ধুমপান বিষপান
বেশ ক’বছর আগে বাংলাদেশ সরকার তামাক বিরোধী আইন সংশোধনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। তামাকজাত সামগ্রীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘ধূমপান ও তামাকজাত সামগ্রীর ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫’ সংশোধনের প্রস্তাব পেশের মাত্র একদিন আগে অর্থাৎ ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র পাঠিয়ে এই প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশে সিগারেটের প্রধান সরবরাহকারী ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ (বিএটি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠালে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন প্রক্রিয়া থেমে যায়। এই অনুরোধপত্রে বিএটি বাংলাদেশে তামাক শিল্প বিকাশে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন বন্ধের অনুরোধ জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পত্রটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার এবং এর উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
এভাবে শেষ পর্যন্ত ধূমপান ও তামাকজাত সামগ্রীর ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এ সংক্রান্ত কঠোর আইন প্রণয়নের উদ্যোগটি মাঠে মারা যায়। দীর্ঘকাল যাবৎ সচেতন মহলে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, বিশ্বে সিগারেট কোম্পানীগুলো এতোই শক্তিশালী যে, কোন দেশে কোন মন্ত্রী বা সরকার ধূমপান বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে চাইলে তারা সেই মন্ত্রী এমনকি সরকারকে পর্যন্ত বদলানোর ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে গত বছরের ডিসেম্বরে সংঘটিত এই ঘটনা থেকে বিটিএ’র অন্যায় প্রভাব ও ক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একথা সত্য যে, তামাক শিল্প থেকে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব বাবদ প্রায় ৭ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। আর এর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ অর্থ প্রদান করে থাকে বিটিএ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই রাজস্ব আয়ের দ্বারা সরকার প্রকৃতপক্ষে কতোটুকু লাভবান হচ্ছে, কতোটুকু লাভবান হচ্ছে এদেশের জনগণ? এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫৫ হাজার লোক ধূমপানজনিত রোগে মারা যায়। আর আক্রান্ত হয় কয়েকদ লাখ লোক।
ধূমপানজনিত রোগের চিকিৎসা বাবত বৈদেশিক মুদ্রাসহ যে অর্থ ব্যয় হয়, তা সিগারেট থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে বেশী। এ অবস্থায় সচেতন মহলের প্রশ্ন, তাহলে সিগারেট থেকে রাজস্ব আয়ে লাভটা কী হলো? বলা বাহুল্য, তামাকসেবন বিশেষভাবে ধূমপান এমন একটি খারাপ অভ্যাস, যাতে ক্ষণিক আনন্দ ছাড়া ভালো কোন দিক নেই। এটা যে মারাত্মক ক্ষতিকর এতে কোন সন্দেহ নেই। ধূমপানের সাথে ক্যান্সার ও হৃদরোগের সম্পর্ক চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বজন স্বীকৃত একটি বিষয়।
এছাড়া জর্দা, সাদাপাতা ইত্যাদি মুখগহ্বরের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। কঠোর আইনের দরুণ এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশগুলোর জনগণ ধূমপান যখন ছেড়ে দিচ্ছেন, তখন বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। জনগণের অশিক্ষা ও অসচেতনতার কারণে এমনটি ঘটছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত ধূমপান তথা তামাক বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করা।
আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ এবং সকল স্তরের জনগণের তামাক বিরোধী সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রত্যাশা করি।
জানা যায়, বাংলাদেশে সিগারেটের প্রধান সরবরাহকারী ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ (বিএটি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠালে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন প্রক্রিয়া থেমে যায়। এই অনুরোধপত্রে বিএটি বাংলাদেশে তামাক শিল্প বিকাশে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন বন্ধের অনুরোধ জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পত্রটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি দেখার এবং এর উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
এভাবে শেষ পর্যন্ত ধূমপান ও তামাকজাত সামগ্রীর ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে এ সংক্রান্ত কঠোর আইন প্রণয়নের উদ্যোগটি মাঠে মারা যায়। দীর্ঘকাল যাবৎ সচেতন মহলে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, বিশ্বে সিগারেট কোম্পানীগুলো এতোই শক্তিশালী যে, কোন দেশে কোন মন্ত্রী বা সরকার ধূমপান বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে চাইলে তারা সেই মন্ত্রী এমনকি সরকারকে পর্যন্ত বদলানোর ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে গত বছরের ডিসেম্বরে সংঘটিত এই ঘটনা থেকে বিটিএ’র অন্যায় প্রভাব ও ক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। একথা সত্য যে, তামাক শিল্প থেকে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব বাবদ প্রায় ৭ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। আর এর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ অর্থ প্রদান করে থাকে বিটিএ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই রাজস্ব আয়ের দ্বারা সরকার প্রকৃতপক্ষে কতোটুকু লাভবান হচ্ছে, কতোটুকু লাভবান হচ্ছে এদেশের জনগণ? এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫৫ হাজার লোক ধূমপানজনিত রোগে মারা যায়। আর আক্রান্ত হয় কয়েকদ লাখ লোক।
ধূমপানজনিত রোগের চিকিৎসা বাবত বৈদেশিক মুদ্রাসহ যে অর্থ ব্যয় হয়, তা সিগারেট থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে বেশী। এ অবস্থায় সচেতন মহলের প্রশ্ন, তাহলে সিগারেট থেকে রাজস্ব আয়ে লাভটা কী হলো? বলা বাহুল্য, তামাকসেবন বিশেষভাবে ধূমপান এমন একটি খারাপ অভ্যাস, যাতে ক্ষণিক আনন্দ ছাড়া ভালো কোন দিক নেই। এটা যে মারাত্মক ক্ষতিকর এতে কোন সন্দেহ নেই। ধূমপানের সাথে ক্যান্সার ও হৃদরোগের সম্পর্ক চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বজন স্বীকৃত একটি বিষয়।
এছাড়া জর্দা, সাদাপাতা ইত্যাদি মুখগহ্বরের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। কঠোর আইনের দরুণ এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশগুলোর জনগণ ধূমপান যখন ছেড়ে দিচ্ছেন, তখন বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে। জনগণের অশিক্ষা ও অসচেতনতার কারণে এমনটি ঘটছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত ধূমপান তথা তামাক বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়ন করা।
আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ এবং সকল স্তরের জনগণের তামাক বিরোধী সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রত্যাশা করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান টিটু ২৩/১১/২০১৬সবার সচেতনতা প্রয়োজন
-
সুজিত মান্না ১৮/১১/২০১৬ভালো লেখা
-
মোহাম্মদ ২৯/১০/২০১৬ভালো লিখা