী তুমুল করতালির মধ্যে বলেন, ‘মুজিবের নির্দেশ মতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কিছু না হলে আমি শেখ মুজিবের সাথে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলবো’। পল্টনে সেই বিশাল জনসভায় মজলুম জননেতা দৃঢ় কন্ঠে আরো বলেন, ‘অচিরেই পূর্ব বাংলা স্বাধীন হবে’। তিনি সবাইকে মুজিবের উপর আস্থা রাখতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বাঙ্গালিরা মুজিবের উপর আসস্থা রাখেন, কারণ আমি তাকে ভালভাবে চিনি’। এইদিন তিনি তার ভাষণের সাথে ১৪ দফা দাবিও পেশ করেন। মওলানা ভাসানী এই বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সঈদ আহমেদ ০১/০৪/২০১৭মৌলানা ভাসানি বাংলার বুকে জন্ম নেওয়া সর্বকালের সেরা নেতাদের মধ্যে অগ্রগণ্য।
-
কামরুজ্জামান সাদ ০১/০৪/২০১৭অনেকটা ভুলেই গেছিলাম
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ২২/০৩/২০১৭আজকের এই দিনে আমরা কতটুকু
এই মহান নেতাকে স্মরণ করি???ভাববার বিষয় -
রেজওয়ান উল হক জীবন ২২/০৩/২০১৭...।