শিশুদের ভয় নয়
মানুষ জন্ম নেয় কোন জ্ঞান বিবেক ছাড়া। আস্তে আস্তে বড় হয়। পরিবেশ হতে শেখে। কিন্তু সারা দুনিয়াতে এখনো শিশুদের স্বাভাবিক সুন্দরভাবে বেযে ওঠার শতভাগ অনুকূল পরিবেশ নেই। একটি শিশু যে পরিবেশে বড় হয় তা তার জীবেন প্রধান চালিকাশক্তি। কিন্তু ভুল শিখলে সঠিক পথে ফিরে আসা সহজ কাজ নয়।
উন্নয়নশীল দেশে শিশুদেরকে শুধু ভয় দেখানো হয়। যেমন পিতার ভয়, হ্জুরের ভয়, আল্লাহর ভয়, সমাজের ভয়, পুলিশের ভয়, পরিবেশের ভয়, বিভিন্ন পশু পাখির ভয় ইত্যাদি। আমার পিতা এমনভাবে শাসন করতেন যেন শিশু সুলভ সব আচরণই ভূলে গিয়েছিলাম। আমার বয়সী ছেলে মেয়েদের সাথে মিশতে মানা ছিল যার ফলে আজও আমি একা একা মন খারাপ করে থাকি। কারো সাথে মেলামেশাতে ভয় হয়। আমার নারীদেরও ভয় হয়, ভাবি আমিতো আলাদা আমি কারো সাথে মেশতে পারিনা। যদিও আমি স্বভাবিক তার পরও অজানা ভয় সবসময়। ছোট বেলাতেই আমাকে শুনানো হতো আমার অনেক দায়িত্ব; আমি পরিবারের বড় ছেলে ইত্যাদি। আমার ভালো মনে আছে যখন ১০/১২ বছর, তখন পিতার কাপড়ের ব্যবসা ছিল, সামান্য ভূল হলে চড় থাপ্পর এমনভাবে দিতেন যেন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম, আমার পিতার আঘাতে আমি এতই ভয় পেতাম, আমি অনেকবার কাপড় ভিজিয়েছি। আশপাশে কেউ সমস্যা করলে ভয়ে ঘরে বলতাম না। কলেজে পড়ার সময় ও আমাকে খুব অশ্লীল গালি-গালাজ করা হতো। ছাত্র জীবনে অনেক ভালো ফলাফল করলেও সবসময় ডিপ্রেশন কাজ করত। এখন জীবনের মধ্যম ভাগে আমার একই ভয় কাজ করে। কোন কিছু করতে গেলে ভাবি যদি ভুল হয় কি হবে, ছোটবেলার মত কেউ আঘাত করবে নাতো। আমি উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু ভালো কোন চাকুরী আমার করা সম্ভব নয়, কারন আমার আত্নবিশআস মোটেও নেই আগের দঃস্বপ্ন ঘুমের মধ্যে তাড়া করে। আমার পিতা ইন্ডিয়ান বিড়ি খুব বেশী খেতেন, আর আমি কিনে এনে দিতাম। আমার দাদাও খেতেন। আমার যখন বয়স ১২/১৩ আমি একদিন এক বন্দুর সাথে বিড়ি খাচ্ছি দেখে আমার মা আমাকে এমনভাবে বাশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করেন যে আমি প্রায় ১ মাস গায়ে ব্যাথা নিয়ে কষ্ট করেছি। আমার পিতা আমার মাকেও একইভাবে অত্যাচার করতেন এবং আমার দাদা -দাদীর সাথেও ভালো ব্যবহার করেননি। আমার দাদীই একমাত্র আমাকে রক্ষা করতেন। যখন দাদী উনার বাপের বাড়ী যেতেন তখন আমি একদম চুপচাপ থাকতাম। কারণ আমার রক্ষাকারী যে /নেই। আমি বিদেশে আছি, ৭ বছর হলো ফিরে যাইনি; যাবারও ইছ্চা নেই। আমি বিদেশ থাকা অবস্থায় আমার দাদীও মারা গেছেন। কিন্তু আজও আমার ছোটবেলার ভয় যায়িন এবং বাড়িতে যাবার কথা মনে হলে আজানা ভয় কাজ করে। আমি নিয়মিত মানসিক সেন্টার থেকে পরামর্শ ও ঔষধ নেই।
