তামাক হুমকিতে দেশ
তামাক চাষ বাড়ছে আগ্রাসীর মতো; বাড়ছে তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন। তামাকজাত পণ্যের কৌটায় বা প্যাকেটে সতর্কতামূলক বাণী যথাযথভাবে মুদ্রণ করা হচ্ছে না। সেই সঙ্গে বাড়ছে তামাক পণ্যের ব্যবহার। এ ব্যাপাারে রয়েছে আইন ও সরকারী নির্দেশনা। কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। সরকারী আইন উপেক্ষা করে বাড়ছে ধূমপায়ীর সংখ্যা, বাড়ছে তামাক পণ্যের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। সিগারেট-বিড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা প্রলোভনে কিশোর বয়সীদের ধূমপানে আকৃষ্ট করছে। এই অবস্থায় সার্বিকভাবে ধূমপানের বিরুদ্ধে সরকারি বেসরকারি প্রচারণা কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
দেশে ধূমপান তথা তামাক বিরোধী নানা ধরনের মুভমেন্ট অব্যাহত আছে। এর মধ্যে রয়েছে ধূমপান বিরোধী আইন। এর আওতায় নিষিদ্ধ হয়েছে যানবাহন ও জনসমাগম স্থলে ধূমপান। বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। কিন্তু তারপরেও কমছে না প্রকাশ্যে ধূমপান। বরং বাড়ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, তামাক কোম্পানীগুলো ১৩ থেকে ১৯ বছরের টিনএজারদের ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করছে নানা কৌশলে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এই বয়সীদের সিগারেট ধরানো গেলে পরবর্তী ত্রিশ বছর তারা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারবে। কারণ সিগারেটের নিকোটিন একবার কাউকে নেশা ধরিয়ে দিতে পারলে তার রেশ থাকে কমপক্ষে ত্রিশ বছর। যে কারণে তারা সিগারেটের প্যাকেটের ওপর ৫০ শতাংশ স্থানে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করছে না। অথচ আইন অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে, কার্টন বা কৌটার উপরিভাগের ৫০ ভাগ স্থান জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করতে হবে।
অপরদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তামাক চাষের ব্যাপ্তি বেড়ে চলেছে। তামাকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি মুনাফার প্রলোভন দিয়ে কৃষকদের ধানের জমিতে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। তামাক চাষে কোন নীতিমালা না থাকায় বহুজাতির ও দেশি কারখানাগুলো কৃষকদের আগাম অর্থ দিয়ে তামাক চাষে বাধ্য করছে। যে কারণে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি তামাক উৎপাদন হচ্ছে। যেটা বছর কয়েক আগে ছিলো মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিকটন। এর ফলে দেশে তামাক পণ্যের উৎপাদন তো বাড়ছেই, সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি। যে জমিতে তামাক চাষ করা হয়, সেই জমির উর্বরাশক্তি বিনষ্ট হয়ে যায়। সেখানে আর ফসল চাষ হয় না। তাছাড়া, এই তামাক চাষের বিরূপ প্রভাব পড়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর যে হারে তামাকের জমি বাড়ছে, তাতে আগামীতে এই জমি পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া তামাক চুল্লিতে কাঠ পোড়ানোর ফলে বনজ সম্পদও ধ্বংস হচ্ছে।
তামাক ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। প্রতি বছর বিশ্বে তামাক গ্রহণজনিত কারণে মারা যাচ্ছে ১২ লাখের বেশি মানুষ। আর রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে কমপক্ষে ৫০ লাখ। বাংলাদেশ তামাকপণ্য ব্যবহারকারী প্রথম সারির দেশগুলোর অন্যতম। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক জাতীয় অন্যান্য দ্রব্য ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে চলেছে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে আমাদেরই সবচেয়ে বেশি। তামাক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী আচরণ প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তামাক চাষ শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে তামাক চাষীদের ভর্তুকি দিয়ে তামাক থেকে ফসল চাষে ফিরিয়ে আনতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরী। তাছাড়া, ধূমপান ও চর্বণযোগ্য তামাকের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা দরকার সামাজিক আন্দোলন।
দেশে ধূমপান তথা তামাক বিরোধী নানা ধরনের মুভমেন্ট অব্যাহত আছে। এর মধ্যে রয়েছে ধূমপান বিরোধী আইন। এর আওতায় নিষিদ্ধ হয়েছে যানবাহন ও জনসমাগম স্থলে ধূমপান। বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। কিন্তু তারপরেও কমছে না প্রকাশ্যে ধূমপান। বরং বাড়ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, তামাক কোম্পানীগুলো ১৩ থেকে ১৯ বছরের টিনএজারদের ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করছে নানা কৌশলে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এই বয়সীদের সিগারেট ধরানো গেলে পরবর্তী ত্রিশ বছর তারা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারবে। কারণ সিগারেটের নিকোটিন একবার কাউকে নেশা ধরিয়ে দিতে পারলে তার রেশ থাকে কমপক্ষে ত্রিশ বছর। যে কারণে তারা সিগারেটের প্যাকেটের ওপর ৫০ শতাংশ স্থানে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করছে না। অথচ আইন অনুযায়ী ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে, কার্টন বা কৌটার উপরিভাগের ৫০ ভাগ স্থান জুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করতে হবে।
অপরদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তামাক চাষের ব্যাপ্তি বেড়ে চলেছে। তামাকপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি মুনাফার প্রলোভন দিয়ে কৃষকদের ধানের জমিতে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। তামাক চাষে কোন নীতিমালা না থাকায় বহুজাতির ও দেশি কারখানাগুলো কৃষকদের আগাম অর্থ দিয়ে তামাক চাষে বাধ্য করছে। যে কারণে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি তামাক উৎপাদন হচ্ছে। যেটা বছর কয়েক আগে ছিলো মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিকটন। এর ফলে দেশে তামাক পণ্যের উৎপাদন তো বাড়ছেই, সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি। যে জমিতে তামাক চাষ করা হয়, সেই জমির উর্বরাশক্তি বিনষ্ট হয়ে যায়। সেখানে আর ফসল চাষ হয় না। তাছাড়া, এই তামাক চাষের বিরূপ প্রভাব পড়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর যে হারে তামাকের জমি বাড়ছে, তাতে আগামীতে এই জমি পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া তামাক চুল্লিতে কাঠ পোড়ানোর ফলে বনজ সম্পদও ধ্বংস হচ্ছে।
তামাক ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। প্রতি বছর বিশ্বে তামাক গ্রহণজনিত কারণে মারা যাচ্ছে ১২ লাখের বেশি মানুষ। আর রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে কমপক্ষে ৫০ লাখ। বাংলাদেশ তামাকপণ্য ব্যবহারকারী প্রথম সারির দেশগুলোর অন্যতম। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাক জাতীয় অন্যান্য দ্রব্য ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে চলেছে। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে আমাদেরই সবচেয়ে বেশি। তামাক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী আচরণ প্রতিহত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তামাক চাষ শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে তামাক চাষীদের ভর্তুকি দিয়ে তামাক থেকে ফসল চাষে ফিরিয়ে আনতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরী। তাছাড়া, ধূমপান ও চর্বণযোগ্য তামাকের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা দরকার সামাজিক আন্দোলন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ০২/০২/২০১৭সত্য কথন