নিরীহ প্রাণী
গত ৮ মার্চ সারা দেশে পালিত হয়ে গেল বিশ্ব নারী দিবস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ নারী কর্তৃক অলংকৃত হওয়ায় এদেশে নারী দিবসের আলাদা একটা আমেজ থাকে। তবে এ বছর নারী দিবস ছিল এক রকমের শোকের ছায়াবৃত। সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা, যা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে। তারপরেও আশার আলো জাগিয়েছে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামী ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। রায়টি এমন দিনে দেয়া হয়েছে যেদিন বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে। ওই রায়ে বিচারক মন্তব্য করেন যে, এই রায়টি আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ঘোষিত হলো। ফলে এই রায় নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে। খাদিজা হত্যাচেষ্টার মামলার রায় জনগণের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে আদালত একটি বার্তা পৌঁছে দিল যে, যারা মেয়েদের পথে উত্ত্যক্ত করবে তাদের জন্য কোনো অনুকম্পা নয়। শুধু খাদিজা কিংবা নারায়ণগঞ্জের সাত খুন নয় যারাই আদালতে বিচার প্রার্থী হয়ে আসবেন আদালত পক্ষপাতহীনভাবে সবার জন্য সুবিচার নিশ্চিত করবে এটাই দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক হিসেব অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত হিসেবে দেখা দেখা যাচ্ছে যে সারা দেশে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে ইভটিজিং এর ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৫৭ জন আহত হয়েছেন। একশ্রেণীর নারীবাদি নেত্রী আছেন যারা নারীদের অধিকারের কথা বলে নারীদেরকে ইসলাম বিদ্বেষী করে তোলেন। তারা এখন কোথায়? তাদের চেতনা আর কত রিশা হত্যার পর জাগ্রত হবে? ইসলাম নারীর যে অধিকার দিয়েছে তা যদি আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকতো তাহলে নারীর ইজ্জত ও জীবন এভাবে ভূলন্ঠিত হতো না। প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতায় চোখ বোলালে ধর্ষণ থেকে শুরু করে হাজারো রকমের নারী নির্যাতনের খবর দেখতে হয়। গ্রামের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ ও করুণ। গ্রামের হাজারো মেয়ে রিশার মত বখাটেদের ভয়ে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে এ ধরনের অপরাধের অধিকাংশের-ই সঠিক বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক হিসেব অনুযায়ী গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত হিসেবে দেখা দেখা যাচ্ছে যে সারা দেশে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪৮ জন। এর মধ্যে ইভটিজিং এর ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৫৭ জন আহত হয়েছেন। একশ্রেণীর নারীবাদি নেত্রী আছেন যারা নারীদের অধিকারের কথা বলে নারীদেরকে ইসলাম বিদ্বেষী করে তোলেন। তারা এখন কোথায়? তাদের চেতনা আর কত রিশা হত্যার পর জাগ্রত হবে? ইসলাম নারীর যে অধিকার দিয়েছে তা যদি আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকতো তাহলে নারীর ইজ্জত ও জীবন এভাবে ভূলন্ঠিত হতো না। প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতায় চোখ বোলালে ধর্ষণ থেকে শুরু করে হাজারো রকমের নারী নির্যাতনের খবর দেখতে হয়। গ্রামের অবস্থা তো আরো ভয়াবহ ও করুণ। গ্রামের হাজারো মেয়ে রিশার মত বখাটেদের ভয়ে স্কুলে যেতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে এ ধরনের অপরাধের অধিকাংশের-ই সঠিক বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ২২/০৩/২০১৭নাড়ীড়া
-
পরশ ২০/০৩/২০১৭ভাল লাগল
-
ফয়সাল রহমান ১৯/০৩/২০১৭ভালো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৯/০৩/২০১৭মানবমনের পশুত্ব দূর হোক।
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ১৯/০৩/২০১৭ঠিক বলেছেন
-
মোনালিসা ১৯/০৩/২০১৭সুন্দর
-
ইউসুফ তরুন ১৯/০৩/২০১৭বেশ!
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৯/০৩/২০১৭সরকারের উন্নয়নের জোয়ারেই নাকি তলিয়ে যাচ্ছে - এইসব অপরাধ, দুর্নীতি, হত্যা, ধর্ষন, যৌন নিপিড়ন, ইভটিজিং, খুন-গুম, অত্যাচার, নির্যাতন, বীভৎসতা।