উন্নয়নশীল দেশে শিশুদেরকে শুধু ভয় দেখানো হয়। যেমন পিতার ভয়, হ্জুরের ভয়, আল্লাহর ভয়, সমাজের ভয়, পুলিশের ভয়, পরিবেশের ভয়, বিভিন্ন পশু পাখির ভয় ইত্যাদি। আমার পিতা এমনভাবে শাসন করতেন যেন শিশু সুলভ সব আচরণই ভূলে গিয়েছিলাম। আমার বয়সী ছেলে মেয়েদের সাথে মিশতে মানা ছিল যার ফলে আজও আমি একা একা মন খারাপ করে থাকি। কারো সাথে মেলামেশাতে ভয় হয়। আমার নারীদেরও ভয় হয়, ভাবি আমিতো আলাদা আমি কারো সাথে মেশতে পারিনা। যদিও আমি স্বভাবিক তার পরও অজানা ভয় সবসময়। ছোট বেলাতেই আমাকে শুনানো হতো আমার অনেক দায়িত্ব; আমি পরিবারের বড় ছেলে ইত্যাদি। আমার ভালো মনে আছে যখন ১০/১২ বছর, তখন পিতার কাপড়ের ব্যবসা ছিল, সামান্য ভূল হলে চড় থাপ্পর এমনভাবে দিতেন যেন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম, আমার পিতার আঘাতে আমি এতই ভয় পেতাম, আমি অনেকবার কাপড় ভিজিয়েছি। আশপাশে কেউ সমস্যা করলে ভয়ে ঘরে বলতাম না। কলেজে পড়ার সময় ও আমাকে খুব অশ্লীল গালি-গালাজ করা হতো। ছাত্র জীবনে অনেক ভালো ফলাফল করলেও সবসময় ডিপ্রেশন কাজ করত। এখন জীবনের মধ্যম ভাগে আমার একই ভয় কাজ করে। কোন কিছু করতে গেলে ভাবি যদি ভুল হয় কি হবে, ছোটবেলার মত কেউ আঘাত করবে নাতো। আমি উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু ভালো কোন চাকুরী আমার করা সম্ভব নয়, কারন আমার আত্নবিশআস মোটেও নেই আগের দঃস্বপ্ন ঘুমের মধ্যে তাড়া করে। আমার পিতা ইন্ডিয়ান বিড়ি খুব বেশী খেতেন, আর আমি কিনে এনে দিতাম। আমার দাদাও খেতেন। আমার যখন বয়স ১২/১৩ আমি একদিন এক বন্দুর সাথে বিড়ি খাচ্ছি দেখে আমার মা আমাকে এমনভাবে বাশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করেন যে আমি প্রায় ১ মাস গায়ে ব্যাথা নিয়ে কষ্ট করেছি। আমার পিতা আমার মাকেও একইভাবে অত্যাচার করতেন এবং আমার দাদা -দাদীর সাথেও ভালো ব্যবহার করেননি। আমার দাদীই একমাত্র আমাকে রক্ষা করতেন। যখন দাদী উনার বাপের বাড়ী যেতেন তখন আমি একদম চুপচাপ থাকতাম। কারণ আমার রক্ষাকারী যে /নেই। আমি বিদেশে আছি, ৭ বছর হলো ফিরে যাইনি; যাবারও ইছ্চা নেই। আমি বিদেশ থাকা অবস্থায় আমার দাদীও মারা গেছেন। কিন্তু আজও আমার ছোটবেলার ভয় যায়িন এবং বাড়িতে যাবার কথা মনে হলে আজানা ভয় কাজ করে। আমি নিয়মিত মানসিক সেন্টার থেকে পরামর্শ ও ঔষধ নেই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ২০/০১/২০১৭সঠিক
-
আমি-তারেক ০৩/১২/২০১৬thik hoye jabey...apni prokash kortey perechen eta onek boro orjon...likhtey thakun...
-
নির্মলেন্দু পোদ্দার ০১/১২/২০১৬দাদা বানানে একটু দৃষ্টি দিবেন
-
নির্মলেন্দু পোদ্দার ২৯/১১/২০১৬ভালবাসার শাষনটা নাকি সবচেয়ে ভয়ানক!
-
[email protected] ২৮/১১/২০১৬আসলে এমন সমস্যা অনেকের আছে।
-
আনিসা নাসরীন ২৮/১১/২০১৬গায়ে হাত তুলে শাসন করলেই বাচ্চারা সব বুঝতে পারবে ব্যাপারটা তা নয়। কথা বলে সুন্দর করে বুঝিয়েও শাসন করা যায়।
গায়ে হাত তুলে শাসন করলে সেই ভয়টা অনেকের মধ্যে ট্রমা আকারে থেকে যায়। যেটা পরে কোন বাজে রূপে মোড় নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি কাউন্সিলেশন নিতে থাকেন, বন্ধ করেন না। সময় লাগলেও আপনি এর থেকে বের হতে পারবেন।