মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় ভুলের গ্লানি টানছে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে সে দেশের একটি ভেজাল ওষুধ কারখানায় কাজ করার সময় ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। এমনকি নিজের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আটক রয়েছে দেশটির কারাগারে।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকারের অগচরে ইন্ডিয়ান বংশদ্ভুত মালয়েশিয়ান নাগরিক মি. প্রক বিদেশি নাগরিকদের বেশি বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ভেজাল ওষুধ কারখানায় চাকরি দেয়। চাকরি দেয়ার সময় বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্টসহ যাবতীয় কাগজপত্র তার জিম্মায় নিয়ে নেন। ফলে কর্মীদের আর বাহিরে যাওয়ার কোনো পথ থাকে না। মাসে একবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়।
গত আটমাস আগে কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং একটি রেস্টুরেন্টে প্রকের সঙ্গে পরিচয় হয় কুমিল্লার মুরাদ নগর থানার নহল (পুরান তলা) গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলমের। আশরাফুল জালান ইপু রোডের ভিক্টরিয়া কলেজের ছাত্র এবং বুকিত বিনতাংয়ের ওই রেস্টুরেন্টেই কাজ করতো। পরে প্রক আশরাফুলকে ওষুধ কোম্পানিতে ১৮শ` রিঙ্গিত মাসিক বেতনে চাকরি দেন।
তবে কিছুদিন যাওয়ার পর আশরাফুল বুঝতে পারে অপরাধীদের পাল্লায় পড়েছে। এমনকি গত ১৩ আগস্ট (শনিবার) কুয়ালালামপুরের আম্পাংয়ে ভেজাল ওষুধ কারখানায় অভিযান চালালে আশ্রাফুলসহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আশরাফুল।
এদিকে, গত ১৯ আগস্ট ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার পুলিশ অব আমপাং সেলাঙ্গুরের এ এসপি রাশিদি বিন মাতদিন ইনভেস্টিগেটর অফিসার আশরাফুল বাংলাদেশি কি না তা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধানের বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শ্রম শাখার কল্যাণ সহকারী মো. মুকসেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে গত ২৩ আগস্ট পুলিশ হেড কোয়ারর্টারে আশরাফুলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
মুকসেদ প্রতিবেদককে জানান, এক হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, দ্বিতীয়ত অবৈধ কাজ করা, তাও আবার ভেজাল ওষুধ কারখানায়। আশরাফুলের গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করে তার পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে এবং হাই কমিশন থেকে তদন্ত করে তার সঙ্গে দেখা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ওষুধ কোম্পানিটিতে অভিযানের সময় ৯ দশমিক ৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৬৩ লিটার তরল সাবু, ১৫ কেজি এফেড্রাইন (ফেন্সিডিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন কেমিক্যাল), ১৫টি গুলিসহ একটি পিস্তল, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ব্র্যান্ডের দামি হাতঘড়ি, অলঙ্কার এবং ৮টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। পরে দেশটির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৯ ধারায় আশরাফুলকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মাদকবিরোধী বিভাগের উপ-পরিচালক সিনিয়র সহকারী কমিশনার কাং চে চিয়াং বলেন, আম্পাংয়ের অভিজাত এলাকায় গড়ে ওঠা ভেজাল ওষুধ কারখানাটি অনেকদিন ধরে নজরদারিতে ছিল। তবে কারখানাটিতে প্রতিবেশীরাও এ কাজে জড়িত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ল্যবরেটরির লাইসেন্স থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবল ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি অদক্ষ বিদেশি শ্রমিক দিয়ে ওষুধ তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল। গ্রেফতারদের রিমান্ড শেষে দেশটির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৯ বি ১৯৫২ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, মালয়েশিয়া আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। এই দেশটিতে আমাদের দেশের যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি বাংলাদেশি স্টুডেন্টদেরও ভালো সুনাম রয়েছে। তবে যেসব দালালরা স্টুডেন্ট ভিসায় শ্রমিক এনে দেশের সম্মান নষ্ট ক
জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকারের অগচরে ইন্ডিয়ান বংশদ্ভুত মালয়েশিয়ান নাগরিক মি. প্রক বিদেশি নাগরিকদের বেশি বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ভেজাল ওষুধ কারখানায় চাকরি দেয়। চাকরি দেয়ার সময় বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্টসহ যাবতীয় কাগজপত্র তার জিম্মায় নিয়ে নেন। ফলে কর্মীদের আর বাহিরে যাওয়ার কোনো পথ থাকে না। মাসে একবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়।
গত আটমাস আগে কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং একটি রেস্টুরেন্টে প্রকের সঙ্গে পরিচয় হয় কুমিল্লার মুরাদ নগর থানার নহল (পুরান তলা) গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল আলমের। আশরাফুল জালান ইপু রোডের ভিক্টরিয়া কলেজের ছাত্র এবং বুকিত বিনতাংয়ের ওই রেস্টুরেন্টেই কাজ করতো। পরে প্রক আশরাফুলকে ওষুধ কোম্পানিতে ১৮শ` রিঙ্গিত মাসিক বেতনে চাকরি দেন।
তবে কিছুদিন যাওয়ার পর আশরাফুল বুঝতে পারে অপরাধীদের পাল্লায় পড়েছে। এমনকি গত ১৩ আগস্ট (শনিবার) কুয়ালালামপুরের আম্পাংয়ে ভেজাল ওষুধ কারখানায় অভিযান চালালে আশ্রাফুলসহ চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আশরাফুল।
এদিকে, গত ১৯ আগস্ট ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার পুলিশ অব আমপাং সেলাঙ্গুরের এ এসপি রাশিদি বিন মাতদিন ইনভেস্টিগেটর অফিসার আশরাফুল বাংলাদেশি কি না তা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধানের বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শ্রম শাখার কল্যাণ সহকারী মো. মুকসেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে গত ২৩ আগস্ট পুলিশ হেড কোয়ারর্টারে আশরাফুলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
মুকসেদ প্রতিবেদককে জানান, এক হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, দ্বিতীয়ত অবৈধ কাজ করা, তাও আবার ভেজাল ওষুধ কারখানায়। আশরাফুলের গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করে তার পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে এবং হাই কমিশন থেকে তদন্ত করে তার সঙ্গে দেখা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ওষুধ কোম্পানিটিতে অভিযানের সময় ৯ দশমিক ৩ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ৬৩ লিটার তরল সাবু, ১৫ কেজি এফেড্রাইন (ফেন্সিডিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এমন কেমিক্যাল), ১৫টি গুলিসহ একটি পিস্তল, বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ব্র্যান্ডের দামি হাতঘড়ি, অলঙ্কার এবং ৮টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। পরে দেশটির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৯ ধারায় আশরাফুলকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মাদকবিরোধী বিভাগের উপ-পরিচালক সিনিয়র সহকারী কমিশনার কাং চে চিয়াং বলেন, আম্পাংয়ের অভিজাত এলাকায় গড়ে ওঠা ভেজাল ওষুধ কারখানাটি অনেকদিন ধরে নজরদারিতে ছিল। তবে কারখানাটিতে প্রতিবেশীরাও এ কাজে জড়িত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ল্যবরেটরির লাইসেন্স থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবল ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি অদক্ষ বিদেশি শ্রমিক দিয়ে ওষুধ তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল। গ্রেফতারদের রিমান্ড শেষে দেশটির ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৯ বি ১৯৫২ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, মালয়েশিয়া আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। এই দেশটিতে আমাদের দেশের যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি বাংলাদেশি স্টুডেন্টদেরও ভালো সুনাম রয়েছে। তবে যেসব দালালরা স্টুডেন্ট ভিসায় শ্রমিক এনে দেশের সম্মান নষ্ট ক
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বিপ্লব সিংহ ২৮/০৯/২০১৬খবরটি প্রচার করে অনেক মানুষকে সচেতন করলেন।।
-
সোলাইমান ২৮/০৯/২০১৬আমরা এ ভাবেই না যেনে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছি, এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে সব দিক বিবেচনা করে যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং সঠিক নিয়মে সব কার্যবলি সম্পন্ন করতে হবে।
-
সোলাইমান ২৮/০৯/২০১৬এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখ জনক।