নতজানু ভারত নীতি পরাধীনতার নামান্তর
চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে নঃয়া সম্রাজ্যবাদ তার খোলস বদলেছে। আমরা তা ভূলে বহাল তবিওতে, ক্ষমতার লোভে সে কথা ভূলে আছি। তার পরিণাম যে কত ভয়াবহ তা আন্দাজ করার সামর্থ আমার নেই। এক সময় জার্মান চাইত সারা বিশ্ব দখলে নেবে। শত্রু মিত্র ধার না ধেরে হিটলার এ প্রচেষ্টার জলন্ত দৃষ্টন্ত স্থাপন করে গেছে। কিন্তু এখন আর কেউ দেশ দখল করার মত বোকামী করে না। সবাই চায় অর্থনৈতি ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ। যাকে বলা হয় নয়া গোলামী বা দেশ বিক্রি। যারা একে প্রশ্রয় দেন তারা দেশের সেবক নয় দালাল সোজা কথায় রাষ্ট্রদৌহি। আন্তর্জাতিক সকল সংস্থা যেমন হিউমেন রাইটস ওয়াচ, অধিকার সহ সব সূচকে বায়লাদেশে ভারত এখন অনিয়ন্তিত সিমান্তহত্যা, পুশবেক, জল, স্থল ও আকাশ পথের ব্যবহার। তাদের অপরাধী ধরে নেয়া, দেশের নাগরিকদের তাদের ইন্দনে গুম, বিদ্যুৎ এ বৈশম্যমূলক চুক্তি, আভ্যন্তরিন নির্বাচনে হস্থক্ষেপ সহ এমন কোন কাজ নেই যা করছেনা। কেন আমরা একটি সাধীন দেশে এরকম সহ্য করব। দেশের এ নতজানু পররাষ্ট্র নীতির জন্য সরকারের পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দল ও জড়িত। এখন ব্রিটেন ও কানাডার মতো দেশগুলোর ভিসা সেন্টারই নেই বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও ঢাকা ও সিলেটের ব্রিটিশ ভিসা সেন্টার বন্ধ করে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। অনেক ক্ষেত্রে ভিসা হাতে পেতে পেতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো সহজলভ্য ভিসার দেশগুলোতেও এখন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া কঠোর করা হয়েছে। এখন এর বিকল্প জনগণকেই খুজতে হবে। আর যদি এসব বন্ধ হয়ে যায় ও এর প্রভাব যে কতদিন থাকবে তাও বেশ গভীর চিন্তার বিষয়। মোটকথা দেশের সাধীনতা স্বার্বোভূমত্বের জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ হয়া দ্রুত প্রয়োজন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ২৩/০২/২০১৭ধন্যবাদ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২২/০২/২০১৭আমরা যে যার জায়গায় নীরব রয়েছি শুধু ভাল থাকার জন্য, আসলে এই নীরবতা আমাদের ভালো রাখবে না। এর ভবিষ্যত খুব খারাপ!!
-
তাবেরী ২২/০২/২০১৭অর্থনীতির চালিকা শক্তি আজ বন্দি হচ্ছে অন্য রাষ্ট্রের কাছে।