ফাও খোজ
দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এখন একেবারে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে। আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতি তো এখন প্রায় নির্বাসনে। চলমান রাজনৈতিক সংকট যে অবস্থায় ছিল ঠিক সেই অবস্থায়ই রয়ে গেছে। আসলে নেতিবাচক রাজনীতিই আমাদের দুরবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী। মূলত দেশ ও জাতির এই মহাক্রান্তিলগ্নে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে যে ইতিবাচক ধারা সূচিত হয়েছিল তাও অক্ষুণ্ন রাখা গেল না। কারণ, পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশনকে কোনভাবেই বিতর্কমুক্ত করা যায়নি। নতুন কমিশনকে সরকার ও তাদের শরীকরা স্বাগত জানালেও সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যা কারো কাম্য ছিল না। কমিশন গঠনে সরকার আর একটু ইতিবাচক হলে এই বিতর্ক অনেকটাই এড়ানো যেত। আস্থাও ফিরে আসতো জনমনে। ফলে চলমান রাজনৈতিক সংকটের জট খোলারও একটা সুযোগ সৃষ্টি হতে পারতো। কিন্তু সংকীর্ণ মনোবৃত্তির কারণেই আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি।
সেভাবেই হোক নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে এটাই বাস্তবতা। ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে আগামী ৫ বছরের জন্য এই কমিশনই বহাল থাকবে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই কমিশনের অধীনেই হবে। কিন্তু বিতর্ক তো কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না। যেহেতু খোদ কমিশন গঠনের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাই এই কমিশনের পথচলাটা মোটেই মসৃণ হবে না। মূলত নতুন কমিশনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও বড় রাজনীতিক দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়া। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া। কিন্তু এ কাজটা মোটেই সহজসাধ্য হবে বলে মনে হয় না। কারণ, সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলো কমিশন গঠনে সরকার প্রধানের ইচ্ছার প্রতিফলনের অভিযোগ তুলেছে। আর এমন অভিযোগ তোলার সঙ্গত কারণও দৃশ্যমান।
রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময়সহ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তালিকা আহ্বান সবকিছুর মধ্যেই অস্বচ্ছতা দেখতে পাচ্ছেন অভিজ্ঞমহল। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিয়োজিত সার্চ কমিটি যে দশটি নাম দিয়েছে, আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে তার নাম তালিকায় ছিলো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিয়েছে।
মূলত নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের যে পুুরনো বৃত্ত ছিলো সেটাই রয়ে গেলো। কমিশন গঠনে অতীতের সে ট্রাডিশন ছিল বর্তমান কমিশন গঠনে তা-ই অনুসরণ করা হয়েছে। এবারের কমিশনে আমলাদের প্রাধান্য বেশ চোখে পড়ার মত। ৫ জনের ৩ জনই সাবেক আমলা। একজন সেনা কর্মকর্তা। আরেক জন বিচারিক কর্মকর্তা। এখানে আমরা নতুন পেয়েছি বলে মনে করার কোন কারণ ইে। কিন্তু এবার নতুন কিছু হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু দলীয় সংকীর্ণতার কারণে তাও ভেস্তে গেছে।
সেভাবেই হোক নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠিত হয়েছে এটাই বাস্তবতা। ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে আগামী ৫ বছরের জন্য এই কমিশনই বহাল থাকবে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এই কমিশনের অধীনেই হবে। কিন্তু বিতর্ক তো কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না। যেহেতু খোদ কমিশন গঠনের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাই এই কমিশনের পথচলাটা মোটেই মসৃণ হবে না। মূলত নতুন কমিশনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও বড় রাজনীতিক দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়া। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া। কিন্তু এ কাজটা মোটেই সহজসাধ্য হবে বলে মনে হয় না। কারণ, সংসদের বাইরের বিরোধী দলগুলো কমিশন গঠনে সরকার প্রধানের ইচ্ছার প্রতিফলনের অভিযোগ তুলেছে। আর এমন অভিযোগ তোলার সঙ্গত কারণও দৃশ্যমান।
রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময়সহ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তালিকা আহ্বান সবকিছুর মধ্যেই অস্বচ্ছতা দেখতে পাচ্ছেন অভিজ্ঞমহল। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নিয়োজিত সার্চ কমিটি যে দশটি নাম দিয়েছে, আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে তার নাম তালিকায় ছিলো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় দেখা দিয়েছে।
মূলত নির্বাচন কমিশন গঠনে আমাদের যে পুুরনো বৃত্ত ছিলো সেটাই রয়ে গেলো। কমিশন গঠনে অতীতের সে ট্রাডিশন ছিল বর্তমান কমিশন গঠনে তা-ই অনুসরণ করা হয়েছে। এবারের কমিশনে আমলাদের প্রাধান্য বেশ চোখে পড়ার মত। ৫ জনের ৩ জনই সাবেক আমলা। একজন সেনা কর্মকর্তা। আরেক জন বিচারিক কর্মকর্তা। এখানে আমরা নতুন পেয়েছি বলে মনে করার কোন কারণ ইে। কিন্তু এবার নতুন কিছু হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো। কিন্তু দলীয় সংকীর্ণতার কারণে তাও ভেস্তে গেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।