শাহবাগের রসদ
এই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় হয়। কিন্তু আওয়ামী ঘরানার কিছু ব্লগার সে রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ব্লগারদের প্রধান ডা. ইমরান এইচ সরকার কুড়িগ্রামের লোক। তার পিতা ছিলেন রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বর্তমানে কমিটি সদস্য। ইমরান ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। সংগঠক হিসেবে পরিচিত আরও চার ব্লগার হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী মারুফ ও পিয়াল, বামপন্থী বলে পরিচিত অমিত ও মাহবুব। আর নেপথ্যে থেকে কাজ করছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতাদের কেউ কেউ।
শুরুতে চেষ্টা করা হয়েছিল এ আন্দোলন যাতে আওয়ামী লীগের আন্দোলন বলে বোঝা না যায়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেটি আর ঢেকে রাখা যায়নি। শুরুর দিকে এখানে জয় বাংলা স্লোগানও ছিল না। জয় বাংলার জয় জয়কার। এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে সরকার আইন সংশোধন করছে। প্রধানমন্ত্রী জনতার সেন্টিমেন্ট আমলে নিয়ে রায় দেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
একথা সত্য যে তারুণ্য প্রতিবাদের পথ খোঁজে। উপলক্ষ যাই হোক না কেন। কিন্তু যদি জামায়াত নেতার ফাঁসির দাবি না হয়ে এ আন্দোলন হতো সরকারের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে, তাহলে কি সরকার তাদের এতদিন ধরে শাহবাগ মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখতে দিত? কিন্তু সেরকম সময়ও একদিন যে আসবে না, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। আরও একটি কথা না বললেই বোধকরি নয়। তা হলো কথাও ঠিকমতো ফোটেনি, এমন শিশুর গলায় ওর দেহের মাপের চাইতে বড় পোস্টার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, রাজাকারের ফাঁসি চাই। পাশে আর একজনের গলায় ঝোলানো ফাঁসির রজ্জুতে বাঁধা একজনের কার্টুন। আমরা টেলিভিশনে কোনো হত্যা দৃশ্য চললে দু'হাতে শিশুর মুখ ঢাকি। কিন্তু সেই শিশুকে দিয়েই হত্যার দাবি তোলানো হচ্ছে। এ কি ভয়ঙ্কর অধঃপতন হচ্ছে এ সমাজে। আধো আধো বোলে যে শিশুকে দিয়ে ফাঁসি চাওয়ানো হলো, সে বলল ভিন্ন কথা। একটি টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি এখানে কেন এসেছ। সে অকপটে বলল, মজা করতে। শাহবাগও এখন এক মজা দেখার মিলন মেলা। সফল হোক এ মিলন মেলাও।
আসলে শাহবাগে ধংশ হয় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার, বন্ধ হয় ডানপন্থি ব্লগ, হত্যা হয় শত শত হেফাজত কর্মি, পঙ্গু ও শহীদ হন হাজার হাজার জামাত শিবির কর্মি। আর গুটি হিসেবে হত্যা করা হয় ব্লগারদের । শাহবাগের চেতনা ধরে রাখার জন্য রসদ যোগান দেয়া হয় তাদের রক্ত। এভাবে অবিচার আর কত? রেজাল্ট পেয়ে মুখপাত্র শিক্ষামন্ত্রীর মেয়ের জামাই হয়েছেন! মরেছে যারা আর ও এর প্রতিফল হিসেবে কত জীবন দিতে হবে কে জানে। সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আর
ব্লগারদের দাবার গুটি বানিয়ে রেখেছে তা কে জানে?
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ব্লগারদের প্রধান ডা. ইমরান এইচ সরকার কুড়িগ্রামের লোক। তার পিতা ছিলেন রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বর্তমানে কমিটি সদস্য। ইমরান ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। সংগঠক হিসেবে পরিচিত আরও চার ব্লগার হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী মারুফ ও পিয়াল, বামপন্থী বলে পরিচিত অমিত ও মাহবুব। আর নেপথ্যে থেকে কাজ করছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতাদের কেউ কেউ।
শুরুতে চেষ্টা করা হয়েছিল এ আন্দোলন যাতে আওয়ামী লীগের আন্দোলন বলে বোঝা না যায়। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই সেটি আর ঢেকে রাখা যায়নি। শুরুর দিকে এখানে জয় বাংলা স্লোগানও ছিল না। জয় বাংলার জয় জয়কার। এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে সরকার আইন সংশোধন করছে। প্রধানমন্ত্রী জনতার সেন্টিমেন্ট আমলে নিয়ে রায় দেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
একথা সত্য যে তারুণ্য প্রতিবাদের পথ খোঁজে। উপলক্ষ যাই হোক না কেন। কিন্তু যদি জামায়াত নেতার ফাঁসির দাবি না হয়ে এ আন্দোলন হতো সরকারের বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে, তাহলে কি সরকার তাদের এতদিন ধরে শাহবাগ মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখতে দিত? কিন্তু সেরকম সময়ও একদিন যে আসবে না, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। আরও একটি কথা না বললেই বোধকরি নয়। তা হলো কথাও ঠিকমতো ফোটেনি, এমন শিশুর গলায় ওর দেহের মাপের চাইতে বড় পোস্টার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, রাজাকারের ফাঁসি চাই। পাশে আর একজনের গলায় ঝোলানো ফাঁসির রজ্জুতে বাঁধা একজনের কার্টুন। আমরা টেলিভিশনে কোনো হত্যা দৃশ্য চললে দু'হাতে শিশুর মুখ ঢাকি। কিন্তু সেই শিশুকে দিয়েই হত্যার দাবি তোলানো হচ্ছে। এ কি ভয়ঙ্কর অধঃপতন হচ্ছে এ সমাজে। আধো আধো বোলে যে শিশুকে দিয়ে ফাঁসি চাওয়ানো হলো, সে বলল ভিন্ন কথা। একটি টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি এখানে কেন এসেছ। সে অকপটে বলল, মজা করতে। শাহবাগও এখন এক মজা দেখার মিলন মেলা। সফল হোক এ মিলন মেলাও।
আসলে শাহবাগে ধংশ হয় স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার, বন্ধ হয় ডানপন্থি ব্লগ, হত্যা হয় শত শত হেফাজত কর্মি, পঙ্গু ও শহীদ হন হাজার হাজার জামাত শিবির কর্মি। আর গুটি হিসেবে হত্যা করা হয় ব্লগারদের । শাহবাগের চেতনা ধরে রাখার জন্য রসদ যোগান দেয়া হয় তাদের রক্ত। এভাবে অবিচার আর কত? রেজাল্ট পেয়ে মুখপাত্র শিক্ষামন্ত্রীর মেয়ের জামাই হয়েছেন! মরেছে যারা আর ও এর প্রতিফল হিসেবে কত জীবন দিতে হবে কে জানে। সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আর
ব্লগারদের দাবার গুটি বানিয়ে রেখেছে তা কে জানে?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাবেয়া মৌসুমী ১৫/০২/২০১৭ধন্যবাদ।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৪/০২/২০১৭ইতিহাস কখনো চেপে রাখা যায়না
ছাইচাপা আগুনের মত একদিন সে জ্বলে উঠবেই
দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হবেই!!!!! -
সাবিরা শাওন ১৪/০২/২০১৭ভালো লাগলো