www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মাইয়োপিয়া

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক সংবাদে জানা গেছে, এশিয়া মহাদেশের প্রধান প্রধান নগরী ও শহরের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করা শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশ ক্ষীনদৃষ্টি (মাইয়োপিয়া) সমস্যায় ভুগছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলেন, বিদ্যালয়ে পড়ালেখার অতিরিক্ত চাপ এবং বাইরের প্রাকৃতিক আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা এতো প্রকট আকার ধারণ করছে। উপরোক্ত গবেষণা লব্ধ তথ্য সম্বলিত সংবাদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা অধিকতর প্রাসঙ্গিক এবং মনোযোগ আকর্ষণের দাবী রাখে।
এদেশের নগরী ও শহরগুলোতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে দীর্ঘসময় ক্লাশ করার পর বাসায় ফিরে আবার পড়তে বসতে হয় কিংবা কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট টিউটরের কাছে যেতে হয়। যেহেতু এদেশে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম, তাই ভর্তি হওয়াসহ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং ভালো ফল লাভের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রচন্ড চাপে থাকতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাধ্যের অতিরিক্ত বইপুস্তক তথা সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়। এভাবে পড়াশোনার প্রচন্ড চাপের ফলে ছাত্রছাত্রীদের শুধু চোখের দৃষ্টিই নয়, গোটা ফ্যাকাল্টি বা মননশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ তাদের মেধাশক্তি বিকাশের পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষয় বা খর্ব করে ফেলছে। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর করে নিয়ে যাচ্ছে অকাল অন্ধত্বের দিকে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের হার অনেক কম, মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। কারণ তারা স্কুলিং সিস্টেমে স্কুলেই পড়াশোনার পাঠ মুটোমুটি চুকিয়ে ফেলে, বাড়িতে এসে পড়তে বসতে হয় না কিংবা কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট টিউটরের কাছে যেতে হয় না। এভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি অবকাশ ও বিনোদনের মাধ্যমে তারা তাদের মেধার পূর্ণ বিকাশের সুযোগ পায়।
সচেতন মহল মনে করেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে স্কুল শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চাপজনিত সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের মেধার সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশেষভাবে সিলেবাসে পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবর্তন আনতে হবে পরীক্ষা পদ্ধতিতে। তবেই আমাদের কোমলমতি শিশুরা পড়াশোনার চাপজনিত শারীরিক, মানসিক অসুখ বিসুখ ও সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে, মুক্ত থাকবে। আমরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের মনোযোগ ও সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯৪৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৮/১১/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast