কৃষি
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে ফসলের ভালো উৎপাদনের উপর এদেশের কৃষকসহ সাধারণ জনগণের সুখ শান্তি ও উন্নতি বহুলাংশে নির্ভরশীল। গত ক’বছর ধরে এদেশে বন্যাসহ কোন বড়ো বড়ো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ধানসহ বিভিন্ন ফসল ও শাকসবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদনকারী ও চাষীরা ভালো মূল্য না পাওয়ায় আগামীতে তারা এসব ফসল আর না ফলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় গত বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু আলুর ভালো দাম না পাওয়ায় আলু চাষীদের লোকসান দিতে হয়েছে। আলু সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগারের অভাব এবং পরিবহনের সুবিধা না থাকায় শত শত মন আলু পঁচে বিনষ্ট হয়েছে।
একইভাবে দেশীয় পিয়াজ ও সবজীর ভালো দাম না পাওয়ায় কৃষকরা উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে নির্বিচারে বিভিন্ন পণ্য আমদানীর ফলে দেশীয় পণ্য মার খেয়েছে। এখানকার উৎপাদক বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া কৃষকরা ফসল উৎপাদন করলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা নির্ধারণ করছে পণ্যের মূল্য। এতে তারা প্রতিনিয়িত ঠকছেন। চলতি মৌসুমেও বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। শুধু প্রধান শস্যসমূহ নয়, শাকসবজী ও তরিতরকারীর উৎপাদনেও বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলার কৃষিক্ষেতগুলোতে এখন রবিশস্যের সমারোহ। গত কয়েক বছরে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এগিয়ে আছে এক্ষেত্রে।
তবে এখনো ভারত, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, জাপান ইত্যাদি দেশ বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্বেও উচ্চ ফলণশীল ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য সংকট দূরীকরণে বহুলাংশে সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে হাইব্রিড বীজের ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এসব দেশের কৃষি খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল ছোট্ট দেশ। এ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বিশেষভাবে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সরকারকে কৃষিতে আরো বেশী মনোযোগ ও দৃষ্টি দিতে হবে। জানা গেছে, ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশকে সয়লাব এখন এদেশের বিভিন্ন এলাকা।
এসব কীটনাশক ইটের গুঁড়া ও পাথুরে বালি দিয়ে তৈরী হচ্ছে। এসব ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে কৃষিক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হলে উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি সরকার বিশেষভাবে কৃষি বিভাগকে অধিকতর মনোযোগী হতে হবে। আমরা কৃষির মাধ্যমে গত অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করেছি। আগামীতে এ ধরনের মন্দা মোকাবেলাসহ এদেশকে সামগ্রিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে কৃষিক্ষেত্রে সফলতাই সবচেয়ে বড়ো নিয়ামক ও হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে, এ বিশ্বাস এদেশের জনগণের।
একইভাবে দেশীয় পিয়াজ ও সবজীর ভালো দাম না পাওয়ায় কৃষকরা উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে নির্বিচারে বিভিন্ন পণ্য আমদানীর ফলে দেশীয় পণ্য মার খেয়েছে। এখানকার উৎপাদক বিপুল লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়া কৃষকরা ফসল উৎপাদন করলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা নির্ধারণ করছে পণ্যের মূল্য। এতে তারা প্রতিনিয়িত ঠকছেন। চলতি মৌসুমেও বিভিন্ন ফসলের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। শুধু প্রধান শস্যসমূহ নয়, শাকসবজী ও তরিতরকারীর উৎপাদনেও বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলার কৃষিক্ষেতগুলোতে এখন রবিশস্যের সমারোহ। গত কয়েক বছরে কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এগিয়ে আছে এক্ষেত্রে।
তবে এখনো ভারত, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও আমেরিকার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। ভারত, চীন, ভিয়েতনাম, জাপান ইত্যাদি দেশ বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্বেও উচ্চ ফলণশীল ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য সংকট দূরীকরণে বহুলাংশে সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে হাইব্রিড বীজের ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এসব দেশের কৃষি খাতকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল ছোট্ট দেশ। এ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বিশেষভাবে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সরকারকে কৃষিতে আরো বেশী মনোযোগ ও দৃষ্টি দিতে হবে। জানা গেছে, ভেজাল ও নিম্নমানের কীটনাশকে সয়লাব এখন এদেশের বিভিন্ন এলাকা।
এসব কীটনাশক ইটের গুঁড়া ও পাথুরে বালি দিয়ে তৈরী হচ্ছে। এসব ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে কৃষিক্ষেত্রে এগিয়ে নিতে হলে উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি সরকার বিশেষভাবে কৃষি বিভাগকে অধিকতর মনোযোগী হতে হবে। আমরা কৃষির মাধ্যমে গত অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলা করেছি। আগামীতে এ ধরনের মন্দা মোকাবেলাসহ এদেশকে সামগ্রিক উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে কৃষিক্ষেত্রে সফলতাই সবচেয়ে বড়ো নিয়ামক ও হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে, এ বিশ্বাস এদেশের জনগণের।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমি-তারেক ২৫/১১/২০১৬somvabona moi...valo
-
আনিসা নাসরীন ২৩/১১/২০১৬কৃষি আমাদের আরো আলোর মুখ দেখবে বলে আশা রাখি।
-
সোলাইমান ২২/১১/২০১৬সবাই এগিয়ে আসলে আরও ভাল করবে বাংলাদেশ
-
জহির রহমান ২১/১১/২০১৬অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এখানের প্রচুর পরিমাণ খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়। কিন্তু সু্স্থ পরিচর্যা, সহযোগিতা আর সংরক্ষণের অভাবে ফসল গুলো বিনষ্ট হচ্ছে। সরকারি ভাবেও কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না অথবা নিলেও তা কৃষক পর্যায়ে ঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না। বরং রাজনৈতিক নোংরা ফায়দা হাসিলে অন্যদেশের উপর নিভর্র করতে হচ্ছে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূূর্ণ বাংলাদেশকে।
আপনি দারুণ লিখেছেন। আরো লেখা আশা করি। শুভেচ্ছা সতত।