www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

৫৭ ধারাই নয় সকল কালাকানুনের রদ প্রয়োজন

২০১৫ সালের এপ্রিলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান পরিপন্থী হওয়ায় সে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৬-এ ধারাকে সংবিধান পরিপন্থী বলে রায় দিয়েছেন।
তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়, সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং এ সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তির বিষয়ে একটি নতুন আইন প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়টিও ওই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রথমে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০১৫ নাম দেয়া হলেও সামগ্রিকতা বিবেচনায় এটি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, ২০১৫ নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল ১৯ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আইনটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, সংবিধান আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে। আর ৫৭ ধারা তা হরণ করেছে। তাই আমরা চাই, আইনটি বাতিল করা হোক।’
আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৮ আগস্ট ২০১৫ প্রকাশ্যে এই আইনের সমালোচনা করে বলেন, ৫৭ ধারার ব্যবহার ও প্রয়োগের বিষয়গুলো সুস্পষ্ট না করা হলে এর অপব্যবহার অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি আমলে ২০০৬ সালে সংসদ কর্তৃক প্রণীত ‘৫৭। ইলেকট্রনিক ফর্মে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড।-(১) কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটিবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৬৬০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/১০/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast