www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নষ্ট রাজনীতি

দেশের মানুষোর মৌলিক চাহিদার যোগান, যেকোন দোশের মানুষের প্রথম অধিকার। কিন্তু বাংলাদেশর তা যেন মানুষের করুণা! যেখানে সার্চকমিটিতে নাম জমা দেয়ার জন্য সার্চ করতে হয়। সমাজের সেবক হয়ে যায় প্রভু, সেখানে আর যা থাক ন্যায় বিচার আশা করা যায়না। সুর্নীতি দমন কমিশন হয়ে যায় দুর্নীতি কমিশন, বিরতিহীন হয়ে যায় বিরতি, সেখানে আর কি বাকী থাকে। বিচার পতিদের প্রমোশন হয় রাজন‌ৈতিক কোটায়। কে কিভাবে ইচ্ছেমত রায় দিল যার বিনিময়ে প্রধান বিচারপতি হল।

সত্যি বলতে কি, এমন কোনো সরকারি দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে দুর্নীতি হয় না। সরকারি অফিস আদালতে একদিকে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, অপরদিকে সরকারিভাবে বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাট হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে। সরকারি অফিসে ঘোষণা দিয়ে কোনো কাজ করানো যায় না। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণ থেকে শুরু করে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন পর্যন্ত স্তরে স্তরে ঘুষ দিতে হয়। উচ্চ স্তরের কর্মকর্তাসহ পিয়ন, দারোয়ান এবং মাঠ পর্যায়ের সরকারি ঠিকাদাররা প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত। এই লুটপাটের ঘটনা অনেক সময় প্রকাশ্যেই ঘটে থাকে। এটা দেখার কেউ নেই। মানে, যে বা যাদের ওপর এটা তদারকির দায়িত্ব রয়েছে, তারাই এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত।
আমাদের দেশে ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করে দিয়েছেন। দেশের সকল অর্থনৈতিক কার্যক্রমেই ঘটছে দুর্নীতির বিস্তার। দেশের নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বছরে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ঘুষ লেনদেন হয়। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজরা কোনো শাস্তি পায় না। তাছাড়া দুর্নীতির কারণে দ্রুত বাড়ছে কালো টাকার দৌরাত্ম্য। বাড়ছে ধনী-গরিবের ব্যবধান। প্রতি মাসে দুর্নীতির কারণে দেশে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। দুর্নীতির কারণে ইতোপূর্বে দাতা সংস্থা স্থগিত করেছে অনেক প্রকল্প। একটি জরিপের তথ্য হচ্ছে- ১৯৭৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকার ব্যয় করেছে দুই লাখ কোটি টাকা। অথচ এই অর্থের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লুটপাট হয়েছে।
সবচেয়ে আশ্চর্য্যরে বিষয় এটাই যে, বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে সরকারি সিস্টেমেই ঘুষ-দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। উপনিবেশিক আমলের পদ্ধতিতে পরিচালিত সরকারি অফিস-আদালতে অনেক সময় সরকারি ‘আইন মেনেই’ চলছে ঘুষ দুর্নীতি। তাছাড়া, দুর্নীতি অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পর্যায় থেকে হয়ে থাকে। এসব দুর্নীতির পেছনে থাকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা। তাই এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় চলে আসছে সরকারি প্রকল্পের সব দুর্নীতি-লুটপাট। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে দরকার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। অপরদিকে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ঘুষ আদান প্রদান অপরাধ। এই উপলব্ধিটুকু থাকা উচিত সকলের মধ্যে। সর্বোপরি আজকের দুর্নীতি বিরোধী দিবসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা করতে হবে সকলকে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯৪২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩০/০১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মুশফিকুর রহমান ০৭/০২/২০১৭
    আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বরাবর বহির্বিশ্বের বিষয়ে অতীব ওয়াকিবহাল, লেখার বন্যায় হাবুডুবু খাইয়া তাহারা শাসক শ্রেনীশক্তির ইচ্ছা পূরন করিতেছেন ,সাধারন মানুষের দু;খ ,দূর্দষা তাদের বিশেষ স্পর্শ করে না। আসলে বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবি বলে কিছু নেই থাকার মধ্যে আছে কিছু ‘ধুরন্ধর’...।
  • মোনালিসা ০১/০২/২০১৭
    সঠিক বলেছেন
  • একদিনে এসব বদলাবে না। এজন্য মানুষকে নিজের স্বভাব বদলাতে হবে।
 
Quantcast