পুলিশ ও রিকসা চালক
আমি শেষ হয়ে গেছি। আমাকে বাঁচান। আমার পাশে কেউ নেই। চিকিৎসা করানোরও টাকা নেই।’ এভাবেই আকুতি জানান মো. সাজু। তিনি ২০১৬ তে পোড়া বস্তিতে পুলিশের গুলীতে আহত হন। বর্তমানে মিরপুর ১০ নম্বরের গ্যালাক্সি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাড়ি ভোলা জেলায়। পেশায় রিকশাচালক।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আদমরা অবস্থায সাজু বলেন, গভীর রাতে মিরপুর থানার এসআই পলাশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ১০ নম্বরের গ্যালাক্সি হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে যান। কারো সঙ্গে কথা বলতেও বারণ করেন। সেই থেকে আর কেউ তার খোঁজ নেয়নি। পায়ের আঙুলের কিছু অংশ অপারেশন করে ফেলে দেয়া হয়। অপারেশনের পর টাকা দিতে না পারায় কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই রিকশাচালক আরো বলেন, ‘ডাক্তাররা বলেছে, প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাগবে। আমি একজন রিকশাচালক। দিন আনি দিন খাই। এতো টাকা কোথায় পাব? আমি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সংসারে দুই মেয়ে। এখন রিকশা চালাতে না পারলে চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা, পরিবারের ভরণপোষণ পর্যন্ত করা যাবে না। তারপর কত দিন এভাবে থাকতে হবে তারও কোনো হিসাব নেই। আবার বস্তির ঘরও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন আমি কী করব? আপনারা একটু আমার পাশে দাঁড়ান।’
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আদমরা অবস্থায সাজু বলেন, গভীর রাতে মিরপুর থানার এসআই পলাশ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ১০ নম্বরের গ্যালাক্সি হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে যান। কারো সঙ্গে কথা বলতেও বারণ করেন। সেই থেকে আর কেউ তার খোঁজ নেয়নি। পায়ের আঙুলের কিছু অংশ অপারেশন করে ফেলে দেয়া হয়। অপারেশনের পর টাকা দিতে না পারায় কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই রিকশাচালক আরো বলেন, ‘ডাক্তাররা বলেছে, প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাগবে। আমি একজন রিকশাচালক। দিন আনি দিন খাই। এতো টাকা কোথায় পাব? আমি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। সংসারে দুই মেয়ে। এখন রিকশা চালাতে না পারলে চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা, পরিবারের ভরণপোষণ পর্যন্ত করা যাবে না। তারপর কত দিন এভাবে থাকতে হবে তারও কোনো হিসাব নেই। আবার বস্তির ঘরও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন আমি কী করব? আপনারা একটু আমার পাশে দাঁড়ান।’
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ রুমান ০২/০২/২০১৭নাইছ
-
আলীমুশ্বান সাইমুন ৩০/০১/২০১৭অসাধারন