জাতীয় ঐক্য
গত পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নিষ্ঠুর জঙ্গি হামলায় পাঁচ জঙ্গিসহ ২৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি। এরপর গত সাত জুলাই দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানের পাশে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও চারজন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন মর্মান্তিক ঘটনার আর কোনো নজির নেই। এই ঘটনার পর এ ধরনের ঘটনার আর যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন সব ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে থাকে। কারণ এর সঙ্গে আমাদের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি সব কিছুর ভবিষ্যৎই জড়িত।
জড়িত যে তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস আমাদের গার্মেন্ট শিল্প। কিন্তু এর মধ্যেই এ শিল্পে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিদেশি ক্রেতারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। কমিয়ে দিয়েছে ও বাতিল করেছে পোশাকের অর্ডার। বাংলাদেশে যেসব আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল, উদ্যোক্তারা সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অভিজাত হোটেলগুলোতে। আগে যেখানে এসব হোটেলের ৮০-৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকতো, এখন তা ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে। গুলশান এলাকার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোর অবস্থাও করুণ। কারণ সেখানে প্রধানত বিদেশিরাই ছিলেন অতিথি। এছাড়া দেশীয় অতিথিরাও সেখানে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে এসব ব্যবসায়ও ভাটা পড়তে শুরু করেছে। ভাটা পড়ছে পর্যটন শিল্পেও।
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আগে থেকেই হ্রাস পাচ্ছিল, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর তা আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা শিথিল হয়ে পড়েছে। ফলে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। গার্মেন্ট শিল্পের মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের ক্রেতারা আর বাংলাদেশে আসতে চাইছেন না। তারা তৃতীয় কোনো দেশে শিল্পমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন। আবার এই সুযোগে ভারত বাংলাদেশের বিরাট গার্মেন্ট বাজার নিজেদের কব্জায় নিতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, যাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য দরকার তাদের সঙ্গে ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু সে ঐক্য দৃশ্যমান নয়। এ ক্ষেত্রে আমরা শুধু হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে দেখতে পাই। এদের সঙ্গে ঐক্য যদি দরকার তবে তা নিশ্চয়ই হয়ে গেছে। সকলেই বলছেন যে, এ দুটি ঘটনায় জাতি যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে, সে রকম বিপর্যয় আগে কখনও সৃষ্টি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন যে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এই দুই হামলায় ছেদ পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, মন্ত্রীদের ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে পুলিশ। এ রকম অবস্থায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে সকলকে একযোগে এই সমাজবিরোধীদের প্রতিহত করা দরকার। সরকারি দল বা তার অণু-পরমাণু সঙ্গীরাই দেশের সব নয়। এই বোধ জাগ্রত হওয়া জরুরি ছিল। তাছাড়া সরকারের অপশাসন, নির্যাতন, দমন-পীড়নের ফলে তাদের জনসমর্থন এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এরকম সময়ে তবু যারা এই সরকারের সঙ্গে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
কিন্তু ‘সব দেশেই এ রকম ঘটনা ঘটে’- এমন কথা বলে আত্মতৃপ্তির বোধকরি কোনো অবকাশ নেই। জাতির কোনো কোনো ক্রান্তিলগ্নে সে ঐক্যের প্রয়োজন হয়। ১৯৭১ সালে দলমত নির্বিশেষে এমনই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এমনই জাতীয় ঐক্য। আর তার ফলেই ’৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। ১৯৯০ সালে পতন ঘটেছিল এরশাদ সরকারের। এ ছাড়াও বন্যা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও আমরা জাতীয় ঐক্যের পরিচয় দেই এবং দিয়েছি। সুতরাং এই ঐক্য আমাদের কাছে অচেনা নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথায় মনে হলো জাতীয় ঐক্যের ধারণা তার কাছে স্পষ্ট নয়। যদিও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জাতীয় ঐক্যের একটা অভিনব সংজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের অর্থ হলো, এই মুহূর্তে সকলের উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা।
কিংবা তুরস্কের উদাহরণ টানা যায়। সম্প্রতি তুরস্কে একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান হয়ে গেলো। সেনাবাহিনীর একটা অংশ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তাইয়েপ এরদোগানের সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চেয়েছিল। সেখানে এরদোগানের কট্টর বিরোধিতাকারীরা আছেন। মধ্যপন্থী আছেন। সেকুলাররা আছেন। বামরা আছেন। কিন্তু এরদোগানকে হঠাতে গিয়ে তাদের কেউই সামরিক শাসনের পক্ষ অবলম্বন করেননি। অভ্যুত্থানকারীরা বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ সেতু, বেতার-টেলিভিশন কেন্দ্র তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল। তারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছিল। এরদোগান যে অবকাশ যাপন কেন্দ্রে ছিলেন, সেখানেও তারা বোমা হামলা চালায়। কিন্তু সেল ফোনের মাধ্যমে তিনি সিএনএন থেকে এক ভাষণ প্রচার করে জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান। আর সেদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী সকল স্তরের মানুষ রাজপথে নেমে এসে সে অভ্যুত্থান প্রতিহত করে দেন। তারা সারারাত রাজপথে অবস্থান নেন। এরা সবাই এরদোগানের সমর্থক ছিলেন না। কিন্তু তারা এসেছিলেন গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য। এক দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য। আমরা তুর্কি পার্লামেন্টেও একই চিত্র দেখলাম। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ঐ পার্লামেন্টে সকল দল একযোগে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সব দলের সংসদ সদস্যরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। একেই জাতীয় ঐক্য বলে।
আমাদের দেশেও আজকে সে ঐক্যই জরুরি ছিল। কিন্তু সরকার সেপথে না গিয়ে বরাবরের মতোই এ ইস্যুকেও বিরোধী দল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তাতে পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে যাবে বলে মনে হয় না। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলাকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে না দেখলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েই থাকবে।
জড়িত যে তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস আমাদের গার্মেন্ট শিল্প। কিন্তু এর মধ্যেই এ শিল্পে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিদেশি ক্রেতারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। কমিয়ে দিয়েছে ও বাতিল করেছে পোশাকের অর্ডার। বাংলাদেশে যেসব আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল, উদ্যোক্তারা সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অভিজাত হোটেলগুলোতে। আগে যেখানে এসব হোটেলের ৮০-৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং থাকতো, এখন তা ১৫-২০ শতাংশে নেমে এসেছে। গুলশান এলাকার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোর অবস্থাও করুণ। কারণ সেখানে প্রধানত বিদেশিরাই ছিলেন অতিথি। এছাড়া দেশীয় অতিথিরাও সেখানে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে এসব ব্যবসায়ও ভাটা পড়তে শুরু করেছে। ভাটা পড়ছে পর্যটন শিল্পেও।
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আগে থেকেই হ্রাস পাচ্ছিল, হলি আর্টিজানের ঘটনার পর তা আরও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা শিথিল হয়ে পড়েছে। ফলে তা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। গার্মেন্ট শিল্পের মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের ক্রেতারা আর বাংলাদেশে আসতে চাইছেন না। তারা তৃতীয় কোনো দেশে শিল্পমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন। আবার এই সুযোগে ভারত বাংলাদেশের বিরাট গার্মেন্ট বাজার নিজেদের কব্জায় নিতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বললেন, যাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য দরকার তাদের সঙ্গে ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু সে ঐক্য দৃশ্যমান নয়। এ ক্ষেত্রে আমরা শুধু হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে দেখতে পাই। এদের সঙ্গে ঐক্য যদি দরকার তবে তা নিশ্চয়ই হয়ে গেছে। সকলেই বলছেন যে, এ দুটি ঘটনায় জাতি যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে, সে রকম বিপর্যয় আগে কখনও সৃষ্টি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন যে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এই দুই হামলায় ছেদ পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, মন্ত্রীদের ওপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে পুলিশ। এ রকম অবস্থায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে সকলকে একযোগে এই সমাজবিরোধীদের প্রতিহত করা দরকার। সরকারি দল বা তার অণু-পরমাণু সঙ্গীরাই দেশের সব নয়। এই বোধ জাগ্রত হওয়া জরুরি ছিল। তাছাড়া সরকারের অপশাসন, নির্যাতন, দমন-পীড়নের ফলে তাদের জনসমর্থন এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এরকম সময়ে তবু যারা এই সরকারের সঙ্গে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাতেই হয়।
কিন্তু ‘সব দেশেই এ রকম ঘটনা ঘটে’- এমন কথা বলে আত্মতৃপ্তির বোধকরি কোনো অবকাশ নেই। জাতির কোনো কোনো ক্রান্তিলগ্নে সে ঐক্যের প্রয়োজন হয়। ১৯৭১ সালে দলমত নির্বিশেষে এমনই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এমনই জাতীয় ঐক্য। আর তার ফলেই ’৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। ১৯৯০ সালে পতন ঘটেছিল এরশাদ সরকারের। এ ছাড়াও বন্যা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও আমরা জাতীয় ঐক্যের পরিচয় দেই এবং দিয়েছি। সুতরাং এই ঐক্য আমাদের কাছে অচেনা নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথায় মনে হলো জাতীয় ঐক্যের ধারণা তার কাছে স্পষ্ট নয়। যদিও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ জাতীয় ঐক্যের একটা অভিনব সংজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের অর্থ হলো, এই মুহূর্তে সকলের উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা।
কিংবা তুরস্কের উদাহরণ টানা যায়। সম্প্রতি তুরস্কে একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান হয়ে গেলো। সেনাবাহিনীর একটা অংশ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তাইয়েপ এরদোগানের সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে চেয়েছিল। সেখানে এরদোগানের কট্টর বিরোধিতাকারীরা আছেন। মধ্যপন্থী আছেন। সেকুলাররা আছেন। বামরা আছেন। কিন্তু এরদোগানকে হঠাতে গিয়ে তাদের কেউই সামরিক শাসনের পক্ষ অবলম্বন করেননি। অভ্যুত্থানকারীরা বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ সেতু, বেতার-টেলিভিশন কেন্দ্র তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল। তারা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও পার্লামেন্ট ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছিল। এরদোগান যে অবকাশ যাপন কেন্দ্রে ছিলেন, সেখানেও তারা বোমা হামলা চালায়। কিন্তু সেল ফোনের মাধ্যমে তিনি সিএনএন থেকে এক ভাষণ প্রচার করে জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান। আর সেদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী সকল স্তরের মানুষ রাজপথে নেমে এসে সে অভ্যুত্থান প্রতিহত করে দেন। তারা সারারাত রাজপথে অবস্থান নেন। এরা সবাই এরদোগানের সমর্থক ছিলেন না। কিন্তু তারা এসেছিলেন গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য। এক দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য। আমরা তুর্কি পার্লামেন্টেও একই চিত্র দেখলাম। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ঐ পার্লামেন্টে সকল দল একযোগে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সব দলের সংসদ সদস্যরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। একেই জাতীয় ঐক্য বলে।
আমাদের দেশেও আজকে সে ঐক্যই জরুরি ছিল। কিন্তু সরকার সেপথে না গিয়ে বরাবরের মতোই এ ইস্যুকেও বিরোধী দল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। তাতে পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলে যাবে বলে মনে হয় না। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলাকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে না দেখলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েই থাকবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ১৬/০৯/২০১৬অনেক সুন্দর, কিন্তু লং
-
সাইফ রুদাদ ১৬/০৯/২০১৬গুরুত্বপূর্ণ কথা